আজিজুর রহমান, চৌগাছা (যশোর)
চৌগাছায় পাকা ধান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। একদিকে ধান কাটা শ্রমিকের সংকট, অন্যদিকে শেষ সময়ে মাঠে মাঠে কারেন্ট পোকার আক্রমণ। কোনো কোনো খেতে ধান পাকার উপক্রম হওয়ায় কীটনাশকও ছিটাতে পারছেন না তাঁরা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আরেক শঙ্কা—বৃষ্টি। ফলে ধান নষ্টের পাশাপাশি পশুখাদ্য বিচালি ঘরে তোলা নিয়েও তাঁরা চিন্তায় পড়েছেন।
কৃষকেরা বলছেন, হঠাৎ ঈদের এক সপ্তাহ আগে এবং ঈদের দিন ও তাঁর এক দিন পরে হওয়া বৃষ্টিতে মাঠে মাঠে কারেন্ট পোকার আক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। চোখের সামনে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করতে দেখেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
জানা গেছে, গত বছর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা অতিবৃষ্টিতে উপজেলার ধান চাষ প্রায় এক মাস পিছিয়ে যায়। সে কারণে চলতি মৌসুমে ধান পাকতেও দেরি হয়েছে। আবার ঠিক ঈদের সময়ে ধান পাকা শুরু হওয়ায় ছুটির মধ্যে শ্রমিক পাওয়া যায়নি। একই সময়ে আবার বৃষ্টিও তাঁদের ধান কাটায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে। ফলে এখন উপজেলার সব মাঠে একসঙ্গে ধান পেকে যাওয়ায় শ্রমিকসংকট চরমে পৌঁছেছে। অন্যদিকে আবহাওয়া অফিসের সতর্কতা অনুযায়ী আগামী ১০ মের পর সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের ফলে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর। সেখানে ১৮ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১৫০ হেক্টর বেশি। যাতে এক লাখ ১১ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কোনো কোনো খেত বিঘাপ্রতি ৪০ মণ পর্যন্ত ধান উৎপাদন হয়েছে এবার।
উপজেলার সিংহঝুলি, বাঘারদাড়ি, গয়ড়া, বেড়গোবিন্দপুর, লস্কারপুর, নারায়ণপুর, চাঁদপাড়া, রামকৃষ্ণপুর, সুখপুকুরিয়া, সলুয়া, পাশাপোল, বাড়িয়ালি, ধুলিয়ানি, ফতেপুর, কাবিলপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি মাঠেই কারেন্ট পোকার আক্রমণ চরম আকারে পৌঁছেছে।
সিংহঝুলি গ্রামের কৃষক টনিরাজ, জামশেদ আলী, বাঘারদাড়ি গ্রামের অহেদ আলী ও সোহরাব হোসেন শ্রবণ, বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের আলী কদর, গয়ড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আতাউল হক, চাঁদপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন, লস্কারপুর গ্রামের টুটুল হোসেন প্রমুখ চাষিরা জানান, তাঁদের প্রতিটি মাঠেই কারেন্ট পোকা আক্রমণ করেছে।
তাঁরা জানান, ঝড় বৃষ্টিতে ধান মাটিতে পড়ে আছে। শ্রমিক সংকটে কাটতে পারছেন না। তার ওপর কারেন্ট পোকার আক্রমণে বিচালিও হবে না। ফলে প্রতি বিঘায় শুধু বিচালিতেই কৃষকের ক্ষতি হবে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে পশুখাদ্যের সংকটও দেখা দিতে পারে।
গয়ড়া গ্রামের চাষি সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আতাউল হক বলেন, ‘এক বিঘা জমির ধান কাটা, বাঁধা ও ঝাড়তে ছয় হাজার থেকে আট হাজার টাকা দাবি করছেন শ্রমিকেরা। তবু পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। আবার মাঠে কারেন্ট পোকার আক্রমণে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।’
লস্কারপুর গ্রামের কৃষক টুটুল হোসেন বলেন, ‘ধান কাটা একজন শ্রমিক সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পাঁচ কাঠা (প্রায় আট শতাংশ) জমির ধান কাটতে পারেন। গ্রামে এ রকম একজন শ্রমিককে ৬০০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিলেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে মঙ্গলবার থেকেই বৃষ্টি হতে পারে ভেবে ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।’
চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, ‘কারেন্ট পোকার আক্রমণে কৃষকের কোনো ক্ষতি হবে না। আক্রমণের দেড় মাস না হলে পোকা পরিপক্ব হয় না এবং তাতে ধানের কোনো ক্ষতি হয় না। এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে।’
শ্রমিক সংকটের বিষয়ে সমরেন বিশ্বাস বলেন, ‘ঈদের কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে এখন সাতক্ষীরা চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলার শ্রমিক এসে যাওয়ায় কোনো সমস্যা হবে না। ৮০ শতাংশ ধান পেকে গেলেই কৃষকের ধান কেটে নেওয়া পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
চৌগাছায় পাকা ধান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। একদিকে ধান কাটা শ্রমিকের সংকট, অন্যদিকে শেষ সময়ে মাঠে মাঠে কারেন্ট পোকার আক্রমণ। কোনো কোনো খেতে ধান পাকার উপক্রম হওয়ায় কীটনাশকও ছিটাতে পারছেন না তাঁরা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আরেক শঙ্কা—বৃষ্টি। ফলে ধান নষ্টের পাশাপাশি পশুখাদ্য বিচালি ঘরে তোলা নিয়েও তাঁরা চিন্তায় পড়েছেন।
কৃষকেরা বলছেন, হঠাৎ ঈদের এক সপ্তাহ আগে এবং ঈদের দিন ও তাঁর এক দিন পরে হওয়া বৃষ্টিতে মাঠে মাঠে কারেন্ট পোকার আক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। চোখের সামনে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করতে দেখেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
জানা গেছে, গত বছর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা অতিবৃষ্টিতে উপজেলার ধান চাষ প্রায় এক মাস পিছিয়ে যায়। সে কারণে চলতি মৌসুমে ধান পাকতেও দেরি হয়েছে। আবার ঠিক ঈদের সময়ে ধান পাকা শুরু হওয়ায় ছুটির মধ্যে শ্রমিক পাওয়া যায়নি। একই সময়ে আবার বৃষ্টিও তাঁদের ধান কাটায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে। ফলে এখন উপজেলার সব মাঠে একসঙ্গে ধান পেকে যাওয়ায় শ্রমিকসংকট চরমে পৌঁছেছে। অন্যদিকে আবহাওয়া অফিসের সতর্কতা অনুযায়ী আগামী ১০ মের পর সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের ফলে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর। সেখানে ১৮ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১৫০ হেক্টর বেশি। যাতে এক লাখ ১১ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কোনো কোনো খেত বিঘাপ্রতি ৪০ মণ পর্যন্ত ধান উৎপাদন হয়েছে এবার।
উপজেলার সিংহঝুলি, বাঘারদাড়ি, গয়ড়া, বেড়গোবিন্দপুর, লস্কারপুর, নারায়ণপুর, চাঁদপাড়া, রামকৃষ্ণপুর, সুখপুকুরিয়া, সলুয়া, পাশাপোল, বাড়িয়ালি, ধুলিয়ানি, ফতেপুর, কাবিলপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি মাঠেই কারেন্ট পোকার আক্রমণ চরম আকারে পৌঁছেছে।
সিংহঝুলি গ্রামের কৃষক টনিরাজ, জামশেদ আলী, বাঘারদাড়ি গ্রামের অহেদ আলী ও সোহরাব হোসেন শ্রবণ, বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের আলী কদর, গয়ড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আতাউল হক, চাঁদপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন, লস্কারপুর গ্রামের টুটুল হোসেন প্রমুখ চাষিরা জানান, তাঁদের প্রতিটি মাঠেই কারেন্ট পোকা আক্রমণ করেছে।
তাঁরা জানান, ঝড় বৃষ্টিতে ধান মাটিতে পড়ে আছে। শ্রমিক সংকটে কাটতে পারছেন না। তার ওপর কারেন্ট পোকার আক্রমণে বিচালিও হবে না। ফলে প্রতি বিঘায় শুধু বিচালিতেই কৃষকের ক্ষতি হবে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে পশুখাদ্যের সংকটও দেখা দিতে পারে।
গয়ড়া গ্রামের চাষি সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আতাউল হক বলেন, ‘এক বিঘা জমির ধান কাটা, বাঁধা ও ঝাড়তে ছয় হাজার থেকে আট হাজার টাকা দাবি করছেন শ্রমিকেরা। তবু পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। আবার মাঠে কারেন্ট পোকার আক্রমণে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।’
লস্কারপুর গ্রামের কৃষক টুটুল হোসেন বলেন, ‘ধান কাটা একজন শ্রমিক সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পাঁচ কাঠা (প্রায় আট শতাংশ) জমির ধান কাটতে পারেন। গ্রামে এ রকম একজন শ্রমিককে ৬০০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিলেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে মঙ্গলবার থেকেই বৃষ্টি হতে পারে ভেবে ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।’
চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, ‘কারেন্ট পোকার আক্রমণে কৃষকের কোনো ক্ষতি হবে না। আক্রমণের দেড় মাস না হলে পোকা পরিপক্ব হয় না এবং তাতে ধানের কোনো ক্ষতি হয় না। এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে।’
শ্রমিক সংকটের বিষয়ে সমরেন বিশ্বাস বলেন, ‘ঈদের কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে এখন সাতক্ষীরা চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলার শ্রমিক এসে যাওয়ায় কোনো সমস্যা হবে না। ৮০ শতাংশ ধান পেকে গেলেই কৃষকের ধান কেটে নেওয়া পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪