পাইকগাছা প্রতিনিধি
চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করেও নানা প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে ছাপাখানার ব্যবসায়ে সফলতা পেয়েছেন পাইকগাছার বাইজীদ নামের এক যুবক। পরের একটি ছাপাখানায় কাজ করা সৎ, আত্মবিশ্বাসী ও কঠোর পরিশ্রমী এই মানুষটি আজ নিজেই একটি ছাপাখানার মালিক।
বাইজীদ জানান, পাইকগাছা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সরল গ্রামের মৃত শওকত আলী গাজীর অতি দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেন বাইজীদ। পরিবারের অভাব অনটনের কারণে পড়ালেখা বাদ দিয়ে কিশোর বয়স থেকেই কাজ শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে উপজেলা সদরের একটি ছাপাখানায় ভাতের বিনিময়ে কাজ শুরু করেন তিনি। ১ বছর পর মাসিক ৫০০ টাকা বেতন পাওয়া শুরু করেন। সেখানে ৭-৮ বছর কাজ করার পর অফসেট ছাপাখানার কাজ শিখতে ঢাকায় চলে যান বাইজীদ।
ঢাকার ওই ছাপাখানায় ৮ মাস কাজ করার পর অফসেট মেশিন পরিচালনায় তিনি দক্ষ হয়ে ওঠেন। এরপর নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে নিকট এক আত্মীয়ের কাছ থেকে কিস্তিতে একটি মুদ্রণযন্ত্র কেনেন। সেটি দিয়ে কাজ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে পুরোনো মুদ্রণ যন্ত্রটি বিক্রি করে নতুন মডেলের যন্ত্র স্থাপন করেন। কম খরচে কাজের মান ভালো হওয়ায় বাইজীদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে এলাকার সবখানে। কিন্তু ২০২০ সালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুদ্রণযন্ত্রসহ ছাপাখানার বিভিন্ন জিনিস পুড়ে কয়েক লাখ টাকা ক্ষতি হয়। কিন্তু এতে দমে না গিয়ে পাশে আরেকটি মার্কেটে নতুন ঘরে ঋণ নিয়ে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করে। সম্প্রতি তাঁর ছাপাখানায় নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল প্যানা মেশিন।
বর্তমানে বাইজীদ দুটি ঘরে ব্যবসা পরিচালনা করছেন, যার একটি ঘরে রয়েছে মুদ্রণ যন্ত্র, আরেকটি ঘরে রয়েছে ডিজিটাল প্যানা মেশিন। ৩-৪ জন কর্মচারী তাঁর প্রতিষ্ঠানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
বাইজীদ আরও বলেন, ‘অতীতের কথা মনে পড়লে এখনো চোখে জল চলে আসে। তবে চেষ্টা, শ্রম, সততা ও আত্মবিশ্বাস থাকলে এগিয়ে যাওয়ার পথে দারিদ্র্য কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়। প্রেস ব্যবসা করে আমি এখন পরিবার পরিজন নিয়ে সুখেই আছি। আমার এখানে কাজ শিখে এখন অনেকেই ছাপাখানার ব্যবসা করছেন।’
চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করেও নানা প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে ছাপাখানার ব্যবসায়ে সফলতা পেয়েছেন পাইকগাছার বাইজীদ নামের এক যুবক। পরের একটি ছাপাখানায় কাজ করা সৎ, আত্মবিশ্বাসী ও কঠোর পরিশ্রমী এই মানুষটি আজ নিজেই একটি ছাপাখানার মালিক।
বাইজীদ জানান, পাইকগাছা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সরল গ্রামের মৃত শওকত আলী গাজীর অতি দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেন বাইজীদ। পরিবারের অভাব অনটনের কারণে পড়ালেখা বাদ দিয়ে কিশোর বয়স থেকেই কাজ শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে উপজেলা সদরের একটি ছাপাখানায় ভাতের বিনিময়ে কাজ শুরু করেন তিনি। ১ বছর পর মাসিক ৫০০ টাকা বেতন পাওয়া শুরু করেন। সেখানে ৭-৮ বছর কাজ করার পর অফসেট ছাপাখানার কাজ শিখতে ঢাকায় চলে যান বাইজীদ।
ঢাকার ওই ছাপাখানায় ৮ মাস কাজ করার পর অফসেট মেশিন পরিচালনায় তিনি দক্ষ হয়ে ওঠেন। এরপর নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে নিকট এক আত্মীয়ের কাছ থেকে কিস্তিতে একটি মুদ্রণযন্ত্র কেনেন। সেটি দিয়ে কাজ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে পুরোনো মুদ্রণ যন্ত্রটি বিক্রি করে নতুন মডেলের যন্ত্র স্থাপন করেন। কম খরচে কাজের মান ভালো হওয়ায় বাইজীদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে এলাকার সবখানে। কিন্তু ২০২০ সালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুদ্রণযন্ত্রসহ ছাপাখানার বিভিন্ন জিনিস পুড়ে কয়েক লাখ টাকা ক্ষতি হয়। কিন্তু এতে দমে না গিয়ে পাশে আরেকটি মার্কেটে নতুন ঘরে ঋণ নিয়ে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করে। সম্প্রতি তাঁর ছাপাখানায় নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল প্যানা মেশিন।
বর্তমানে বাইজীদ দুটি ঘরে ব্যবসা পরিচালনা করছেন, যার একটি ঘরে রয়েছে মুদ্রণ যন্ত্র, আরেকটি ঘরে রয়েছে ডিজিটাল প্যানা মেশিন। ৩-৪ জন কর্মচারী তাঁর প্রতিষ্ঠানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
বাইজীদ আরও বলেন, ‘অতীতের কথা মনে পড়লে এখনো চোখে জল চলে আসে। তবে চেষ্টা, শ্রম, সততা ও আত্মবিশ্বাস থাকলে এগিয়ে যাওয়ার পথে দারিদ্র্য কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়। প্রেস ব্যবসা করে আমি এখন পরিবার পরিজন নিয়ে সুখেই আছি। আমার এখানে কাজ শিখে এখন অনেকেই ছাপাখানার ব্যবসা করছেন।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
৩ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪