জুরাছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার মৈদং ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এলাকায় গিয়ে আক্রান্তদের সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চাকমার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম এ সেবা দিচ্ছে।
গত শুক্রবার বিকেলে মেডিকেল টিম যায় মৈদং ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে। টিম আসার খবর পেয়ে দুপুরেই সেখানে অবস্থান নেন ৬০-৭০ জন বৃদ্ধ, নারী ও শিশু। তাঁরা সবাই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। পরে চিকিৎসা সেবা শুরু হয়ে চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। শনিবার সকালে চলে ফলোআপ, পাহাড়ে ঘুরে ঘুরে খোঁজ নেওয়া হয় চিকিৎসা সেবা নেওয়া রোগীদের। বেলা ১১টার দিকে আমতলা বাদল হাট ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ৩০/৪০ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এভাবে শনিবার সারা দিন চলে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম।
আমতলা পাড়ার সুজয় চাকমার বয়স ১১ মাস। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ডায়রিয়া দেখা দেয়, সকালে বেড়ে যায়। তার মা শুক্রবার সন্ধ্যায় ছেলেকে নিয়ে আসেন মেডিকেল টিমের কাছে। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সেরে উঠেছে সুজয়।
একই পাড়ার বিধবা অমরা চাকমা (৬০)। তিনি জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তাঁর ডায়রিয়া শুরু হয়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। মেডিকেল টিম থেকে চিকিৎসা নিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
মৈদং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য ঝিনু চাকমা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের সেবা পেয়ে খুশি পাহাড়ের লোকজন। এ জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ইউনিয়নে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের দাবি জানান ঝিনু চাকমা।
মেডিকেল টিমের প্রধান কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চাকমা বলেন, গত শুক্র ও শনিবার পর্যন্ত মোট ১০৫ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। ডায়রিয়া ছাড়াও অনেকেই জ্বর, সর্দি ও পেট ব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গের রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হওয়া রোগীরা ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন। সুস্থ হয়ে অনেকেই নিজ বাড়িতে ফিরছেন।
আমতলা গ্রাম থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া ১২ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে গেছেন।
আমতলা বাদল হাট ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল দেওয়ান বলেন, পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া ও সচেতনতামূলক প্রচারের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ কমতে শুরু করছে। এখন ঘরে ঘরে পানি বিশুদ্ধ করে পান করা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনন্যা চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম দুদিন চিকিৎসা সেবা দিয়ে ফিরে এসেছে। এখন ডায়রিয়া রোগীদের পর্যবেক্ষণে খোঁজ খবর রাখছি। ডায়রিয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, মৈদং ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে আট বছরের এক শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ওই গ্রামে মেডিকেল টিম পাঠানো হয়।
রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার মৈদং ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এলাকায় গিয়ে আক্রান্তদের সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চাকমার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম এ সেবা দিচ্ছে।
গত শুক্রবার বিকেলে মেডিকেল টিম যায় মৈদং ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে। টিম আসার খবর পেয়ে দুপুরেই সেখানে অবস্থান নেন ৬০-৭০ জন বৃদ্ধ, নারী ও শিশু। তাঁরা সবাই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। পরে চিকিৎসা সেবা শুরু হয়ে চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। শনিবার সকালে চলে ফলোআপ, পাহাড়ে ঘুরে ঘুরে খোঁজ নেওয়া হয় চিকিৎসা সেবা নেওয়া রোগীদের। বেলা ১১টার দিকে আমতলা বাদল হাট ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ৩০/৪০ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এভাবে শনিবার সারা দিন চলে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম।
আমতলা পাড়ার সুজয় চাকমার বয়স ১১ মাস। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ডায়রিয়া দেখা দেয়, সকালে বেড়ে যায়। তার মা শুক্রবার সন্ধ্যায় ছেলেকে নিয়ে আসেন মেডিকেল টিমের কাছে। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সেরে উঠেছে সুজয়।
একই পাড়ার বিধবা অমরা চাকমা (৬০)। তিনি জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তাঁর ডায়রিয়া শুরু হয়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। মেডিকেল টিম থেকে চিকিৎসা নিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
মৈদং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য ঝিনু চাকমা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের সেবা পেয়ে খুশি পাহাড়ের লোকজন। এ জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ইউনিয়নে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের দাবি জানান ঝিনু চাকমা।
মেডিকেল টিমের প্রধান কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চাকমা বলেন, গত শুক্র ও শনিবার পর্যন্ত মোট ১০৫ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। ডায়রিয়া ছাড়াও অনেকেই জ্বর, সর্দি ও পেট ব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গের রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হওয়া রোগীরা ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন। সুস্থ হয়ে অনেকেই নিজ বাড়িতে ফিরছেন।
আমতলা গ্রাম থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া ১২ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে গেছেন।
আমতলা বাদল হাট ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল দেওয়ান বলেন, পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া ও সচেতনতামূলক প্রচারের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ কমতে শুরু করছে। এখন ঘরে ঘরে পানি বিশুদ্ধ করে পান করা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনন্যা চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম দুদিন চিকিৎসা সেবা দিয়ে ফিরে এসেছে। এখন ডায়রিয়া রোগীদের পর্যবেক্ষণে খোঁজ খবর রাখছি। ডায়রিয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, মৈদং ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে আট বছরের এক শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ওই গ্রামে মেডিকেল টিম পাঠানো হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪