Ajker Patrika

হাসানের চোখে এটাই সেরা দল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হাসানের চোখে এটাই সেরা দল

টি-টোয়েন্টির দুনিয়ায় বাংলাদেশ এখনো পায়ের তলায় শক্ত মাটি খুঁজে পায়নি। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই সংস্করণের যখন পথচলা শুরু হয়, তখন অবশ্য ভিন্ন বার্তা দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সময় যত গড়িয়েছে, দল ততই তাল হারিয়েছে। টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ মঞ্চেও বড় সাফল্য নেই বললেই চলে। তবে এত দিনে টি-টোয়েন্টিতে একটু ভিন্ন চেহারায় আবির্ভূত বাংলাদেশ।

এখনই ভাবনায় চলে এসেছে ২০২৪ বিশ্বকাপ। সে লক্ষ্যে ক্রিকেটারদের একটা শক্ত পুল তৈরি করা হচ্ছে। শুরুতেই এ দলটি ইংল্যান্ডের মতো ভয়ডরহীন আক্রমণাত্মক দলের মুখোমুখি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নতুন শুরুতেই বাংলাদেশের ‘টার্গেট’ এই ইংলিশরা। ভড়কে না গিয়ে ভড়কে দেওয়ার শুরু এর মধ্যেই দেখিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। এখান থেকে শুধু এগিয়ে যাওয়ার পথই খুঁজতে পারে বাংলাদেশ।

হাসান মাহমুদ সেই আশাবাদী দলের একজন। তাঁর চোখে শুধু টি-টোয়েন্টিতে নয়, যেকোনো সংস্করণে এটাই হতে পারে বাংলাদেশের সেরা দল। গতকাল মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে তরুণ এই পেসার বললেন, ‘এ মুহূর্তে আমাদের যে দলটা আছে, সেটা অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে তৈরি। খুবই উদ্যমী, সবাই মাঠে খুব চেষ্টা করে। এটা যদি ধরে রাখতে পারি, তাহলে যেকোনো সংস্করণে এগিয়ে থাকব।’

ওয়ানডেতে ও টেস্টে বাংলাদেশ এখনো অভিজ্ঞদের নিয়ে পথ চলছে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে এই দুই সংস্করণে খুব বেশি পরিবর্তন দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণ। টি-টোয়েন্টিতে এর মধ্যে যেটা শুরু হয়ে গেছে। সাকিব ছাড়া সিনিয়রদের মধ্যে কেউ-ই নেই দলে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ না ছাড়লেও এই সংস্করণে তাঁর ‘শেষ’ই ধরা নেওয়া যায়। নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, হাসানদের নিয়েই পথ চলতে হবে সাকিবকে। তাঁদের ওপর যে আস্থা রাখা যায়, চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই সেটা দেখিয়েছেন হাসানরা। বোলিং, ফিল্ডিং, ব্যাটিং—তিন বিভাগেই ইংলিশদের চেয়ে শ্রেয়তর দল হিসেবে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।

এই ছন্দ ধরে রেখেই আজ ইংল্যান্ডকে হারানোর লক্ষ্য বাংলাদেশের। গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা হাসান বলছিলেন, ‘মিরপুরে যেহেতু খেলা, ভালো উইকেটই হবে। এখন পর্যন্ত আমরা খুব ভালো খেলেছি। ওদের চট্টগ্রামে হারিয়েছি। চেষ্টা থাকবে এখানেও ওদের হারানোর। প্রথম ম্যাচে যেহেতু হারিয়েছি। ছন্দ আমাদের দিকে। চেষ্টা থাকবে সেটা ধরে রাখার।’

প্রথম ম্যাচে ইংলিশদের বিপক্ষে জয়ের অন্যতম কারিগর হাসান। ডেথ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের মূল সুর বেঁধে দিয়েছেন তিনিই। ওই ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ের রহস্যের সঙ্গে হাসান জানালেন, সামনেও এই চ্যালেঞ্জটা নিতে চান, ‘আমার চিন্তা থাকে প্রতিটি বল। একটা বল যদি ডট দিতে পারি, সেটাই চিন্তা থাকে। যদি বাউন্ডারি হয়েও যায়, তবু আমি আমার শক্তির জায়গায় থাকি, যেটা পছন্দ করি, সে বলটা করি। ওই সময়ে নিজের ক্যারেক্টার শো করতে পছন্দ করি। আমি চাই ওই চ্যালেঞ্জটা নিতে।’

হাসান সেদিন বাংলাদেশের এই টি-টোয়েন্টি দলের মূল চরিত্রটাই ফুটিয়ে তুলেছেন—ভাঙব তবু মচকাব না। আছে শেখার অদম্য আগ্রহও। হাসান বলছিলেন সিরিজের শেষ দিকে প্রতিপক্ষ দলের ফাস্ট বোলারদের সঙ্গে কথা বলে কিছু কৌশল আয়ত্ত করার কথা, ‘সিরিজ শেষে জিজ্ঞাসা করব, চাপটা কীভাবে সামলায় তারা, নতুন বল কীভাবে করে…তারা কোনো চাপ ছাড়াই বল করে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত