মাসুদ রানা
আজকের পত্রিকা: নির্ধারিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে কি?
মহিউদ্দিন আহমদ: প্রথমত, নির্ধারিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে কি না, নির্বাচনের দিনের আগে জানা যাবে না। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন না হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। আর একটি কারণে নির্বাচন না-ও হতে পারে, যদি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
আজকের পত্রিকা: আপনি কেন জরুরি অবস্থা জারির কথা বলছেন?
মহিউদ্দিন আহমদ: আমাদের দেশের রাজনীতিটা তো সংঘাতের। সংঘাতময় পরিস্থিতি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে জরুরি অবস্থা জারি হতেই পারে। আমাদের সংবিধানে তো জরুরি অবস্থা জারির বিধান সুস্পষ্টভাবে আছে। সেটা কী জন্য রাখা হয়েছে? যদি সে ধরনের কোনো পরিস্থিতি দেশের মধ্যে সৃষ্টি হয়, তাহলে সেটা জারি করা যেতে পারে। এর আগেও একাধিকবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।
আজকের পত্রিকা: বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ না নেয়, সে ক্ষেত্রে কী হতে পারে?
মহিউদ্দিন আহমদ: বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে, সরকার যদি নির্বাচন করে নিতে পারে, তাহলে অবশ্যই নির্বাচন হবে। যেভাবে ২০১৪ সালে হয়েছে। আর বিএনপি যদি আন্দোলনের মাধ্যমে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, তাহলে নির্বাচন করা অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।
আজকের পত্রিকা: নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে কি আপনি মনে করেন?
মহিউদ্দিন আহমদ: আমি একটা কথা বলি, আসলে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর কোনো নজির নেই।
আজকের পত্রিকা: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা যে দেয়াল তৈরি করেছে, তা ভাঙার কোনো উপায় আছে কি?
মহিউদ্দিন আহমদ: দুই দল যদি তা ভাঙতে চায়, তাহলে সেটা সম্ভব। আমাদের দেশে দুটি পক্ষ আছে। তারা যদি উদ্যোগ নেয়, তাহলে এর সমাধান বের করা সম্ভব। এক পক্ষ তো ভাঙতে পারবে না, দুই পক্ষের এখানে দায়িত্ব আছে।
আজকের পত্রিকা: মানুষ ভোট দিতে চায়, কিন্তু সব সময় কি যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে?
মহিউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী যোগ্য-অযোগ্যের ব্যাপার তো আপেক্ষিক। যিনি আপনার কাছে যোগ্য, তিনি আবার আমার কাছে যোগ্য না-ও হতে পারেন। আবার যিনি আপনার কাছে অযোগ্য, তিনিই অন্যের কাছে যোগ্য হতে পারেন। তাই এখানে যোগ্য-অযোগ্যের ব্যাপারটা সম্পূর্ণভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়।
প্রার্থী একাধিক থাকলে, এর মধ্য থেকে যিনি মন্দের ভালো, আমি তাঁকে ভোট দেব। ব্যাপারটা তো এ রকম। অন্য কোনো চিন্তা-ভাবনা করব না।
আজকের পত্রিকা: কিন্তু গত দুইবারের নির্বাচনে তো জনগণ ভোট দিতে পারেনি। সেটাকে কীভাবে দেখেন?
মহিউদ্দিন আহমদ: যাঁরা এসব নির্বাচনে মনোনীত হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকে দাবি করছেন যে ভোটের মাধ্যমেই তাঁরা জয়ী হয়েছেন। আবার অনেকে তা স্বীকার করেন না। আমরা তো এসব খবর মিডিয়ার মাধ্যমেই পেয়েছি।
আজকের পত্রিকা: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তৈরি জটিলতা থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যেতে পারে?
মহিউদ্দিন আহমদ: আমাদের দেশে রাজনীতিতে তো সংকট আছে। কারণ আমাদের দেশে তো উত্তেজক বা এজিটেশনাল রাজনীতিটাই চলে। সবাই এটাই করেন এখানে। রাজপথে গিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়। পাবলিক মিটিংয়ে গিয়ে নেতারা বলেন, যদি এই বক্তব্য সমর্থন করেন, তাহলে হাত তোলেন। উপস্থিত জনতা হাত তোলে। তখন ওই নেতারা মনে করেন, এই তো আমরা সমর্থন পেয়ে গেলাম। এটাই তো চলছে, এভাবেই তো চলছে।
যারা এখন ক্ষমতাসীন আছে, তারা যদি মনে করে, সংবিধানে যা আছে, সেভাবেই তারা নির্বাচন করিয়ে টিকে যেতে পারবে। তাহলে তারা সেভাবেই নির্বাচন করবে। আর যদি তারা মনে করে, তারা এটা বহন করতে পারবে না, তখন তারা সংবিধান সংশোধনের দিকে যাবে। যেটা ১৯৯৬ সালে হয়েছিল। আমাদের তো অতীত অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টান্ত আছে।
আজকের পত্রিকা: নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হলেই কি দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসনের ধারার অবসান হবে?
মহিউদ্দিন আহমদ: না, তা মনে করি না। এর আগে আমাদের দেশে যতবার নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে, তাতে ফলাফল কী হয়েছে? আমি মনে করি কার্যত দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র নেই। আছে প্রধানমন্ত্রী শাসিত গণতন্ত্র ও প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকারব্যবস্থা। যেখানে ব্যক্তি শাসিত সরকারব্যবস্থা, সেখানে তো কর্তৃত্ববাদী শাসন থাকবেই।
আজকের পত্রিকা: রাজনৈতিক অরাজক পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায় কী?
মহিউদ্দিন আহমদ: দেশের জনগণের চরিত্র এবং রাজনীতিবিদদের চরিত্র বদলালে এটা সম্ভব। আমার কথাকে কেউ অন্যভাবে নেবেন না। আমি বিশ্বাস করি, দেশের জনগণ খারাপ। আমরা যতই বলি না কেন দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। কিন্তু কথা হলো, এই কর্তৃত্ববাদী শাসনের পক্ষে তো অনেক লোক সমর্থন করে। অস্বীকার করার কোনো উপায় আছে? কথায় আছে না, ‘ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয় না।’ সুতরাং এর পক্ষে অনেকে দাঁড়িয়ে যায়। তারা নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা, পদ-পদবি পেয়ে যায়। এ জন্য তাদের পক্ষে জিন্দাবাদ দেয়। আর যারা নিজেদের বঞ্চিত মনে করে, তারা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
যেসব দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র সফল এবং ভালোভাবে কাজ করছে, সেই সব দেশে জনগণ ও রাজনীতিবিদেরা আমাদের দেশের মতো তো নন। তাহলে এখানে কীভাবে ভালো কিছু আশা করা সম্ভব?
আজকের পত্রিকা: সম্প্রতি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের ভারত সফরের বিষয়টাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মহিউদ্দিন আহমদ: ভারত সরকার তাঁদের আমন্ত্রণ করেছে কি না, সেটা আমি জানি না। তাঁরা এভাবে বারবার যান। তাঁরা নির্বাচনের আগে কেন ভারতে যাচ্ছেন, তা আমি জানি না? হয়তো তাঁরা মনে করেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত একটা বড় ফ্যাক্টর। সে জন্য তাদের মন পাওয়া দরকার। তাই তাঁরা তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে এবং তাদের বোঝাতে এবং তাদের সমর্থন পেতে—একধরনের দেনদরবার করতে সেখানে যান।
এভাবে অন্য একটি দেশে যাওয়া কোনো ব্যক্তিত্বসম্পন্ন রাজনীতিবিদের করা উচিত নয়। জনগণের প্রতি আস্থা থাকলে আরেক দেশের সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য হন্যে হয়ে দৌড়াব কেন?
আজকের পত্রিকা: শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়—এটা আপনি বিশ্বাস করেন? শেখ হাসিনার বিকল্প নেই—এমন বক্তব্য কি সঠিক?
মহিউদ্দিন আহমদ: প্রথম কথা হলো, এ কথাটি শেখ হাসিনা নিজে মনে করেন কি না। তিনি যদি নিজেকে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় মনে করেন, তাহলে যেকোনো ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে তিনিই জয়লাভ করতেন। কিন্তু তিনি তো সেটা করছেন না। তার মানে তো নিজেরই সন্দেহ আছে তাঁর জনপ্রিয়তা নিয়ে। আর কে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়, সেটা তো নির্ধারিত হবে ভোটের মাধ্যমে। এর বাইরে তো কোনো জরিপ নেই। কোন মিডিয়া কী লিখল, সেগুলো ধর্তব্য নয়।
আর তাঁর কোনো বিকল্প নেই—এ কথাটা তো তিনি নিজেই বলেছেন বা তাঁর দলের নেতারা বলেছেন। এটা নিয়েও তো কোনো জরিপ নেই। কারণ এসব তো ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হওয়ার কথা। বিকল্প কথাটার অর্থ হলো—আমি না থাকলে দেশ অচল হয়ে যাবে। তাহলে সেই দেশই থাকাটার দরকার কী—আমি তো এটাই বুঝি না।
আজকের পত্রিকা: নির্ধারিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে কি?
মহিউদ্দিন আহমদ: প্রথমত, নির্ধারিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে কি না, নির্বাচনের দিনের আগে জানা যাবে না। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন না হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। আর একটি কারণে নির্বাচন না-ও হতে পারে, যদি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
আজকের পত্রিকা: আপনি কেন জরুরি অবস্থা জারির কথা বলছেন?
মহিউদ্দিন আহমদ: আমাদের দেশের রাজনীতিটা তো সংঘাতের। সংঘাতময় পরিস্থিতি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে জরুরি অবস্থা জারি হতেই পারে। আমাদের সংবিধানে তো জরুরি অবস্থা জারির বিধান সুস্পষ্টভাবে আছে। সেটা কী জন্য রাখা হয়েছে? যদি সে ধরনের কোনো পরিস্থিতি দেশের মধ্যে সৃষ্টি হয়, তাহলে সেটা জারি করা যেতে পারে। এর আগেও একাধিকবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।
আজকের পত্রিকা: বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ না নেয়, সে ক্ষেত্রে কী হতে পারে?
মহিউদ্দিন আহমদ: বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে, সরকার যদি নির্বাচন করে নিতে পারে, তাহলে অবশ্যই নির্বাচন হবে। যেভাবে ২০১৪ সালে হয়েছে। আর বিএনপি যদি আন্দোলনের মাধ্যমে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, তাহলে নির্বাচন করা অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।
আজকের পত্রিকা: নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে কি আপনি মনে করেন?
মহিউদ্দিন আহমদ: আমি একটা কথা বলি, আসলে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর কোনো নজির নেই।
আজকের পত্রিকা: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা যে দেয়াল তৈরি করেছে, তা ভাঙার কোনো উপায় আছে কি?
মহিউদ্দিন আহমদ: দুই দল যদি তা ভাঙতে চায়, তাহলে সেটা সম্ভব। আমাদের দেশে দুটি পক্ষ আছে। তারা যদি উদ্যোগ নেয়, তাহলে এর সমাধান বের করা সম্ভব। এক পক্ষ তো ভাঙতে পারবে না, দুই পক্ষের এখানে দায়িত্ব আছে।
আজকের পত্রিকা: মানুষ ভোট দিতে চায়, কিন্তু সব সময় কি যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে?
মহিউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী যোগ্য-অযোগ্যের ব্যাপার তো আপেক্ষিক। যিনি আপনার কাছে যোগ্য, তিনি আবার আমার কাছে যোগ্য না-ও হতে পারেন। আবার যিনি আপনার কাছে অযোগ্য, তিনিই অন্যের কাছে যোগ্য হতে পারেন। তাই এখানে যোগ্য-অযোগ্যের ব্যাপারটা সম্পূর্ণভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়।
প্রার্থী একাধিক থাকলে, এর মধ্য থেকে যিনি মন্দের ভালো, আমি তাঁকে ভোট দেব। ব্যাপারটা তো এ রকম। অন্য কোনো চিন্তা-ভাবনা করব না।
আজকের পত্রিকা: কিন্তু গত দুইবারের নির্বাচনে তো জনগণ ভোট দিতে পারেনি। সেটাকে কীভাবে দেখেন?
মহিউদ্দিন আহমদ: যাঁরা এসব নির্বাচনে মনোনীত হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকে দাবি করছেন যে ভোটের মাধ্যমেই তাঁরা জয়ী হয়েছেন। আবার অনেকে তা স্বীকার করেন না। আমরা তো এসব খবর মিডিয়ার মাধ্যমেই পেয়েছি।
আজকের পত্রিকা: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তৈরি জটিলতা থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যেতে পারে?
মহিউদ্দিন আহমদ: আমাদের দেশে রাজনীতিতে তো সংকট আছে। কারণ আমাদের দেশে তো উত্তেজক বা এজিটেশনাল রাজনীতিটাই চলে। সবাই এটাই করেন এখানে। রাজপথে গিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়। পাবলিক মিটিংয়ে গিয়ে নেতারা বলেন, যদি এই বক্তব্য সমর্থন করেন, তাহলে হাত তোলেন। উপস্থিত জনতা হাত তোলে। তখন ওই নেতারা মনে করেন, এই তো আমরা সমর্থন পেয়ে গেলাম। এটাই তো চলছে, এভাবেই তো চলছে।
যারা এখন ক্ষমতাসীন আছে, তারা যদি মনে করে, সংবিধানে যা আছে, সেভাবেই তারা নির্বাচন করিয়ে টিকে যেতে পারবে। তাহলে তারা সেভাবেই নির্বাচন করবে। আর যদি তারা মনে করে, তারা এটা বহন করতে পারবে না, তখন তারা সংবিধান সংশোধনের দিকে যাবে। যেটা ১৯৯৬ সালে হয়েছিল। আমাদের তো অতীত অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টান্ত আছে।
আজকের পত্রিকা: নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হলেই কি দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসনের ধারার অবসান হবে?
মহিউদ্দিন আহমদ: না, তা মনে করি না। এর আগে আমাদের দেশে যতবার নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে, তাতে ফলাফল কী হয়েছে? আমি মনে করি কার্যত দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র নেই। আছে প্রধানমন্ত্রী শাসিত গণতন্ত্র ও প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকারব্যবস্থা। যেখানে ব্যক্তি শাসিত সরকারব্যবস্থা, সেখানে তো কর্তৃত্ববাদী শাসন থাকবেই।
আজকের পত্রিকা: রাজনৈতিক অরাজক পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায় কী?
মহিউদ্দিন আহমদ: দেশের জনগণের চরিত্র এবং রাজনীতিবিদদের চরিত্র বদলালে এটা সম্ভব। আমার কথাকে কেউ অন্যভাবে নেবেন না। আমি বিশ্বাস করি, দেশের জনগণ খারাপ। আমরা যতই বলি না কেন দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। কিন্তু কথা হলো, এই কর্তৃত্ববাদী শাসনের পক্ষে তো অনেক লোক সমর্থন করে। অস্বীকার করার কোনো উপায় আছে? কথায় আছে না, ‘ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয় না।’ সুতরাং এর পক্ষে অনেকে দাঁড়িয়ে যায়। তারা নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা, পদ-পদবি পেয়ে যায়। এ জন্য তাদের পক্ষে জিন্দাবাদ দেয়। আর যারা নিজেদের বঞ্চিত মনে করে, তারা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
যেসব দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র সফল এবং ভালোভাবে কাজ করছে, সেই সব দেশে জনগণ ও রাজনীতিবিদেরা আমাদের দেশের মতো তো নন। তাহলে এখানে কীভাবে ভালো কিছু আশা করা সম্ভব?
আজকের পত্রিকা: সম্প্রতি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের ভারত সফরের বিষয়টাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মহিউদ্দিন আহমদ: ভারত সরকার তাঁদের আমন্ত্রণ করেছে কি না, সেটা আমি জানি না। তাঁরা এভাবে বারবার যান। তাঁরা নির্বাচনের আগে কেন ভারতে যাচ্ছেন, তা আমি জানি না? হয়তো তাঁরা মনে করেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত একটা বড় ফ্যাক্টর। সে জন্য তাদের মন পাওয়া দরকার। তাই তাঁরা তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে এবং তাদের বোঝাতে এবং তাদের সমর্থন পেতে—একধরনের দেনদরবার করতে সেখানে যান।
এভাবে অন্য একটি দেশে যাওয়া কোনো ব্যক্তিত্বসম্পন্ন রাজনীতিবিদের করা উচিত নয়। জনগণের প্রতি আস্থা থাকলে আরেক দেশের সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য হন্যে হয়ে দৌড়াব কেন?
আজকের পত্রিকা: শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়—এটা আপনি বিশ্বাস করেন? শেখ হাসিনার বিকল্প নেই—এমন বক্তব্য কি সঠিক?
মহিউদ্দিন আহমদ: প্রথম কথা হলো, এ কথাটি শেখ হাসিনা নিজে মনে করেন কি না। তিনি যদি নিজেকে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় মনে করেন, তাহলে যেকোনো ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে তিনিই জয়লাভ করতেন। কিন্তু তিনি তো সেটা করছেন না। তার মানে তো নিজেরই সন্দেহ আছে তাঁর জনপ্রিয়তা নিয়ে। আর কে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়, সেটা তো নির্ধারিত হবে ভোটের মাধ্যমে। এর বাইরে তো কোনো জরিপ নেই। কোন মিডিয়া কী লিখল, সেগুলো ধর্তব্য নয়।
আর তাঁর কোনো বিকল্প নেই—এ কথাটা তো তিনি নিজেই বলেছেন বা তাঁর দলের নেতারা বলেছেন। এটা নিয়েও তো কোনো জরিপ নেই। কারণ এসব তো ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হওয়ার কথা। বিকল্প কথাটার অর্থ হলো—আমি না থাকলে দেশ অচল হয়ে যাবে। তাহলে সেই দেশই থাকাটার দরকার কী—আমি তো এটাই বুঝি না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪