Ajker Patrika

ডায়রিয়ার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে এলাকায় গিয়ে চিকিৎসা

জুরাছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ মে ২০২২, ১৮: ৫৭
ডায়রিয়ার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে এলাকায় গিয়ে চিকিৎসা

রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার মৈদং ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এলাকায় গিয়ে আক্রান্তদের সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চাকমার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম এ সেবা দিচ্ছে।

গত শুক্রবার বিকেলে মেডিকেল টিম যায় মৈদং ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে। টিম আসার খবর পেয়ে দুপুরেই সেখানে অবস্থান নেন ৬০-৭০ জন বৃদ্ধ, নারী ও শিশু। তাঁরা সবাই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। পরে চিকিৎসা সেবা শুরু হয়ে চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। শনিবার সকালে চলে ফলোআপ, পাহাড়ে ঘুরে ঘুরে খোঁজ নেওয়া হয় চিকিৎসা সেবা নেওয়া রোগীদের। বেলা ১১টার দিকে আমতলা বাদল হাট ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ৩০/৪০ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এভাবে শনিবার সারা দিন চলে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম।

আমতলা পাড়ার সুজয় চাকমার বয়স ১১ মাস। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ডায়রিয়া দেখা দেয়, সকালে বেড়ে যায়। তার মা শুক্রবার সন্ধ্যায় ছেলেকে নিয়ে আসেন মেডিকেল টিমের কাছে। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সেরে উঠেছে সুজয়।

একই পাড়ার বিধবা অমরা চাকমা (৬০)। তিনি জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তাঁর ডায়রিয়া শুরু হয়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। মেডিকেল টিম থেকে চিকিৎসা নিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।

মৈদং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য ঝিনু চাকমা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের সেবা পেয়ে খুশি পাহাড়ের লোকজন। এ জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ইউনিয়নে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের দাবি জানান ঝিনু চাকমা।

মেডিকেল টিমের প্রধান কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চাকমা বলেন, গত শুক্র ও শনিবার পর্যন্ত মোট ১০৫ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। ডায়রিয়া ছাড়াও অনেকেই জ্বর, সর্দি ও পেট ব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গের রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হওয়া রোগীরা ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন। সুস্থ হয়ে অনেকেই নিজ বাড়িতে ফিরছেন।

আমতলা গ্রাম থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া ১২ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে গেছেন।

আমতলা বাদল হাট ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল দেওয়ান বলেন, পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া ও সচেতনতামূলক প্রচারের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ কমতে শুরু করছে। এখন ঘরে ঘরে পানি বিশুদ্ধ করে পান করা হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনন্যা চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম দুদিন চিকিৎসা সেবা দিয়ে ফিরে এসেছে। এখন ডায়রিয়া রোগীদের পর্যবেক্ষণে খোঁজ খবর রাখছি। ডায়রিয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, মৈদং ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে আট বছরের এক শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ওই গ্রামে মেডিকেল টিম পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত