
নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শুরু হবে আর কয়েক দিন পরেই। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে। বেশির ভাগ যাত্রাই হবে সড়কপথে।প্রতিবারই কোনো না কোনো মহাসড়কে যানজটের কারণে আনন্দযাত্রা হয়ে ওঠে ভোগান্তির। টঙ্গীতে বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প, পদ্মাসহ বিভিন্ন বড় সেতুর টোল প্লাজায় ধীরগতি, বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই পাশের অপ্রশস্ত মহাসড়ক, বিভিন্ন মহাসড়কে অবৈধ স্ট্যান্ড, যত্রতত্র বাস থামানো, যানবাহনের অতিরিক্ত চাপসহ বিভিন্ন কারণে এবারও সেই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীদের জন্য কোনো সুখবর নেই। যানজটের দুর্ভোগ মাথায় রেখেই রওনা দিতে হবে তাঁদের।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়কপথে যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করা নিয়ে গতকাল রোববার মতবিনিময় সভাতেও পদ্মা সেতুসহ বড় সেতুতে টোল আদায়ে ধীরগতির বিষয়টি উঠে আসে। সভায় সেতুসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুতে অটোমেটিক টোল আদায়ের চিন্তা করা হচ্ছে। তবে তা ঈদের আগে সম্ভব নয়। ঈদে সেতুর ছয়টি টোল প্লাজার পাশাপাশি একটি জরুরি বুথ চালু করা হবে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন ও আরও দুটি টোল বুথ করা হবে। সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়কে দায়িত্ব পালনকারী সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
ঈদযাত্রা সামনে রেখে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা বিভিন্ন মহাসড়ক ঘুরে দেখেছেন। মহাসড়কগুলোর অবস্থা ও যানজটের সম্ভাব্য কারণ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন মহাসড়কে ভোগান্তির সংশয় থাকলেও ব্যতিক্রম হতে পারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। এই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান চওড়া করায় যানজটের তেমন আশঙ্কা নেই।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ভোগ থাকছেই
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ব্যবহার করে ঈদে ঘরমুখী মানুষের জন্য এবারও ভোগান্তির মুক্তির তেমন সম্ভাবনা নেই। এর প্রধান কারণ চলমান বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিআরটির কাজের কারণে টঙ্গীতে মহাসড়কের অনেক অংশ সরু হয়ে কার্যত এক লেন হয়ে গেছে।টঙ্গী থেকে টঙ্গী বিসিক এলাকা পর্যন্ত অংশের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ রয়েছে। অনেক অংশে কার্পেটিং হয়নি। যানবাহনগুলোকে চলতে হচ্ছে ধীরগতিতে। ফলে স্বাভাবিক সময়েই তীব্র যানজট থাকছে। ঈদযাত্রায় বাড়তি যানবাহনের চাপে তা আরও দীর্ঘ হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই মহাসড়ক দিয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয়টি ও উত্তরাঞ্চলের ২৩ জেলার যানবাহন চলে। এই মহাসড়কে রাজধানী থেকে তুরাগ সেতুর দুই লেন দিয়ে যানবাহন টঙ্গীতে ঢুকছে। কিন্তু টঙ্গী থেকে এক লেনে ঢাকায় যাওয়ায় ওই লেনে ধীরগতির কারণে যানজট লেগে আছে। বাটার সামনে ফ্লাইওভার, আজমপুর ফ্লাইওভারের সামনে যানজট লেগে থাকছে। এ ছাড়া মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থান সরু হয়ে পড়েছে। রয়েছে খানাখন্দ।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে গাজীপুর মহানগর পুলিশ বিআরটি কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে বলে জানা গেছে। তবে বিআরটি কর্তৃপক্ষ বলছে, শিগগির এ রাস্তার সংকট দূর করা সম্ভব নয়। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শিগগির সমস্যা কাটবে না।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক
দুই লেনের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটে পড়তে হয় ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, মহাসড়কে অবৈধ স্ট্যান্ড এই যানজটের অন্যতম কারণ। মহাসড়কটির নারায়ণগঞ্জ অংশের ২৫ কিলোমিটারে সরেজমিন দেখা যায়, কাঁচপুর মোড়ে রাস্তা আটকে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা হয়। তারাব বিশ্বরোড মোড় ঘুরতে বেশি সময় নিচ্ছে যানবাহনগুলো। রূপসী মোড়ে রাস্তা সংকুচিত হয়ে গেছে অবৈধ লেগুনাস্ট্যান্ডের কারণে। বরপা মোড়েও আছে স্ট্যান্ড, সড়কেও খানাখন্দ। ভুলতা ফ্লাইওভারের নিচে বাজার ও লোকাল বাসের চাপে সরু হয়ে গেছে রাস্তা। ঢাকা-সিলেট পথের বাসের চালক নাবিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, তারাব বিশ্বরোড আর ভুলতা অংশে যানজট বেশি হয়। এতে অনেক সময় চলে যায়। কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দুই লেন হওয়ায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি বেড়ে যায়। আমরা এবার বেশ কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করেছি। কেউ অনিয়ম করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও জটের শঙ্কা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে অন্তত চারটি স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে। এই অংশে বছরের বেশির ভাগ সময়ই যানজট থাকে। শিমরাইল, মদনপুর, মোগড়াপাড়া এবং মেঘনা টোল প্লাজায় এবার ঈদযাত্রায় যানজট আরও তীব্র হতে পারে বলে শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। হাইওয়ে পুলিশ সূত্র বলছে, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ অংশের ওপর দিয়ে অন্তত ১৮ হাজার যানবাহন যাতায়াত করে। ঈদযাত্রার শুরুর দিকে এ সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২৪ হাজার। পরে আরও বাড়ে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার অংশ নিয়েই ঈদযাত্রায় দুশ্চিন্তা। এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কটির ৬০ কিলোমিটার অংশ ইতিমধ্যে ছয় লেনে উন্নীত করায় যানজটের আশঙ্কা নেই। তবে এলেঙ্গার পর মহাসড়ক দুই লেনের হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ঈদের সময় যানবাহনের চাপ বাড়বে। এতে জটও বাড়তে পারে। এ ছাড়া এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত মহাসড়কে চলমান উন্নয়নকাজও ঈদে যানজট বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
এলেঙ্গায় সড়ক উন্নয়নকাজ করা আবদুল মোনেম কোম্পানি লিমিটেডের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মিজান সারোয়ার বলেন, ঈদের আগেই এলেঙ্গা থেকে ভূঞাপুর সংযোগ সড়ক পর্যন্ত চার লেনের ১ হাজার ২০০ মিটার কাজ শেষ করা হবে। এতে ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমে আসবে। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে সমন্বয় সভা হয়েছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব।’
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক
ঈদযাত্রায় সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা জানালেন এই পথে চলাচলকারী বাসচালক ও যাত্রীরা। ইতিমধ্যে এই অংশের ১৪টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার অংশে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে, যা সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের নয়টি জেলামুখী মানুষকে ঈদযাত্রায় ভোগান্তিতে ফেলতে পারে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, ঈদের সময় যানবাহনের চাপ অবশ্যই বাড়বে। তা ছাড়া, টোল আদায়েও সময় লাগে। তবে ব্যবস্থাপনা ভালো করা গেলে যানজট কমে আসবে।
শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের চালক সাব্বির হোসেন বলেন, চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল পর্যন্ত মহাসড়কে কাজ ধীরগতিতে চলছে। এই গতির কাজে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়বে।
সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে বগুড়ার চান্দাইকোনা বাজারের পশ্চিম পাশের দুই লেনের কাজ শেষ হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব পাশের দুই লেনের কাজও শেষ হবে।’
পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ে ধীরগতি
পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে বর্তমানে ছয়টি করে মোট ১২টি টোল বুথ রয়েছে। তবে সেতুতে টোল আদায়ে ধীরগতি রয়েছে। এ কারণে প্রায়ই সেতুর দুই প্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের। ঈদের সময় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ এই জটও দীর্ঘ করতে পারে। যা ভোগান্তিতে ফেলবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলামুখী যাত্রীদের। মাদারীপুর পরিবহনের সুপারভাইজার বিপুল ঘোষ বলেন, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় বুথের সংখ্যা কম হওয়ার পাশাপাশি দক্ষ জনবলেরও অভাব রয়েছে। ঈদে বুথের সংখ্যা বাড়ানো না গেলে যানজটে ভোগান্তি বাড়বে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের সড়ক নেটওয়ার্ক মানসম্মত নয়। যানজটের প্রধান হটস্পট হচ্ছে মোড়। ওখান থেকেই জট শুরু হয়। তবে এই বিজ্ঞানটা আমাদের এখানে যাঁরা রাস্তা নির্মাণের সঙ্গে জড়িত, তাঁরা বোঝেন না। তাঁরা মনে করেন রাস্তা চওড়া করলেই হয়তো যানজট কমে যাবে। বরং তাতে যানজট আরও বাড়ে। রাস্তা চওড়া করে আট লেন হলেও সানারপাড় বা সাইনবোর্ড মোড়–এসব জায়গার যানজট নিরসনে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আমাদের নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও গাজীপুর প্রতিনিধি]

নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শুরু হবে আর কয়েক দিন পরেই। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে। বেশির ভাগ যাত্রাই হবে সড়কপথে।প্রতিবারই কোনো না কোনো মহাসড়কে যানজটের কারণে আনন্দযাত্রা হয়ে ওঠে ভোগান্তির। টঙ্গীতে বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প, পদ্মাসহ বিভিন্ন বড় সেতুর টোল প্লাজায় ধীরগতি, বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই পাশের অপ্রশস্ত মহাসড়ক, বিভিন্ন মহাসড়কে অবৈধ স্ট্যান্ড, যত্রতত্র বাস থামানো, যানবাহনের অতিরিক্ত চাপসহ বিভিন্ন কারণে এবারও সেই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীদের জন্য কোনো সুখবর নেই। যানজটের দুর্ভোগ মাথায় রেখেই রওনা দিতে হবে তাঁদের।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়কপথে যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করা নিয়ে গতকাল রোববার মতবিনিময় সভাতেও পদ্মা সেতুসহ বড় সেতুতে টোল আদায়ে ধীরগতির বিষয়টি উঠে আসে। সভায় সেতুসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুতে অটোমেটিক টোল আদায়ের চিন্তা করা হচ্ছে। তবে তা ঈদের আগে সম্ভব নয়। ঈদে সেতুর ছয়টি টোল প্লাজার পাশাপাশি একটি জরুরি বুথ চালু করা হবে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন ও আরও দুটি টোল বুথ করা হবে। সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়কে দায়িত্ব পালনকারী সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
ঈদযাত্রা সামনে রেখে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা বিভিন্ন মহাসড়ক ঘুরে দেখেছেন। মহাসড়কগুলোর অবস্থা ও যানজটের সম্ভাব্য কারণ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন মহাসড়কে ভোগান্তির সংশয় থাকলেও ব্যতিক্রম হতে পারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। এই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান চওড়া করায় যানজটের তেমন আশঙ্কা নেই।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ভোগ থাকছেই
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ব্যবহার করে ঈদে ঘরমুখী মানুষের জন্য এবারও ভোগান্তির মুক্তির তেমন সম্ভাবনা নেই। এর প্রধান কারণ চলমান বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিআরটির কাজের কারণে টঙ্গীতে মহাসড়কের অনেক অংশ সরু হয়ে কার্যত এক লেন হয়ে গেছে।টঙ্গী থেকে টঙ্গী বিসিক এলাকা পর্যন্ত অংশের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ রয়েছে। অনেক অংশে কার্পেটিং হয়নি। যানবাহনগুলোকে চলতে হচ্ছে ধীরগতিতে। ফলে স্বাভাবিক সময়েই তীব্র যানজট থাকছে। ঈদযাত্রায় বাড়তি যানবাহনের চাপে তা আরও দীর্ঘ হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই মহাসড়ক দিয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয়টি ও উত্তরাঞ্চলের ২৩ জেলার যানবাহন চলে। এই মহাসড়কে রাজধানী থেকে তুরাগ সেতুর দুই লেন দিয়ে যানবাহন টঙ্গীতে ঢুকছে। কিন্তু টঙ্গী থেকে এক লেনে ঢাকায় যাওয়ায় ওই লেনে ধীরগতির কারণে যানজট লেগে আছে। বাটার সামনে ফ্লাইওভার, আজমপুর ফ্লাইওভারের সামনে যানজট লেগে থাকছে। এ ছাড়া মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থান সরু হয়ে পড়েছে। রয়েছে খানাখন্দ।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে গাজীপুর মহানগর পুলিশ বিআরটি কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে বলে জানা গেছে। তবে বিআরটি কর্তৃপক্ষ বলছে, শিগগির এ রাস্তার সংকট দূর করা সম্ভব নয়। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শিগগির সমস্যা কাটবে না।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক
দুই লেনের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটে পড়তে হয় ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, মহাসড়কে অবৈধ স্ট্যান্ড এই যানজটের অন্যতম কারণ। মহাসড়কটির নারায়ণগঞ্জ অংশের ২৫ কিলোমিটারে সরেজমিন দেখা যায়, কাঁচপুর মোড়ে রাস্তা আটকে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা হয়। তারাব বিশ্বরোড মোড় ঘুরতে বেশি সময় নিচ্ছে যানবাহনগুলো। রূপসী মোড়ে রাস্তা সংকুচিত হয়ে গেছে অবৈধ লেগুনাস্ট্যান্ডের কারণে। বরপা মোড়েও আছে স্ট্যান্ড, সড়কেও খানাখন্দ। ভুলতা ফ্লাইওভারের নিচে বাজার ও লোকাল বাসের চাপে সরু হয়ে গেছে রাস্তা। ঢাকা-সিলেট পথের বাসের চালক নাবিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, তারাব বিশ্বরোড আর ভুলতা অংশে যানজট বেশি হয়। এতে অনেক সময় চলে যায়। কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দুই লেন হওয়ায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি বেড়ে যায়। আমরা এবার বেশ কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করেছি। কেউ অনিয়ম করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও জটের শঙ্কা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে অন্তত চারটি স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে। এই অংশে বছরের বেশির ভাগ সময়ই যানজট থাকে। শিমরাইল, মদনপুর, মোগড়াপাড়া এবং মেঘনা টোল প্লাজায় এবার ঈদযাত্রায় যানজট আরও তীব্র হতে পারে বলে শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। হাইওয়ে পুলিশ সূত্র বলছে, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ অংশের ওপর দিয়ে অন্তত ১৮ হাজার যানবাহন যাতায়াত করে। ঈদযাত্রার শুরুর দিকে এ সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২৪ হাজার। পরে আরও বাড়ে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার অংশ নিয়েই ঈদযাত্রায় দুশ্চিন্তা। এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কটির ৬০ কিলোমিটার অংশ ইতিমধ্যে ছয় লেনে উন্নীত করায় যানজটের আশঙ্কা নেই। তবে এলেঙ্গার পর মহাসড়ক দুই লেনের হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ঈদের সময় যানবাহনের চাপ বাড়বে। এতে জটও বাড়তে পারে। এ ছাড়া এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত মহাসড়কে চলমান উন্নয়নকাজও ঈদে যানজট বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
এলেঙ্গায় সড়ক উন্নয়নকাজ করা আবদুল মোনেম কোম্পানি লিমিটেডের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মিজান সারোয়ার বলেন, ঈদের আগেই এলেঙ্গা থেকে ভূঞাপুর সংযোগ সড়ক পর্যন্ত চার লেনের ১ হাজার ২০০ মিটার কাজ শেষ করা হবে। এতে ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমে আসবে। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে সমন্বয় সভা হয়েছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব।’
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক
ঈদযাত্রায় সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা জানালেন এই পথে চলাচলকারী বাসচালক ও যাত্রীরা। ইতিমধ্যে এই অংশের ১৪টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার অংশে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে, যা সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের নয়টি জেলামুখী মানুষকে ঈদযাত্রায় ভোগান্তিতে ফেলতে পারে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, ঈদের সময় যানবাহনের চাপ অবশ্যই বাড়বে। তা ছাড়া, টোল আদায়েও সময় লাগে। তবে ব্যবস্থাপনা ভালো করা গেলে যানজট কমে আসবে।
শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের চালক সাব্বির হোসেন বলেন, চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল পর্যন্ত মহাসড়কে কাজ ধীরগতিতে চলছে। এই গতির কাজে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়বে।
সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে বগুড়ার চান্দাইকোনা বাজারের পশ্চিম পাশের দুই লেনের কাজ শেষ হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব পাশের দুই লেনের কাজও শেষ হবে।’
পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ে ধীরগতি
পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে বর্তমানে ছয়টি করে মোট ১২টি টোল বুথ রয়েছে। তবে সেতুতে টোল আদায়ে ধীরগতি রয়েছে। এ কারণে প্রায়ই সেতুর দুই প্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের। ঈদের সময় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ এই জটও দীর্ঘ করতে পারে। যা ভোগান্তিতে ফেলবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলামুখী যাত্রীদের। মাদারীপুর পরিবহনের সুপারভাইজার বিপুল ঘোষ বলেন, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় বুথের সংখ্যা কম হওয়ার পাশাপাশি দক্ষ জনবলেরও অভাব রয়েছে। ঈদে বুথের সংখ্যা বাড়ানো না গেলে যানজটে ভোগান্তি বাড়বে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের সড়ক নেটওয়ার্ক মানসম্মত নয়। যানজটের প্রধান হটস্পট হচ্ছে মোড়। ওখান থেকেই জট শুরু হয়। তবে এই বিজ্ঞানটা আমাদের এখানে যাঁরা রাস্তা নির্মাণের সঙ্গে জড়িত, তাঁরা বোঝেন না। তাঁরা মনে করেন রাস্তা চওড়া করলেই হয়তো যানজট কমে যাবে। বরং তাতে যানজট আরও বাড়ে। রাস্তা চওড়া করে আট লেন হলেও সানারপাড় বা সাইনবোর্ড মোড়–এসব জায়গার যানজট নিরসনে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আমাদের নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও গাজীপুর প্রতিনিধি]

নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শুরু হবে আর কয়েক দিন পরেই। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে। বেশির ভাগ যাত্রাই হবে সড়কপথে।প্রতিবারই কোনো না কোনো মহাসড়কে যানজটের কারণে আনন্দযাত্রা হয়ে ওঠে ভোগান্তির। টঙ্গীতে বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প, পদ্মাসহ বিভিন্ন বড় সেতুর টোল প্লাজায় ধীরগতি, বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই পাশের অপ্রশস্ত মহাসড়ক, বিভিন্ন মহাসড়কে অবৈধ স্ট্যান্ড, যত্রতত্র বাস থামানো, যানবাহনের অতিরিক্ত চাপসহ বিভিন্ন কারণে এবারও সেই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীদের জন্য কোনো সুখবর নেই। যানজটের দুর্ভোগ মাথায় রেখেই রওনা দিতে হবে তাঁদের।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়কপথে যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করা নিয়ে গতকাল রোববার মতবিনিময় সভাতেও পদ্মা সেতুসহ বড় সেতুতে টোল আদায়ে ধীরগতির বিষয়টি উঠে আসে। সভায় সেতুসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুতে অটোমেটিক টোল আদায়ের চিন্তা করা হচ্ছে। তবে তা ঈদের আগে সম্ভব নয়। ঈদে সেতুর ছয়টি টোল প্লাজার পাশাপাশি একটি জরুরি বুথ চালু করা হবে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন ও আরও দুটি টোল বুথ করা হবে। সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়কে দায়িত্ব পালনকারী সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
ঈদযাত্রা সামনে রেখে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা বিভিন্ন মহাসড়ক ঘুরে দেখেছেন। মহাসড়কগুলোর অবস্থা ও যানজটের সম্ভাব্য কারণ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন মহাসড়কে ভোগান্তির সংশয় থাকলেও ব্যতিক্রম হতে পারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। এই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান চওড়া করায় যানজটের তেমন আশঙ্কা নেই।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ভোগ থাকছেই
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ব্যবহার করে ঈদে ঘরমুখী মানুষের জন্য এবারও ভোগান্তির মুক্তির তেমন সম্ভাবনা নেই। এর প্রধান কারণ চলমান বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিআরটির কাজের কারণে টঙ্গীতে মহাসড়কের অনেক অংশ সরু হয়ে কার্যত এক লেন হয়ে গেছে।টঙ্গী থেকে টঙ্গী বিসিক এলাকা পর্যন্ত অংশের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ রয়েছে। অনেক অংশে কার্পেটিং হয়নি। যানবাহনগুলোকে চলতে হচ্ছে ধীরগতিতে। ফলে স্বাভাবিক সময়েই তীব্র যানজট থাকছে। ঈদযাত্রায় বাড়তি যানবাহনের চাপে তা আরও দীর্ঘ হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই মহাসড়ক দিয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয়টি ও উত্তরাঞ্চলের ২৩ জেলার যানবাহন চলে। এই মহাসড়কে রাজধানী থেকে তুরাগ সেতুর দুই লেন দিয়ে যানবাহন টঙ্গীতে ঢুকছে। কিন্তু টঙ্গী থেকে এক লেনে ঢাকায় যাওয়ায় ওই লেনে ধীরগতির কারণে যানজট লেগে আছে। বাটার সামনে ফ্লাইওভার, আজমপুর ফ্লাইওভারের সামনে যানজট লেগে থাকছে। এ ছাড়া মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থান সরু হয়ে পড়েছে। রয়েছে খানাখন্দ।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে গাজীপুর মহানগর পুলিশ বিআরটি কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে বলে জানা গেছে। তবে বিআরটি কর্তৃপক্ষ বলছে, শিগগির এ রাস্তার সংকট দূর করা সম্ভব নয়। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শিগগির সমস্যা কাটবে না।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক
দুই লেনের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটে পড়তে হয় ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, মহাসড়কে অবৈধ স্ট্যান্ড এই যানজটের অন্যতম কারণ। মহাসড়কটির নারায়ণগঞ্জ অংশের ২৫ কিলোমিটারে সরেজমিন দেখা যায়, কাঁচপুর মোড়ে রাস্তা আটকে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা হয়। তারাব বিশ্বরোড মোড় ঘুরতে বেশি সময় নিচ্ছে যানবাহনগুলো। রূপসী মোড়ে রাস্তা সংকুচিত হয়ে গেছে অবৈধ লেগুনাস্ট্যান্ডের কারণে। বরপা মোড়েও আছে স্ট্যান্ড, সড়কেও খানাখন্দ। ভুলতা ফ্লাইওভারের নিচে বাজার ও লোকাল বাসের চাপে সরু হয়ে গেছে রাস্তা। ঢাকা-সিলেট পথের বাসের চালক নাবিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, তারাব বিশ্বরোড আর ভুলতা অংশে যানজট বেশি হয়। এতে অনেক সময় চলে যায়। কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দুই লেন হওয়ায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি বেড়ে যায়। আমরা এবার বেশ কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করেছি। কেউ অনিয়ম করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও জটের শঙ্কা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে অন্তত চারটি স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে। এই অংশে বছরের বেশির ভাগ সময়ই যানজট থাকে। শিমরাইল, মদনপুর, মোগড়াপাড়া এবং মেঘনা টোল প্লাজায় এবার ঈদযাত্রায় যানজট আরও তীব্র হতে পারে বলে শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। হাইওয়ে পুলিশ সূত্র বলছে, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ অংশের ওপর দিয়ে অন্তত ১৮ হাজার যানবাহন যাতায়াত করে। ঈদযাত্রার শুরুর দিকে এ সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২৪ হাজার। পরে আরও বাড়ে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার অংশ নিয়েই ঈদযাত্রায় দুশ্চিন্তা। এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কটির ৬০ কিলোমিটার অংশ ইতিমধ্যে ছয় লেনে উন্নীত করায় যানজটের আশঙ্কা নেই। তবে এলেঙ্গার পর মহাসড়ক দুই লেনের হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ঈদের সময় যানবাহনের চাপ বাড়বে। এতে জটও বাড়তে পারে। এ ছাড়া এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত মহাসড়কে চলমান উন্নয়নকাজও ঈদে যানজট বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
এলেঙ্গায় সড়ক উন্নয়নকাজ করা আবদুল মোনেম কোম্পানি লিমিটেডের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মিজান সারোয়ার বলেন, ঈদের আগেই এলেঙ্গা থেকে ভূঞাপুর সংযোগ সড়ক পর্যন্ত চার লেনের ১ হাজার ২০০ মিটার কাজ শেষ করা হবে। এতে ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমে আসবে। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে সমন্বয় সভা হয়েছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব।’
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক
ঈদযাত্রায় সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা জানালেন এই পথে চলাচলকারী বাসচালক ও যাত্রীরা। ইতিমধ্যে এই অংশের ১৪টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার অংশে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে, যা সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের নয়টি জেলামুখী মানুষকে ঈদযাত্রায় ভোগান্তিতে ফেলতে পারে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, ঈদের সময় যানবাহনের চাপ অবশ্যই বাড়বে। তা ছাড়া, টোল আদায়েও সময় লাগে। তবে ব্যবস্থাপনা ভালো করা গেলে যানজট কমে আসবে।
শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের চালক সাব্বির হোসেন বলেন, চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল পর্যন্ত মহাসড়কে কাজ ধীরগতিতে চলছে। এই গতির কাজে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়বে।
সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে বগুড়ার চান্দাইকোনা বাজারের পশ্চিম পাশের দুই লেনের কাজ শেষ হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব পাশের দুই লেনের কাজও শেষ হবে।’
পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ে ধীরগতি
পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে বর্তমানে ছয়টি করে মোট ১২টি টোল বুথ রয়েছে। তবে সেতুতে টোল আদায়ে ধীরগতি রয়েছে। এ কারণে প্রায়ই সেতুর দুই প্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের। ঈদের সময় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ এই জটও দীর্ঘ করতে পারে। যা ভোগান্তিতে ফেলবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলামুখী যাত্রীদের। মাদারীপুর পরিবহনের সুপারভাইজার বিপুল ঘোষ বলেন, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় বুথের সংখ্যা কম হওয়ার পাশাপাশি দক্ষ জনবলেরও অভাব রয়েছে। ঈদে বুথের সংখ্যা বাড়ানো না গেলে যানজটে ভোগান্তি বাড়বে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের সড়ক নেটওয়ার্ক মানসম্মত নয়। যানজটের প্রধান হটস্পট হচ্ছে মোড়। ওখান থেকেই জট শুরু হয়। তবে এই বিজ্ঞানটা আমাদের এখানে যাঁরা রাস্তা নির্মাণের সঙ্গে জড়িত, তাঁরা বোঝেন না। তাঁরা মনে করেন রাস্তা চওড়া করলেই হয়তো যানজট কমে যাবে। বরং তাতে যানজট আরও বাড়ে। রাস্তা চওড়া করে আট লেন হলেও সানারপাড় বা সাইনবোর্ড মোড়–এসব জায়গার যানজট নিরসনে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আমাদের নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও গাজীপুর প্রতিনিধি]

নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শুরু হবে আর কয়েক দিন পরেই। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে। বেশির ভাগ যাত্রাই হবে সড়কপথে।প্রতিবারই কোনো না কোনো মহাসড়কে যানজটের কারণে আনন্দযাত্রা হয়ে ওঠে ভোগান্তির। টঙ্গীতে বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প, পদ্মাসহ বিভিন্ন বড় সেতুর টোল প্লাজায় ধীরগতি, বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই পাশের অপ্রশস্ত মহাসড়ক, বিভিন্ন মহাসড়কে অবৈধ স্ট্যান্ড, যত্রতত্র বাস থামানো, যানবাহনের অতিরিক্ত চাপসহ বিভিন্ন কারণে এবারও সেই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীদের জন্য কোনো সুখবর নেই। যানজটের দুর্ভোগ মাথায় রেখেই রওনা দিতে হবে তাঁদের।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়কপথে যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করা নিয়ে গতকাল রোববার মতবিনিময় সভাতেও পদ্মা সেতুসহ বড় সেতুতে টোল আদায়ে ধীরগতির বিষয়টি উঠে আসে। সভায় সেতুসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুতে অটোমেটিক টোল আদায়ের চিন্তা করা হচ্ছে। তবে তা ঈদের আগে সম্ভব নয়। ঈদে সেতুর ছয়টি টোল প্লাজার পাশাপাশি একটি জরুরি বুথ চালু করা হবে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন ও আরও দুটি টোল বুথ করা হবে। সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়কে দায়িত্ব পালনকারী সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
ঈদযাত্রা সামনে রেখে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা বিভিন্ন মহাসড়ক ঘুরে দেখেছেন। মহাসড়কগুলোর অবস্থা ও যানজটের সম্ভাব্য কারণ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন মহাসড়কে ভোগান্তির সংশয় থাকলেও ব্যতিক্রম হতে পারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। এই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান চওড়া করায় যানজটের তেমন আশঙ্কা নেই।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ভোগ থাকছেই
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ব্যবহার করে ঈদে ঘরমুখী মানুষের জন্য এবারও ভোগান্তির মুক্তির তেমন সম্ভাবনা নেই। এর প্রধান কারণ চলমান বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিআরটির কাজের কারণে টঙ্গীতে মহাসড়কের অনেক অংশ সরু হয়ে কার্যত এক লেন হয়ে গেছে।টঙ্গী থেকে টঙ্গী বিসিক এলাকা পর্যন্ত অংশের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ রয়েছে। অনেক অংশে কার্পেটিং হয়নি। যানবাহনগুলোকে চলতে হচ্ছে ধীরগতিতে। ফলে স্বাভাবিক সময়েই তীব্র যানজট থাকছে। ঈদযাত্রায় বাড়তি যানবাহনের চাপে তা আরও দীর্ঘ হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই মহাসড়ক দিয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয়টি ও উত্তরাঞ্চলের ২৩ জেলার যানবাহন চলে। এই মহাসড়কে রাজধানী থেকে তুরাগ সেতুর দুই লেন দিয়ে যানবাহন টঙ্গীতে ঢুকছে। কিন্তু টঙ্গী থেকে এক লেনে ঢাকায় যাওয়ায় ওই লেনে ধীরগতির কারণে যানজট লেগে আছে। বাটার সামনে ফ্লাইওভার, আজমপুর ফ্লাইওভারের সামনে যানজট লেগে থাকছে। এ ছাড়া মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থান সরু হয়ে পড়েছে। রয়েছে খানাখন্দ।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে গাজীপুর মহানগর পুলিশ বিআরটি কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে বলে জানা গেছে। তবে বিআরটি কর্তৃপক্ষ বলছে, শিগগির এ রাস্তার সংকট দূর করা সম্ভব নয়। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শিগগির সমস্যা কাটবে না।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক
দুই লেনের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটে পড়তে হয় ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, মহাসড়কে অবৈধ স্ট্যান্ড এই যানজটের অন্যতম কারণ। মহাসড়কটির নারায়ণগঞ্জ অংশের ২৫ কিলোমিটারে সরেজমিন দেখা যায়, কাঁচপুর মোড়ে রাস্তা আটকে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা হয়। তারাব বিশ্বরোড মোড় ঘুরতে বেশি সময় নিচ্ছে যানবাহনগুলো। রূপসী মোড়ে রাস্তা সংকুচিত হয়ে গেছে অবৈধ লেগুনাস্ট্যান্ডের কারণে। বরপা মোড়েও আছে স্ট্যান্ড, সড়কেও খানাখন্দ। ভুলতা ফ্লাইওভারের নিচে বাজার ও লোকাল বাসের চাপে সরু হয়ে গেছে রাস্তা। ঢাকা-সিলেট পথের বাসের চালক নাবিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, তারাব বিশ্বরোড আর ভুলতা অংশে যানজট বেশি হয়। এতে অনেক সময় চলে যায়। কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দুই লেন হওয়ায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি বেড়ে যায়। আমরা এবার বেশ কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করেছি। কেউ অনিয়ম করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও জটের শঙ্কা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে অন্তত চারটি স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে। এই অংশে বছরের বেশির ভাগ সময়ই যানজট থাকে। শিমরাইল, মদনপুর, মোগড়াপাড়া এবং মেঘনা টোল প্লাজায় এবার ঈদযাত্রায় যানজট আরও তীব্র হতে পারে বলে শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। হাইওয়ে পুলিশ সূত্র বলছে, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ অংশের ওপর দিয়ে অন্তত ১৮ হাজার যানবাহন যাতায়াত করে। ঈদযাত্রার শুরুর দিকে এ সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২৪ হাজার। পরে আরও বাড়ে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার অংশ নিয়েই ঈদযাত্রায় দুশ্চিন্তা। এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কটির ৬০ কিলোমিটার অংশ ইতিমধ্যে ছয় লেনে উন্নীত করায় যানজটের আশঙ্কা নেই। তবে এলেঙ্গার পর মহাসড়ক দুই লেনের হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ঈদের সময় যানবাহনের চাপ বাড়বে। এতে জটও বাড়তে পারে। এ ছাড়া এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত মহাসড়কে চলমান উন্নয়নকাজও ঈদে যানজট বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
এলেঙ্গায় সড়ক উন্নয়নকাজ করা আবদুল মোনেম কোম্পানি লিমিটেডের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মিজান সারোয়ার বলেন, ঈদের আগেই এলেঙ্গা থেকে ভূঞাপুর সংযোগ সড়ক পর্যন্ত চার লেনের ১ হাজার ২০০ মিটার কাজ শেষ করা হবে। এতে ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমে আসবে। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে সমন্বয় সভা হয়েছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব।’
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক
ঈদযাত্রায় সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা জানালেন এই পথে চলাচলকারী বাসচালক ও যাত্রীরা। ইতিমধ্যে এই অংশের ১৪টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার অংশে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে, যা সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের নয়টি জেলামুখী মানুষকে ঈদযাত্রায় ভোগান্তিতে ফেলতে পারে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, ঈদের সময় যানবাহনের চাপ অবশ্যই বাড়বে। তা ছাড়া, টোল আদায়েও সময় লাগে। তবে ব্যবস্থাপনা ভালো করা গেলে যানজট কমে আসবে।
শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের চালক সাব্বির হোসেন বলেন, চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল পর্যন্ত মহাসড়কে কাজ ধীরগতিতে চলছে। এই গতির কাজে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়বে।
সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে বগুড়ার চান্দাইকোনা বাজারের পশ্চিম পাশের দুই লেনের কাজ শেষ হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব পাশের দুই লেনের কাজও শেষ হবে।’
পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ে ধীরগতি
পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে বর্তমানে ছয়টি করে মোট ১২টি টোল বুথ রয়েছে। তবে সেতুতে টোল আদায়ে ধীরগতি রয়েছে। এ কারণে প্রায়ই সেতুর দুই প্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের। ঈদের সময় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ এই জটও দীর্ঘ করতে পারে। যা ভোগান্তিতে ফেলবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলামুখী যাত্রীদের। মাদারীপুর পরিবহনের সুপারভাইজার বিপুল ঘোষ বলেন, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় বুথের সংখ্যা কম হওয়ার পাশাপাশি দক্ষ জনবলেরও অভাব রয়েছে। ঈদে বুথের সংখ্যা বাড়ানো না গেলে যানজটে ভোগান্তি বাড়বে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের সড়ক নেটওয়ার্ক মানসম্মত নয়। যানজটের প্রধান হটস্পট হচ্ছে মোড়। ওখান থেকেই জট শুরু হয়। তবে এই বিজ্ঞানটা আমাদের এখানে যাঁরা রাস্তা নির্মাণের সঙ্গে জড়িত, তাঁরা বোঝেন না। তাঁরা মনে করেন রাস্তা চওড়া করলেই হয়তো যানজট কমে যাবে। বরং তাতে যানজট আরও বাড়ে। রাস্তা চওড়া করে আট লেন হলেও সানারপাড় বা সাইনবোর্ড মোড়–এসব জায়গার যানজট নিরসনে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আমাদের নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও গাজীপুর প্রতিনিধি]

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শুরু হবে আর কয়েক দিন পরেই। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে। বেশির ভাগ যাত্রাই হবে সড়কপথে।প্রতিবারই কোনো না কোনো মহাসড়কে যানজটের কারণে আনন্দযাত্রা হয়ে ওঠে ভোগান্তির।
১০ এপ্রিল ২০২৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শুরু হবে আর কয়েক দিন পরেই। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে। বেশির ভাগ যাত্রাই হবে সড়কপথে।প্রতিবারই কোনো না কোনো মহাসড়কে যানজটের কারণে আনন্দযাত্রা হয়ে ওঠে ভোগান্তির।
১০ এপ্রিল ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শুরু হবে আর কয়েক দিন পরেই। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে। বেশির ভাগ যাত্রাই হবে সড়কপথে।প্রতিবারই কোনো না কোনো মহাসড়কে যানজটের কারণে আনন্দযাত্রা হয়ে ওঠে ভোগান্তির।
১০ এপ্রিল ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শুরু হবে আর কয়েক দিন পরেই। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে। বেশির ভাগ যাত্রাই হবে সড়কপথে।প্রতিবারই কোনো না কোনো মহাসড়কে যানজটের কারণে আনন্দযাত্রা হয়ে ওঠে ভোগান্তির।
১০ এপ্রিল ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫