Ajker Patrika

তলিয়ে গেছে ফসলের খেত ধান বাঁচাতে মরিয়া কৃষক

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৩ মে ২০২২, ১৫: ২০
তলিয়ে গেছে ফসলের খেত ধান বাঁচাতে মরিয়া কৃষক

পাবনার সাঁথিয়ায় ঘূর্ণিঝড় আশানির প্রভাব পড়েছে ফসলের মাঠে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে উপজেলা কয়েকটি বিল ও মাঠের হাজারো হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে যেতে বসেছে। ফলে ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

উপজেলার বিষ্ণুবাড়িয়া মাঠে ও ঘুঘুদহ বিলে গিয়ে দেখা গেছে, ধানের জমিতে হাঁটু ও কোমর পর্যন্ত পানি। আর এই পানিতে নেমেই অনেকে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটছেন। পানিতে ডোবা এসব ধান কাটতে শ্রমিকদের দ্বিগুণ কষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া কোনো কোনো জমির ধান ঝোড়ো বাতাসে নুয়ে পরে গেছে। বৃষ্টিতে সেসব জমিতে পানি জমে ধান নষ্ট হচ্ছে। ফসলের ক্ষতি ঠেকাতে পাকা ও আধা পাকা ধান কাটা নিয়ে শ্রমিক সংকটে পড়েছেন কৃষক।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে এক মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকায়। আর ধান কাটার জন্য একজন শ্রমিকের মূল্য চাওয়া হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা। এলাকা ও জমির ধরন অনুযায়ী তা আরও বেশি চাওয়া হচ্ছে। ফলে শ্রমিকের মজুরি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকেরা।

উপজেলার আত্রাইশুকা গ্রামের কৃষক বাবলু বলেন, জমিতে বৃষ্টির পানি বেশি হওয়ায় ধান কাটা বন্ধ রেখেছেন তিনি। এক মণ ধানের দামের সমান একজন শ্রমিকের মজুরি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি।

একই গ্রামের বাবলু বলেন, ধান কাটার জন্য একজন শ্রমিকের মূল্য চাওয়া হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা। শ্রমিকের ধান বেশি হওয়ায় তিনি নিজেই ধান কাটা শুরু করেছেন।

উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের কৃষক মধু বলেন, ঘুঘুদহ বিলে তিনি বোরো ধান রোপণ করেন। বৃষ্টির পানিতে অধিকাংশ ধানের জমিতে হাঁটু পানি হয়েছে। কিছু জমির ধান পানির নিচে রয়েছে। এ রকম আরও দুই-একদিন বৃষ্টি হলে পানির ঢলে নিচু জমির ধান ডুবে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম সোরহাব আলী খান বলেন, কয়েক দিন বৃষ্টিতে সোনাই বিল ধলাই বিল, গঙ্গা সাগর বিলের নিচু এলাকায় আধপকা বোরো ধানের খেতে পানি বেড়ে গেছে। আর ওই সব জমি থেকে ধান কাটতে শ্রমিকের মূল্য নিয়ে অধিক টাকা গুনতে হচ্ছে। তারপরও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, এলাকার কিছু শ্রমিক অন্য উপজেলায় ধান কাটতে চলে যাওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে নিজেরাই নিচু জমির ধান কাটছেন কৃষক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীত কুমার গোস্বামী বলেন, উপজেলায় ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। ৮০ ভাগ ধান পাকা হলেই কৃষকদের কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে সেখানে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পানি নিষ্কাশনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিন্দুর ঘিরে আলোচিত কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি

পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের’ নির্দেশ

কাশ্মীরে বিধ্বস্ত বিমানের অংশবিশেষ ফরাসি কোম্পানির তৈরি, হতে পারে রাফাল

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

পাকিস্তানে হামলায় ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ ব্যবহারের দাবি ভারতের, এটি কীভাবে কাজ করে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত