বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
দুস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি) কর্মসূচির তালিকায় নাম আছে দুই নারীর। তবে কখনো চাল পাননি। সম্প্রতি তাঁরা বিষয়টি জেনেছেন। এরপর খোঁজ নিয়ে এক নারী দেখলেন, তাঁর চাল ২১ মাস ধরে অন্যজন তুলছেন। অপর নারী জানতে পারেন, তাঁর নামের চালও তুলছেন অন্য কেউ। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা সদর ও মাঝগাঁও ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। মাঝগাঁও ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল জব্বার ও গ্রাম পুলিশের সদস্য বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আছিয়া বেগম গ্রাম পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আছিয়া বেগম (৩১) উপজেলার দাঁইড়পাড়া গ্রামের শমসের প্রামাণিকের স্ত্রী। বর্তমানে উপজেলার উপলশহর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বাস করেন। ভুক্তভোগী আরেক নারী উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের চুলকাটি গ্রামের লোকমান হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম।
আছিয়া বেগমের স্বামী শমসের প্রামাণিক বলেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী দুই বছর আগে তিনি তাঁর স্ত্রীর নামে ভিজিডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। পরে জানানো হয় কার্ড অনুমোদন হয়নি। কয়েক দিন আগে এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারেন স্ত্রীর নাম ভিজিডি কার্ডের তালিকায় আছে। সেই কার্ড দিয়ে বড়াইগ্রাম সদর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্য বেলাল হোসেন চাল তুলছেন।
শসসের প্রামাণিক আরও বলেন, ‘আমি ইউপি চেয়ারম্যান মমিন আলীকে বিষয়টি জানাই। তিনি আমাকে কার্ড ও ৩০ কেজি চাউল দিয়ে বিষয়টি কাউকে জানাতে নিষেধ করেন।’
আছিয়া বেগম বলেন, ‘আমার কার্ডের চাউল যারা তুলে নিছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও চাউল ফেরত চাই।’ এদিকে মাঝগাঁও ইউনিয়নের চুলকাটি গ্রামের মমতাজ বেগম বলেন, তিনি উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার ২১ মাস ধরে তাঁর নামের কার্ডের চাল অন্য একজনকে দিচ্ছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বড়াইগ্রাম ইউএনওকে বিষয়টি জানালে আব্দুল জব্বার গত বুধবার রাত ১২টার দিকে স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে ২০ হাজার টাকা দিয়ে গেছেন।
বড়াইগ্রাম সদর ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হওয়ার আগে এই কার্ড হয়েছে। আমি জানতে পেরে আছিয়া বেগমকে সহযোগিতা করেছি।’
বড়াইগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান মমিন আলী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। ইউএনও অফিস থেকে জানানোর পরে ভুক্তভোগী নারীকে কার্ড ও ৩০ কেজি চাউল দিয়েছি। তাঁকে ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।’
মাঝগাঁও ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার বলেন, মমতাজ বেগমের বাড়ি ঢুলিয়া গ্রাম উল্লেখ ছিল। যার কারণে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে একজনকে ওই চাল দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চালের প্রকৃত মালিককে খুঁজে পাওয়ায় ২০ হাজার টাকা দিয়ে সমঝোতা করা হয়েছে।
মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম বলেন, ঘটনার সত্যতা রয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বড়াইগ্রাম ইউএনও মারিয়াম খাতুন বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার গ্রাম পুলিশ সদস্য বেলাল হোসেনকে কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। চাল নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাঁকে এ-সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হলে চুপ থাকেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দুস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি) কর্মসূচির তালিকায় নাম আছে দুই নারীর। তবে কখনো চাল পাননি। সম্প্রতি তাঁরা বিষয়টি জেনেছেন। এরপর খোঁজ নিয়ে এক নারী দেখলেন, তাঁর চাল ২১ মাস ধরে অন্যজন তুলছেন। অপর নারী জানতে পারেন, তাঁর নামের চালও তুলছেন অন্য কেউ। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা সদর ও মাঝগাঁও ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। মাঝগাঁও ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল জব্বার ও গ্রাম পুলিশের সদস্য বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আছিয়া বেগম গ্রাম পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আছিয়া বেগম (৩১) উপজেলার দাঁইড়পাড়া গ্রামের শমসের প্রামাণিকের স্ত্রী। বর্তমানে উপজেলার উপলশহর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বাস করেন। ভুক্তভোগী আরেক নারী উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের চুলকাটি গ্রামের লোকমান হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম।
আছিয়া বেগমের স্বামী শমসের প্রামাণিক বলেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী দুই বছর আগে তিনি তাঁর স্ত্রীর নামে ভিজিডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। পরে জানানো হয় কার্ড অনুমোদন হয়নি। কয়েক দিন আগে এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারেন স্ত্রীর নাম ভিজিডি কার্ডের তালিকায় আছে। সেই কার্ড দিয়ে বড়াইগ্রাম সদর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্য বেলাল হোসেন চাল তুলছেন।
শসসের প্রামাণিক আরও বলেন, ‘আমি ইউপি চেয়ারম্যান মমিন আলীকে বিষয়টি জানাই। তিনি আমাকে কার্ড ও ৩০ কেজি চাউল দিয়ে বিষয়টি কাউকে জানাতে নিষেধ করেন।’
আছিয়া বেগম বলেন, ‘আমার কার্ডের চাউল যারা তুলে নিছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও চাউল ফেরত চাই।’ এদিকে মাঝগাঁও ইউনিয়নের চুলকাটি গ্রামের মমতাজ বেগম বলেন, তিনি উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার ২১ মাস ধরে তাঁর নামের কার্ডের চাল অন্য একজনকে দিচ্ছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বড়াইগ্রাম ইউএনওকে বিষয়টি জানালে আব্দুল জব্বার গত বুধবার রাত ১২টার দিকে স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে ২০ হাজার টাকা দিয়ে গেছেন।
বড়াইগ্রাম সদর ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হওয়ার আগে এই কার্ড হয়েছে। আমি জানতে পেরে আছিয়া বেগমকে সহযোগিতা করেছি।’
বড়াইগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান মমিন আলী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। ইউএনও অফিস থেকে জানানোর পরে ভুক্তভোগী নারীকে কার্ড ও ৩০ কেজি চাউল দিয়েছি। তাঁকে ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।’
মাঝগাঁও ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার বলেন, মমতাজ বেগমের বাড়ি ঢুলিয়া গ্রাম উল্লেখ ছিল। যার কারণে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে একজনকে ওই চাল দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চালের প্রকৃত মালিককে খুঁজে পাওয়ায় ২০ হাজার টাকা দিয়ে সমঝোতা করা হয়েছে।
মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম বলেন, ঘটনার সত্যতা রয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বড়াইগ্রাম ইউএনও মারিয়াম খাতুন বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার গ্রাম পুলিশ সদস্য বেলাল হোসেনকে কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। চাল নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাঁকে এ-সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হলে চুপ থাকেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪