Ajker Patrika

সিরাজদিখানে রসিদ ছাড়া আদায় হচ্ছে নৌ টোল

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান
Thumbnail image

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ফেগুনাসার নৌ টোল বক্সে দীর্ঘদিন ধরে রসিদ ছাড়া টোল আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নৌপথে প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি ছোট-বড় ট্রলার ও বাল্কহেড চলাচল করে।

তবে টোল আদায়ের সময় অধিকাংশ ট্রলার ও বাল্কহেডের চালককে রসিদ দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি ছোট কোনো নৌযান থেকে শুল্ক আদায় 
করা হয় না।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, তালতলা-ডহুরী খালের পাড়ে বসে টোল আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু কোনো রসিদ দেওয়া হচ্ছে না। ট্রলার ও বাল্কহেড থেকে চালক টাকা ছুড়ে 
দেন বক্সের সামনে। সেখান থেকেই টাকা উঠিয়ে নিচ্ছেন শুল্ক আদায়কারী। তবে কেউ রসিদ দিচ্ছেন না এবং কেউ নিচ্ছেন না।

জানা যায়, ছোট-বড় ট্রলার ও বাল্কহেডের আকার অনুযায়ী টোল ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। রসিদ না দেওয়ায় যখন যেমন ইচ্ছা টাকা আদায় করছেন তাঁরা। তাই চালকেরা বুঝতে পারছেন না, কত টাকা টোল দিতে হবে। কখনো ৪০০, কখনো ৬০০ টাকা দিতে হচ্ছে।

এদিকে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সেখানে অডিট করতে আসা নকিব নামের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন। পরে প্রশাসনকে জানালে ক্যামেরা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মাঝেমধ্যে টোল বক্সের সামনে নদীর পাড়ে বিকেলে বন্ধুবান্ধব মিলে আড্ডা দিই। তখন দেখি ট্রলার থেকে টাকা ছুড়ে মারে টোল বক্সের সামনে। তা উঠিয়ে নেন টোল বক্সের লোক। তবে কখনো নৌযানকে টোলের রসিদ দিতে দেখিনি।’

ফেগুনাসার নৌ টোল বক্সের শুল্ক আদায়কারী মো. জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

চালক টাকা ছুড়ে মারেন  বক্সের সামনে। সেখান থেকেই উঠিয়ে নিচ্ছেন শুল্ক আদায়কারী। 
ট্রলার ও বাল্কহেডের আকার অনুযায়ী টোল ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম তানভীর বলেন, ‘সিরাজদিখানে নৌ টোল বক্স আছে আগে জানতাম না। কয়েক দিন আগে ট্রলারডুবিতে একজন নিহত হওয়ার পর জানতে পারি, ওইখানে একটি টোল বক্স আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রসিদ না দিয়ে টাকা ওঠানো হয়, এটা আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাব, তাঁরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।’

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) শিলু রায় বলেন, ‘আমি বিষয়টি দেখছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।’

অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. কবীর বলেন, সব নৌযানের শুল্ক আদায় করতে হবে। ব্রিটিশ আমল থেকেই টাকা ছুড়ে দিয়ে আসছে। রাজস্ব ঠিকমতো নিচ্ছে কি না, প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান এবং বলেন, ‘আমরা ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত