Ajker Patrika

অর্ধেক দামে পণ্য পেয়ে স্বস্তি

শামিমুজ্জামান, খুলনা
আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, ১৬: ৪৩
Thumbnail image

দুই মাস পর গতকাল থেকে আবারও শুরু হয়েছে টিসিবির পণ্য বিক্রি। বাজারের চেয়ে প্রায় অর্ধেক দামে চিনি, ডাল ও তেল কিনতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। এর পাশাপাশি নিয়মিত পণ্য বিক্রি ও পণ্যের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

গতকাল সকাল ১০টার পর থেকে শুরু হয় পণ্য বিক্রি। প্রথম দিন খুলনায় ২০ হাজার ৩১২ জন এই পণ্য ক্রয়ের সুবিধা পেয়েছেন। এর মধ্যে নগরীতে ৮ হাজার এবং জেলায় ১২ হাজার ৩০০ জন রয়েছে। শুধু কার্ডধারীরাই এ পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। কার্ডপদ্ধতির কারণে একজন দুবার পণ্য নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। এ ছাড়া ভিড় ও ঠেলাঠেলিও কম।

টিসিবি এই দফায় চিনি, তেল ও মসুর ডাল বিক্রি করছে। প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, সয়াবিন তেল ১১০, মসুর ডাল ৬৫ টাকায় নির্ধারণ হয়েছে। বর্তমানে বাজারে চিনির কেজি প্রায় ৮৫ টাকা, সয়াবিন তেল লিটার ২০৫ ও মসুর ডাল ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একজন কার্ডধারী ১ কেজি চিনি, ১ কেজি ডাল এবং ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারছেন।

টিসিবির আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. রবিউল মোর্শেদ জানিয়েছেন, গতকাল খুলনা মহানগরীর ১ থেকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ৪টি করে মোট ১৬টি পয়েন্টে এবং জেলার ৯টি উপজেলা পর্যায়ে ২২ জন ডিলার ২২টি পয়েন্টে এই পণ্য বিক্রি করেছেন।

এ ছাড়া প্রতিদিন নগরীর ৪টি ওয়ার্ডে এবং ৯টি উপজেলার ২২টি পয়েন্টে ২২ জন ডিলারের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে পণ্য বিক্রি শুরু হবে। তবে বিক্রির পয়েন্ট আরও বাড়তে পারে। একজন ডিলার ৫০০ লিটার সয়াবিন তেল, ৫০০ কেজি মসুর ডাল এবং ৫০০ কেজি চিনি বরাদ্দ পাবেন। খুলনা মহানগরী ও জেলায় মোট ১০৫ জন ডিলার রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ডিলার পণ্য বরাদ্দ পাবেন বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এদিকে নগরীর একটি বাজারে গতকাল সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ২০০ টাকা, মসুর ডাল ১৪০, আর চিনি বিক্রি হয় ৮৫ টাকা কেজি। বাজার দামের চেয়ে কমে পণ্য কিনতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। এ ব্যাপারে কথা হয় নগরীর দৌলতপুর শশিভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মো. আব্দুর রহিম নামে এক ক্রেতার সঙ্গে।

তিনি বলেন, বাজারের চেয়ে অনেক কম দামে পণ্য কিনতে পেরে ভালো লাগছে। সংসারের খরচ কিছুটা কমবে। অপর দিকে একই স্থানের আরেক যুবক সবুর হোসেন বলেন, বাজারে সব পণ্যের দাম ক্রয়সামর্থ্যের বাইরে। টিসিবি চিনি, ডাল সয়াবিন তেল ছাড়া আরও কিছু নিত্যপণ্য বিক্রি করলে সংসার খরচ কিছুটা কমবে। সাধারণ মানুষ বাঁচতে পারবে।

এদিকে আজ ও আগামীকাল টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ থাকবে। তবে ২৬ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত পণ্য বিক্রি চলবে। উল্লেখ্য, সর্বশেষ গত ২৭ এপ্রিল টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত