সেতুর কাজ বন্ধ, ভোগান্তি ২৫ গ্রামের মানুষের

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বালিয়াটি ইউনিয়নের খলিলাবাদ গ্রামের খালের ওপর নির্মীয়মাণ সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে। পাশের অপরিকল্পিত বিকল্প সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা (হ্যালোবাইক) উল্টে আহত হয়েছেন অনেকে। ভোগান্তি পোহাচ্ছে ২৫ গ্রামের মানুষ। ঠিকাদারের অভিযোগ বিল না পাওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আশির দশকে খলিলাবাদ খালের ওপর নির্মিত সেতুটি চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় পুনর্নির্মাণের জন্য প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় কে কে এন্টারপ্রাইজ নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে সেতুটির পাইলিং ও পাইল ক্যাপের কাজ শেষ হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলীর দাবি সেতুটির ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, এ সেতুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পাশেই বালিয়াটি বাজার, বালিয়াটি স্কুল, বালিয়াটি দাখিল মাদ্রাসা, বালিয়াটি ইউনিয়ন পরিষদ ও সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদ অবস্থিত। প্রতিদিন ২৫ গ্রামের হাজারের অধিক মানুষ চলাচল করে থাকে।

এ ছাড়া মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বালিয়াটি জমিদারবাড়িটি পাশেই অবস্থান। এখানে বেড়াতে আসা প্রতিদিন শত শত লোকের পাশের বিকল্প সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। আদৌও কি সেতু নির্মাণ হবে? এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ।

খলিলাবাদ গ্রামের জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাগো ব্রিজের কাজ মনে হয় আর হবে না। অনেক আগেই ঠিকাদারের লোকজন ব্রিজের কাজ বন্ধ করে চলে গেছেন। এখন আমাগো অনেক কষ্ট করে চলাচল করছে হচ্ছে। আদৌও কি ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হবে?’

এই ব্যাপারে বালিয়াটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন জানান, সেতুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এ ছাড়া রাতের বেলায় অপরিকল্পিত বিকল্প সড়কে চলাচল করতে গিয়ে হ্যালোবাইক উল্টে অনেকে আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি। তাই দ্রুত এই সেতুটি নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সেতুটির কাজ বন্ধের কথা স্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে কে এন্টারপ্রাইজের মালিক কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিল না পাওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। বিল পেলে কাজ শুরু করা হবে।’

এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজমুল কবির বলেন, ‘সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৩ লাখ টাকা বরাদ্দে কে কে এন্টারপ্রাইজ নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেতুটির ৪৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে 
শেষ হবে।’