শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে আইন মানছেন না অনেক পুলিশ সদস্যও। কেউ চালকের লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালাচ্ছেন, আবার কেউ নিবন্ধনবিহীন গাড়ি নামাচ্ছেন সড়কে; সেসব গাড়িতে থাকছে পুলিশের স্টিকারও। তা দেখিয়েই বেপরোয়াভাবে চলছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের অভ্যন্তরীণ নজরদারিতেই আইন না মানার এমন তথ্য উঠে আসার পর পুলিশ সদর দপ্তর প্রতিটি ইউনিটকে নোটিশ করেছিল। তবে দুই বছরেও তা না শোধরানোয় আবার ইউনিটগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনে করছেন, সড়কে পুলিশের এমন বিশৃঙ্খলভাবে চলায় পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহন না চালাতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সদর দপ্তর থেকে। তাতে বলা হয়েছে, কেউ তা অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১০ অক্টোবর পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রান্সপোর্ট) সারোয়ার মুর্শেদ শামীমের সই করা একটি চিঠিতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিটি পুলিশের সব ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। সারোয়ার মুর্শেদ শামীম নিজেও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের কিছু সদস্য সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অমান্য করে যানবাহন চালাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে চিত্র প্রকাশসহ পুলিশ সদর দপ্তরে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। তা বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করছে। এমন অবস্থায় প্রতিটি ইউনিটে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যাঁরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহন চালাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এর আগেও ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে পুলিশ সদর দপ্তরের কনফিডেনশিয়াল শাখা থেকে সড়ক আইন অমান্যকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল।
পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রমতে, অবৈধ কাগজপত্র ছাড়া যানবাহন চালানোর ৮৬টি অভিযোগ তাদের কাছে এসেছে। তাঁদের মধ্যে কারও কারও নাম ও ইউনিটের ঠিকানা পাওয়া গেছে। তাঁদের পরিচয় উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট ইউনিটকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র উপকমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিএমপি থেকে সব সময়ই তাদের বাহিনীর সদস্যদের জন্য এমন বার্তা দেওয়া হয়। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।
জানা যায়, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স ব্যবহার করলে অনধিক ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বা অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে নতুন সড়ক আইনে। এ ছাড়া নিবন্ধনবিহীন গাড়ি চালালে কিংবা গাড়ির নম্বরপ্লেট না থাকলে অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে। তবে কোনো কোনো পুলিশ সদস্য বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে রাস্তায় চলেন। গায়ে পুলিশের পোশাক কিংবা গাড়িতে স্টিকার থাকলে রাস্তায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাঁদের কিছুই বলেন না।
নিরাপদ সড়ক নিয়ে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈধ কাগজপত্র নিয়ে রাস্তায় বের না হওয়া পুলিশের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যেহেতু তাদের কেউ আটকায় না, তাই সড়কে অন্য সাধারণ মানুষের চেয়ে পুলিশই বেপরোয়াভাবে চলে। তিনি মনে করেন, দেরিতে হলেও পুলিশ সদর দপ্তর বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তা দেখে সাধারণ মানুষ সড়কে শৃঙ্খলা মানতে এক ধাপ এগিয়ে আসবে।
ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে আইন মানছেন না অনেক পুলিশ সদস্যও। কেউ চালকের লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালাচ্ছেন, আবার কেউ নিবন্ধনবিহীন গাড়ি নামাচ্ছেন সড়কে; সেসব গাড়িতে থাকছে পুলিশের স্টিকারও। তা দেখিয়েই বেপরোয়াভাবে চলছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের অভ্যন্তরীণ নজরদারিতেই আইন না মানার এমন তথ্য উঠে আসার পর পুলিশ সদর দপ্তর প্রতিটি ইউনিটকে নোটিশ করেছিল। তবে দুই বছরেও তা না শোধরানোয় আবার ইউনিটগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনে করছেন, সড়কে পুলিশের এমন বিশৃঙ্খলভাবে চলায় পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহন না চালাতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সদর দপ্তর থেকে। তাতে বলা হয়েছে, কেউ তা অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১০ অক্টোবর পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রান্সপোর্ট) সারোয়ার মুর্শেদ শামীমের সই করা একটি চিঠিতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিটি পুলিশের সব ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। সারোয়ার মুর্শেদ শামীম নিজেও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের কিছু সদস্য সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অমান্য করে যানবাহন চালাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে চিত্র প্রকাশসহ পুলিশ সদর দপ্তরে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। তা বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করছে। এমন অবস্থায় প্রতিটি ইউনিটে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যাঁরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহন চালাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এর আগেও ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে পুলিশ সদর দপ্তরের কনফিডেনশিয়াল শাখা থেকে সড়ক আইন অমান্যকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল।
পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রমতে, অবৈধ কাগজপত্র ছাড়া যানবাহন চালানোর ৮৬টি অভিযোগ তাদের কাছে এসেছে। তাঁদের মধ্যে কারও কারও নাম ও ইউনিটের ঠিকানা পাওয়া গেছে। তাঁদের পরিচয় উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট ইউনিটকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র উপকমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিএমপি থেকে সব সময়ই তাদের বাহিনীর সদস্যদের জন্য এমন বার্তা দেওয়া হয়। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।
জানা যায়, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স ব্যবহার করলে অনধিক ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বা অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে নতুন সড়ক আইনে। এ ছাড়া নিবন্ধনবিহীন গাড়ি চালালে কিংবা গাড়ির নম্বরপ্লেট না থাকলে অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে। তবে কোনো কোনো পুলিশ সদস্য বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে রাস্তায় চলেন। গায়ে পুলিশের পোশাক কিংবা গাড়িতে স্টিকার থাকলে রাস্তায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাঁদের কিছুই বলেন না।
নিরাপদ সড়ক নিয়ে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈধ কাগজপত্র নিয়ে রাস্তায় বের না হওয়া পুলিশের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যেহেতু তাদের কেউ আটকায় না, তাই সড়কে অন্য সাধারণ মানুষের চেয়ে পুলিশই বেপরোয়াভাবে চলে। তিনি মনে করেন, দেরিতে হলেও পুলিশ সদর দপ্তর বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তা দেখে সাধারণ মানুষ সড়কে শৃঙ্খলা মানতে এক ধাপ এগিয়ে আসবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪