গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হচ্ছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার অবহেলিত মাগুরখালীতে। যোগাযোগ থেকে শুরু করে পানি পরিশোধন ও সরবরাহ প্রকল্প স্থাপন, মন্দির-মসজিদ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎসহ প্রায় সব খাতে উন্নয়ন হয়েছে বা হচ্ছে। নির্মাণাধীন চটচটিয়া সেতু ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছেন ডুমুরিয়াবাসী। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ সেতুটি চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। এটি চালু হলে মানুষ খুব সহজেই পাইকগাছা হয়ে খুলনা ও সাতক্ষীরা শহরে পৌঁছাতে পারবে। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত ইউনিয়ন ছিল ১৪ নম্বর মাগুরখালী। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৭ / ১ ফোল্ডার আওতাধীন মাগুরখালী ইউনিয়নের শিবনগর, পুর্বপাতিবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া, পশ্চিমপাতিবুনিয়া, ঝরঝরিয়া, কাঠালিয়া, ব্রহ্মারবেড়, বৈঠাহারা, শেখেরট্যাক, মহাদেবপুর, মাগুরখালী, কোড়াকাটা, খোরেরাবাদ, হেতাইলবুনিয়া, চিত্রামারী, পারমাগুরখালী, গজালীয়া, আলাদিপুর ও নাথেরকুল গ্রাম মিলে প্রায় ১৮ হাজার লোকের বসবাস। শহর থেকে এলাকাটি দূরে হওয়াতে এ যাবৎ কাল তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এখানে।
চলাচলের ভালো কোন রাস্তা না থাকায় এলাকার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ সহ্য করে আসছে। এখানকার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা। নৌকা যোগে তারা গ্রামের এবাড়ি ওবাড়ি বা শহরে যাওয়া আসা করত।
রাস্তাঘাট যা একটু আধটু ছিল তা বর্ষাকালে হাঁটু কাঁদা হয়ে যেতো। ফলে শহরের সঙ্গে মাগুরখালী এলাকার মানুষের যোগাযোগ একেবারই কম ছিল। সেই সময় অনেক অসুস্থ রোগীকে অকালে প্রাণ হারাতেও হয়েছে চিকিৎসার অভাবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় এক সময় মাগুরখালীর মানুষ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে মাগুরখালীতে প্রায় সব সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়নকাজ চলছে। মাগুরখালী ইউনিয়নে ছোট বড় মিলে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। যার মধ্যে ৯০ কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং ও ইটের সোলিং দ্বারা উন্নয়ন হয়েছে। প্রায় আড়াই’শ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ মাগুরখালীতে বাস্তবায়নের পথে।
মাগুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা বলেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সুফল পুরোপুরিভাবেই পাচ্ছেন মাগুরখালীবাসী। এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করতে খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র ছন্দ যেভাবে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছেন তাতে মাগুরখালীবাসী তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে। তিনি (এমপি) মাগুরখালী ইউনিয়নকে উন্নয়নের রোলমডেল বাস্তবায়ন করতে মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এমপি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শহরের সঙ্গে প্রত্যন্ত এই অঞ্চলটির সেতু বন্ধন হতে যাচ্ছে।
শিবনগর-চটচটিয়া ঘাটে গ্যাংরাইল নদীর ওপর ৩১ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দে ৩১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ প্রায় শেষের পথে। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে সেতুটি। এটা হলে দুই জেলা শহর তথা খুলনা ও সাতক্ষীরার মানুষ ডুমুরিয়া ভায়া কপিলমুনি হয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। এ ছাড়া আমুড়বুনিয়া, চিত্রামারী ও পশ্চিম পাতিবুনিয়ায় গ্রামীণ ছোট খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণ হয়েছে। তিনি বলেন, মাগুরখালীর প্রায় অলিগলি পাকা করার কাজ চলছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র ছন্দ বলেন, ডুমুরিয়ার মাগুরখালী আর অবহেলিত নেই। সরকারের সারা দেশের উন্নয়নের ছোঁয়া মাগুরখালীতেও পৌঁছে গেছে। একটা সময় সেখানে রাস্তাঘাটসহ উন্নয়নমূলক কিছুই ছিল না। এখন শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আমরা মাগুরখালীসহ ডুমুরিয়া উপজেলার প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন করতে পেরেছি। মাগুরখালী আর ডাউন নয় এখন টাউনে পরিণত হয়েছে। চটচটিয়া ব্রিজ চালু হলে মানুষ খুব সহজেই পাইকগাছা ও খুলনা শহরে পৌঁছাতে পারবে। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হচ্ছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার অবহেলিত মাগুরখালীতে। যোগাযোগ থেকে শুরু করে পানি পরিশোধন ও সরবরাহ প্রকল্প স্থাপন, মন্দির-মসজিদ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎসহ প্রায় সব খাতে উন্নয়ন হয়েছে বা হচ্ছে। নির্মাণাধীন চটচটিয়া সেতু ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছেন ডুমুরিয়াবাসী। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ সেতুটি চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। এটি চালু হলে মানুষ খুব সহজেই পাইকগাছা হয়ে খুলনা ও সাতক্ষীরা শহরে পৌঁছাতে পারবে। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত ইউনিয়ন ছিল ১৪ নম্বর মাগুরখালী। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৭ / ১ ফোল্ডার আওতাধীন মাগুরখালী ইউনিয়নের শিবনগর, পুর্বপাতিবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া, পশ্চিমপাতিবুনিয়া, ঝরঝরিয়া, কাঠালিয়া, ব্রহ্মারবেড়, বৈঠাহারা, শেখেরট্যাক, মহাদেবপুর, মাগুরখালী, কোড়াকাটা, খোরেরাবাদ, হেতাইলবুনিয়া, চিত্রামারী, পারমাগুরখালী, গজালীয়া, আলাদিপুর ও নাথেরকুল গ্রাম মিলে প্রায় ১৮ হাজার লোকের বসবাস। শহর থেকে এলাকাটি দূরে হওয়াতে এ যাবৎ কাল তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এখানে।
চলাচলের ভালো কোন রাস্তা না থাকায় এলাকার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ সহ্য করে আসছে। এখানকার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা। নৌকা যোগে তারা গ্রামের এবাড়ি ওবাড়ি বা শহরে যাওয়া আসা করত।
রাস্তাঘাট যা একটু আধটু ছিল তা বর্ষাকালে হাঁটু কাঁদা হয়ে যেতো। ফলে শহরের সঙ্গে মাগুরখালী এলাকার মানুষের যোগাযোগ একেবারই কম ছিল। সেই সময় অনেক অসুস্থ রোগীকে অকালে প্রাণ হারাতেও হয়েছে চিকিৎসার অভাবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় এক সময় মাগুরখালীর মানুষ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে মাগুরখালীতে প্রায় সব সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়নকাজ চলছে। মাগুরখালী ইউনিয়নে ছোট বড় মিলে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। যার মধ্যে ৯০ কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং ও ইটের সোলিং দ্বারা উন্নয়ন হয়েছে। প্রায় আড়াই’শ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ মাগুরখালীতে বাস্তবায়নের পথে।
মাগুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা বলেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সুফল পুরোপুরিভাবেই পাচ্ছেন মাগুরখালীবাসী। এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করতে খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র ছন্দ যেভাবে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছেন তাতে মাগুরখালীবাসী তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে। তিনি (এমপি) মাগুরখালী ইউনিয়নকে উন্নয়নের রোলমডেল বাস্তবায়ন করতে মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এমপি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শহরের সঙ্গে প্রত্যন্ত এই অঞ্চলটির সেতু বন্ধন হতে যাচ্ছে।
শিবনগর-চটচটিয়া ঘাটে গ্যাংরাইল নদীর ওপর ৩১ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দে ৩১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ প্রায় শেষের পথে। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে সেতুটি। এটা হলে দুই জেলা শহর তথা খুলনা ও সাতক্ষীরার মানুষ ডুমুরিয়া ভায়া কপিলমুনি হয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। এ ছাড়া আমুড়বুনিয়া, চিত্রামারী ও পশ্চিম পাতিবুনিয়ায় গ্রামীণ ছোট খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণ হয়েছে। তিনি বলেন, মাগুরখালীর প্রায় অলিগলি পাকা করার কাজ চলছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র ছন্দ বলেন, ডুমুরিয়ার মাগুরখালী আর অবহেলিত নেই। সরকারের সারা দেশের উন্নয়নের ছোঁয়া মাগুরখালীতেও পৌঁছে গেছে। একটা সময় সেখানে রাস্তাঘাটসহ উন্নয়নমূলক কিছুই ছিল না। এখন শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আমরা মাগুরখালীসহ ডুমুরিয়া উপজেলার প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন করতে পেরেছি। মাগুরখালী আর ডাউন নয় এখন টাউনে পরিণত হয়েছে। চটচটিয়া ব্রিজ চালু হলে মানুষ খুব সহজেই পাইকগাছা ও খুলনা শহরে পৌঁছাতে পারবে। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১৫ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪