Ajker Patrika

৮৩টি বিদ্যালয় তদারকির দায়িত্বে একজন কর্মকর্তা

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
৮৩টি বিদ্যালয় তদারকির দায়িত্বে একজন কর্মকর্তা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বাড়াতে হাওর ও দুর্গম অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে তদারকি বাড়ানোর সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। তবে উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ের জনবলসংকটের কারণে কিশোরগঞ্জের হাওরবেষ্টিত অষ্টগ্রাম উপজেলায় বিঘ্নিত হচ্ছে এই নির্দেশনা। এর ফলে দাপ্তরিক কাজ সামাল দিতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষা কার্যালয়কে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শন না হওয়ায় শিক্ষার মান বাড়ছে না বলেও মনে করছেন অভিভাবকেরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১০টি পদের বিপরীতে চারজন দিয়ে চলছে অষ্টগ্রাম উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়। তাঁদের মধ্যে চারজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার পদ থাকলেও রয়েছেন মাত্র একজন। অন্যদিকে উপজেলার আটটি ইউনিয়নে মোট ৮৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ১৩ কিন্ডারগার্টেন ও ৩টি এনজিও বিদ্যালয়। সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ হাজার ৩২২। শিক্ষক রয়েছেন ৪০৬ জন। চারটি ক্লাস্টারে বিভক্ত উপজেলায় চারটি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পদের বিপরীতে কর্মরত মাত্র একজন। অর্থাৎ ৮৩টি বিদ্যালয় তদারক করতে মাত্র একজন কর্মকর্তা রয়েছেন উপজেলায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দুর্গম যোগাযোগের কারণে একমাত্র দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা গাজী মোস্তাফিজুর রহমান নিয়মিত ৮৩টি বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে পারেন না। উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর ধরে দুটি ও তিন মাস ধরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার আরও একটি পদ শূন্য রয়েছে। দুই বছর ধরে নেই উচ্চমান সহকারী। এ ছাড়া সাত বছর ধরে হিসাব সহকারীর পদ, আট বছর ধরে অফিস সহায়কের পদ শূন্য রয়েছে। মোট চারজন জনবল দিয়ে চলছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়।

জনবলসংকটের কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শিক্ষকেরা জানান, এখানে এসে ধীরগতির কাজের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন। এখানে এলে সারা দিন শেষ। কখনোবা সকালে এসে বিকেলে ফিরতে হয়, তারপরেও কাজ হয় না। কর্মকর্তারা কোনো বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলেন তো ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। কোনো সময় এক দিনের কাজ দুদিন এসেও করতে পারি না। এর ফলে সময় ও টাকা—দুটো নষ্ট হয়।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘জনবলসংকট থাকলেও দাপ্তরিক কাজগুলো সময়মতো চালিয়ে নিচ্ছি। তবে বাড়তি কাজ করতে গিয়ে মানসিক ও শারীরিক কষ্টে থাকতে হয়। এটাও সত্যি যে নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয় পরিদর্শন ও তদারকি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বনিক বলেন, জনবল বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত