Ajker Patrika

সয়াবিন তেলসংকট

শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২২, ১৫: ৩০
সয়াবিন তেলসংকট

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। হাট-বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে, খোলা তেলের দাম বেশি হওয়ায় ‘বোতলের তেল ভেঙে’ দোকানিরা খোলা তেল হিসেবে মেপে বিক্রি করছেন। তেল কিনতে না পেরে অনেকেই খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শৈলকুপার হাট-বাজারে বোতলজাত ১ লিটারের সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও তার পরিমাণ খুবই কম। বাড়তি মুনাফার জন্য বোতলজাত তেল খুলে ব্যারেলে ঢেলে তা বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। শৈলকুপার কবিরপুরে রয়েছেন এক ডজনের বেশি মহাজন। তাঁদের গুদাম ভর্তি ব্যারেল ব্যারেল তেল রয়েছে। শংকর কুণ্ডু, রাজু কুণ্ডু, মন্টু সাহা, মাসুম সাহাসহ ভোজ্য তেলের বড় বড় মহাজন রয়েছেন কবিরপুরে। তাঁরা বলছেন, খোলা তেল কিছু কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও দাম অনেক বেশি। বড় বড় মহাজন, ডিলার আর ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে এ অবস্থা দাঁড়িয়েছে।

গাড়াগঞ্জসহ উপজেলা শহরের ডিলারদের বিভিন্ন গুদাম আর ঘর ঘুরে দেখা গেছে, কোনো বোতলজাত তেল নেই। তবে ব্যারেল ব্যারেল খোলা সয়াবিন তেল।

অনেকের অভিযোগ, তেলের দাম বাড়ার কারণে অনেক ডিলার বোতলজাত তেল কেটে ব্যারেল আর ড্রাম ভর্তি করে রেখেছেন। একই কাজ করে চলেছেন বড় বড় ব্যবসায়ীরা। তাঁরা ডিলারদের কাছ থেকে বোতলজাত তেল নিয়ে তা কেটে ড্রাম ভর্তি করে খোলা তেল হিসেবে মেপে মেপে কেজিপ্রতি ইচ্ছামতো দামে বিক্রি করছেন।

উপজেলায় রুপচাঁদা, তীর, বসুন্ধরা, ফ্রেশসহ অন্যান্য কোম্পানির বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয়ে আসছে। তবে এসব কোম্পানির ডিলারদের হাতে বোতলজাত ২ লিটার, ৫ লিটারের কোনো তেল নেই। গাড়াগঞ্জে সরকার ট্রেডার্সের মালিক সঞ্জয় সরকার রুপচাঁদা সয়াবিনের ডিলার, মো. সেলিম ফ্রেশ সয়াবিনের ডিলার, শেখপাড়ার আব্দুল হামিদ তীর সয়াবিনের ডিলার, শৈলকুপা শহরে রয়েছেন বসুন্ধরার ডিলার বিপ্লব সাহা। রয়েছে আরও বিভিন্ন কোম্পানির সয়াবিন তেলের ডিলার।

ফ্রেশ সয়াবিনের ডিলার সেলিম বলেন, ‘আমরা মিল থেকে ঠিকমতো সয়াবিন তেল পাচ্ছি না। আবার যা পাচ্ছি পরিমাণে একেবারই কম। আমরা বোতলজাত কোনো সয়াবিন তেল কেটে ড্রামে ভরে বিক্রি করছি না। বাজারে এ তেল সংকটের জন্য আমরা দায়ী না।’

বাজারে তেল কিনতে আসা উপজেলার বয়ড়া গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘তেল কিনতে এসে মোড়কজাত কোনো তেল পাচ্ছি না। আবার খোলা বাজারেও তেল সংকট দেখছি। খোলা বাজারের তেল কিনলাম ২০০ টাকা কেজি দরে, যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।’

উপজেলার কবিরপুরের শওকত আলী বলেন, ‘খোলাবাজারে এসব তেল খুচরা ব্যবসায়ীরা যে যেমন দামে বিক্রি করে চলছেন। বোতলের তেল ভেঙে ব্যারেলে দোকানিরা খোলা তেল হিসেবে দ্বিগুণ দামে মেপে বিক্রি করছেন। এতে সাধারণ গ্রাহকেরা প্রতারিত হচ্ছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন, ‘এভাবে তেল বিক্রি করার কোনো আইনগত বৈধতা নেই। ইতিমধ্যে এসিল্যান্ড অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন। আমি সরেজমিনে দেখে এঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত