Ajker Patrika

ভারতীয় চাল বাজারে, দাম কমের দিকে

আয়নাল হোসেন, ঢাকা
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮: ২০
ভারতীয় চাল বাজারে, দাম কমের দিকে

দেশের কোথাও চালের সংকট নেই। পরিবহন খরচ ও ধানের দাম বাড়ার অজুহাতে দেশের মোকাম, আড়ত, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা চালের দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দেন। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেয়। সর্বশেষ সরকার চালের দাম বেঁধে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এতে মোকাম, পাইকারিতে প্রভাব পড়েছে। খুচরা বাজারে কোথাও কোথাও প্রভাব পড়েছে।

পুরান ঢাকার বাবুবাজারের মেসার্স মা-বাবার দোয়া রাইস এজেন্সির মালিক মনির হোসেন জমাদার বলেন,  দুই দিন ধরে বাজারে ভারতীয় চাল ঢোকা শুরু হয়েছে। আর এ কারণে অনেকেই বস্তাপ্রতি (৫০ কেজিতে এক বস্তা) ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দাম কমিয়ে বিক্রি করছেন। ভারতীয় চাল বেশি ঢুকলে তখন অনেকেই বিক্রি করতে পারবে না—এই ভয়ে দাম কমিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। 
এ বাজারের মেসার্স ফরিদ রাইস এজেন্সির বিক্রয় প্রতিনিধি মোশারাফ হোসেন জানান, বাজারে ভারতের চাল দুই-একটি ঘরে ঢুকেছে। এরই মধ্যে চালের দাম দুই দিন ধরে সর্বোচ্চ তিন টাকা পর্যন্ত কমেছে। আগে প্রতিকেজি মিনিকেটের দাম ছিল মানভেদে ৬৪-৭০ টাকা। গতকাল তা ৬২.৫-৬৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একইভাবে ৫৪ টাকার বিআর-২৮ চাল ৫২ টাকা এবং ৭০-৭৪ টাকার নাজিরশাইল ৬৮-৭১ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম।

আমাদের হিলি প্রতিনিধি মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত কয়েক দিন ধরে হিলি বন্দর দিয়ে গড়ে ২৫ ট্রাক চাল ঢুকত। আর গত ২৪ ঘণ্টায় চাল ঢুকেছে ৪০ ট্রাক। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত চাল ঢুকেছে ৩৮ হাজার মেট্রিক টন। এ সময়ে চাল আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে এক লাখ ৪৬ হাজার ২০ মেট্রিক টন এবং ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে এক লাখ ৬৩ হাজার ৯৮ মেট্রিক টন।

রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৫৪-৫৬ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৫-৫৮ টাকা। গতকাল প্রতিকেজি সরু চাল বিক্রি হয়েছে ৬৪-৭৫ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬৫-৮০ টাকা।

তবে রাজধানীর পশ্চিম রামপুরা বাজারের মেসার্স সূচনা রাইস এজেন্সির ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হোসেন জানান, খুচরা বাজারে এখনো চালের দাম কমেনি। বিআর-২৮ চাল পাইকারিতে ৫০ টাকা কমেছে। তবে এই চাল এখনো তাদের কাছে পৌঁছায়নি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৫ আগস্ট রাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। এর দুই দিন পর থেকে শুরু হয় চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্য দাম বাড়ানোর হিড়িক। চালে পরিবহন খরচ কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ২৫ পয়সা বাড়লেও বাজারে কেজিতে বাড়ে সর্বোচ্চ ৫ টাকা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত