২০ শাখার ৮৬ শতাংশ খেলাপি টেনেই দুর্বল সোনালী ব্যাংক

মাত্র ২০টি শাখায় রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের খেলাপির পরিমাণ ৯ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা বা ৮৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আর ব্যাংকটির অবশিষ্ট ১ হাজার ২০৮টি শাখার খেলাপির পরিমাণ মাত্র ২ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। যদিও ২০২২ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে মোট খেলাপির পরিমাণ ১২ হাজার ৬০ কোটি, যা বিতরণকৃত মোট ঋণের ১৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৭ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সোনালী ব্যাংকের শাখাভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ পুঞ্জীভূত হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের স্থানীয় কার্যালয় শাখায়। ২০২২ সাল শেষে এই শাখায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রামের লালদীঘি করপোরেট শাখার অবস্থান। ব্যাংকটির লালদীঘি শাখার খেলাপি ঋণের পরিমাণ  ১ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল করপোরেট শাখা ১ হাজার ৩০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এর পরে ৭০৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে রাজধানীর রমনা করপোরেট শাখা ও খুলনা করপোরেট শাখা ৬৬৬ কোটি ৮ লাখ খেলাপি ঋণ নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে।

একই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ঢাকার বৈদেশিক বাণিজ্য করপোরেট শাখার খেলাপি ৮৭ কোটি ২০ লাখ টাকা, নারায়ণগঞ্জ করপোরেট শাখার ৩২৩ কোটি ২৪ লাখ, ফরিদপুর করপোরেট শাখার ৯৩ কোটি ৮ লাখ, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ করপোরেট শাখার ১৪২ কোটি ৯২ লাখ, নারায়ণগঞ্জ বৈদেশিক শাখার ৫১ কোটি ৩ লাখ, ঢাকার নিউমার্কেট শাখার ১২৮ কোটি ৯২ লাখ, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর করপোরেট শাখা ২৭৭ কোটি ৯৪ লাখ, দিলকুশা করপোরেট শাখা ৫০৫ কোটি ১১ লাখ, দৌলতপুর করপোরেট শাখা ৪৬০ কোটি ৭৯ লাখ, রাজধানীর শিল্প ভবন করপোরেট শাখা ৩৪৭ কোটি ৬২ লাখ, দৌলতপুর কলেজ রোড শাখা ৩৫৮ কোটি ৪৫ লাখ, কক্সবাজার শাখা ১৪ কোটি ৮১ লাখ, খুলনার খালিশপুর শাখা ৮৩ কোটি ৮ লাখ, রাজধানীর গুলশান শাখা ৬৮ কোটি ২৫ লাখ, চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট শাখা ৬৩ কোটি ১১ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মীর মোফাজ্জল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বড় খেলাপি ঋণের কারণে চাপ বাড়ছে। এ ঋণ আদায়ে দুই স্তরের উচ্চ ক্ষমতার কমিটি গঠন করা হয়েছে। খেলাপিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে খেলাপি ঋণ আদায় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর নতুন করে খেলাপি যাতে না হয় যে জন্য মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। চলতি বছরেই খেলাপির হার ১০ শতাংশের মধ্যে আসবে বলে প্রত্যাশা।’