সম্পাদকীয়
আজকাল কাউকে খুব সহজে বিশ্বাস করা যায় না। করবেন কীভাবে? কেনইবা করবেন? একের পর এক ‘ভরসা’ যেন খুন হয়ে যাচ্ছে কিছু মানুষের হাতে! যেমন কাউকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রেমের অভিনয় করে তাঁর অর্থালংকার লুট করে নেওয়া কিংবা অসৎ রাজনীতিকের মিষ্টি কথায় তাঁকে ভোট দিয়ে জনগণের সেবা না পাওয়া, অথবা সাদা কাগজে সই করে না জেনে সব সম্পদ অন্যের নামে লিখে দেওয়া। আবার হতে পারে, কাউকে চাকরির আশ্বাস দিয়ে তাঁকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া। এসব তো হয় কাউকে ভরসা করলেই। আর সেই ‘কেউ’ যাচ্ছেতাইভাবে ‘ভরসা’ খুন করে!
এ রকম ঘটনা বাস্তবে হয় বলেই কিন্তু নাটক-সিনেমায় এর প্রতিফলন আমরা দেখি। তবে দেখতে দেখতে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে এমনটা বাস্তবে হয়। এ ধরনের নাটক-সিনেমার গল্প কিন্তু আমাদের সতর্ক করার জন্যই নির্মাণ করা হয়।
নাটক-সিনেমার কথা এক পাশ করে ঝিনাইদহের এক তরুণীর ঘটনা জানা যাক। মাস তিনেক আগে তাঁকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেন তাঁরই পরিচিত এক ব্যক্তি। কথা ছিল তাঁকে তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি দেওয়ার। ওই ব্যক্তির ওপর ভরসা করে তাঁর সঙ্গে প্রথমে ঢাকায় পা রাখেন সেই তরুণী। কিন্তু পরে রাজধানীর শান্তিনগর থেকে তাঁকে ময়মনসিংহের গাঙ্গিনারপাড় যৌনপল্লিতে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
বাধ্য হয়ে কাজ করতে হচ্ছিল তাঁকে। এখানে এভাবেই ওই তরুণীর বাকি জীবন কেটে যেতে পারত। কিন্তু তিনি হার মানেননি। তিন মাস পর একদিন এক সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যান। একজনের মোবাইল ফোন থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তরুণীর অভিভাবকের কাছে তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
ঝিনাইদহের ওই তরুণী হয়তো ভাগ্যবান, তিনি জানতেন জাতীয় জরুরি সেবার কথা। কিন্তু তিনি ভুলও করেছিলেন। কাউকে বিশ্বাস করেছিলেন, ভরসা করেছিলেন। সেই বিশ্বাস আর ভরসাকে খুন করে চম্পট দিলেন এক ব্যক্তি। সেই ব্যক্তির মতো অগণিত মানুষ আমাদেরই চারপাশে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বসবাস করছেন, যাঁদের আমরা ভরসা করি—হতে পারেন তাঁরা দিনমজুর, এমনকি রাজনীতিবিদ। তাঁরা কোন পেশায় আছেন, সেটা মুখ্য নয়, তাঁদের উদ্দেশ্যটাই আসল।
অর্থাৎ শুধু হিউম্যান ট্রাফিকিং বা মানব পাচারের ক্ষেত্রেই নয়, যেকোনো ক্ষেত্রেই আমাদের ভরসা খুন হতে পারে, যে কেউ ঠকে যেতে পারি ওই তরুণীর মতো। আর এই ভরসা খুনের প্রক্রিয়া চলমান বলেই অন্যায়-অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে অসৎ মানুষদের দ্বারা।
এমন অসৎ মানুষদের চিহ্নিত করা বা তাঁদের উদ্দেশ্য বুঝতে পারা বেশ কঠিন কাজ। তবে কাজটা কিন্তু আমাদের সবারই। তাই সচেতন থাকার বিকল্প নেই। অন্যায়কারীকে অন্যায় বা অপরাধীকে অপরাধ না করতে দেওয়াটা হতে পারে সচেতনতার পরের ধাপ।
আজকাল কাউকে খুব সহজে বিশ্বাস করা যায় না। করবেন কীভাবে? কেনইবা করবেন? একের পর এক ‘ভরসা’ যেন খুন হয়ে যাচ্ছে কিছু মানুষের হাতে! যেমন কাউকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রেমের অভিনয় করে তাঁর অর্থালংকার লুট করে নেওয়া কিংবা অসৎ রাজনীতিকের মিষ্টি কথায় তাঁকে ভোট দিয়ে জনগণের সেবা না পাওয়া, অথবা সাদা কাগজে সই করে না জেনে সব সম্পদ অন্যের নামে লিখে দেওয়া। আবার হতে পারে, কাউকে চাকরির আশ্বাস দিয়ে তাঁকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া। এসব তো হয় কাউকে ভরসা করলেই। আর সেই ‘কেউ’ যাচ্ছেতাইভাবে ‘ভরসা’ খুন করে!
এ রকম ঘটনা বাস্তবে হয় বলেই কিন্তু নাটক-সিনেমায় এর প্রতিফলন আমরা দেখি। তবে দেখতে দেখতে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে এমনটা বাস্তবে হয়। এ ধরনের নাটক-সিনেমার গল্প কিন্তু আমাদের সতর্ক করার জন্যই নির্মাণ করা হয়।
নাটক-সিনেমার কথা এক পাশ করে ঝিনাইদহের এক তরুণীর ঘটনা জানা যাক। মাস তিনেক আগে তাঁকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেন তাঁরই পরিচিত এক ব্যক্তি। কথা ছিল তাঁকে তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি দেওয়ার। ওই ব্যক্তির ওপর ভরসা করে তাঁর সঙ্গে প্রথমে ঢাকায় পা রাখেন সেই তরুণী। কিন্তু পরে রাজধানীর শান্তিনগর থেকে তাঁকে ময়মনসিংহের গাঙ্গিনারপাড় যৌনপল্লিতে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
বাধ্য হয়ে কাজ করতে হচ্ছিল তাঁকে। এখানে এভাবেই ওই তরুণীর বাকি জীবন কেটে যেতে পারত। কিন্তু তিনি হার মানেননি। তিন মাস পর একদিন এক সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যান। একজনের মোবাইল ফোন থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তরুণীর অভিভাবকের কাছে তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
ঝিনাইদহের ওই তরুণী হয়তো ভাগ্যবান, তিনি জানতেন জাতীয় জরুরি সেবার কথা। কিন্তু তিনি ভুলও করেছিলেন। কাউকে বিশ্বাস করেছিলেন, ভরসা করেছিলেন। সেই বিশ্বাস আর ভরসাকে খুন করে চম্পট দিলেন এক ব্যক্তি। সেই ব্যক্তির মতো অগণিত মানুষ আমাদেরই চারপাশে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বসবাস করছেন, যাঁদের আমরা ভরসা করি—হতে পারেন তাঁরা দিনমজুর, এমনকি রাজনীতিবিদ। তাঁরা কোন পেশায় আছেন, সেটা মুখ্য নয়, তাঁদের উদ্দেশ্যটাই আসল।
অর্থাৎ শুধু হিউম্যান ট্রাফিকিং বা মানব পাচারের ক্ষেত্রেই নয়, যেকোনো ক্ষেত্রেই আমাদের ভরসা খুন হতে পারে, যে কেউ ঠকে যেতে পারি ওই তরুণীর মতো। আর এই ভরসা খুনের প্রক্রিয়া চলমান বলেই অন্যায়-অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে অসৎ মানুষদের দ্বারা।
এমন অসৎ মানুষদের চিহ্নিত করা বা তাঁদের উদ্দেশ্য বুঝতে পারা বেশ কঠিন কাজ। তবে কাজটা কিন্তু আমাদের সবারই। তাই সচেতন থাকার বিকল্প নেই। অন্যায়কারীকে অন্যায় বা অপরাধীকে অপরাধ না করতে দেওয়াটা হতে পারে সচেতনতার পরের ধাপ।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫