নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চতুর্থ প্রজন্মের নতুন ব্যাংকগুলোও ঋণ বিতরণে আগ্রাসী হয়ে পড়ায় খেলাপি ঋণ ব্যাপক বেড়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৯টি নতুন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮১০ কোটি টাকা, যা পাঁচ বছর আগে ছিল মাত্র ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এই ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ প্রায় পাঁচ গুণ বেড়েছে।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এই ব্যাংকগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। যদি অযোগ্যরা সনদ পায় তবে ব্যাংকের করপোরেট শাসন ও কমপ্লায়েন্স পালন করা কঠিন। কারণ, তারা অনেক প্রভাবশালী বলে এমনটা করা অস্বাভাবিক নয়। তবে কী কারণে খেলাপি বেড়েছে ও কারা মূল খেলাপি, তা তদন্ত করে জনসমক্ষে তুলে ধরতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর যদি এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংকের পরিচালকের সঙ্গে যোগসাজশ করে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেন, তবে সেটা আদায় করা কঠিন হবে। যদিও এভাবে ঋণ নেওয়া বেআইনি। এসব ঋণ বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এটা করা সহজ না হলেও অসাধ্য নয়।’
ঋণ দেওয়ায় ‘বড় ব্যত্যয়’ ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। গতকাল তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের প্রয়োজন বিবেচনা করে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে নতুন ব্যাংক হিসেবে ঋণ বিতরণে কিছুটা আগ্রাসী মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে এসব ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক চলমান রেখেছে। বড় কোনো ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চতুর্থ প্রজন্মের ১৩টি নতুন ব্যাংককে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এসব ব্যাংকের মধ্যে পদ্মা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৬৮ শতাংশ। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ফারমার্স নামে থাকা ব্যাংকটির খেলাপি ছিল মাত্র ৭২৩ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের মাত্র ১৪ শতাংশ। ইউনিয়ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৭১২ কোটি, যা মোট ঋণের প্রায় ৪ শতাংশ। পাঁচ বছর আগে এই ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ।
মেঘনা ব্যাংকের খেলাপি দাঁড়িয়েছে ২৪১ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের প্রায় ৬ শতাংশ। পাঁচ বছর আগে খেলাপি ঋণের হার ছিল প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ। মিডল্যান্ড ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৬২ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩ শতাংশ। মধুমতি ব্যাংকের খেলাপির পরিমাণ ১৮০ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। পাঁচ বছর আগে এই ব্যাংকের বিতরণ করা ২ হাজার ৭৯০ কোটি টাকার ঋণের মধ্যে খেলাপি ছিল মাত্র ৯ কোটি টাকা।
জুন পর্যন্ত সাউথ বাংলা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৪১৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের প্রায় ৬ শতাংশ। পাঁচ বছর আগে এই ব্যাংকের ঋণ ছিল ৪ হাজার ৩০৬ কোটি, যার মধ্যে খেলাপি ছিল মাত্র ৩১ কোটি টাকা। এনআরবি ব্যাংকের মোট খেলাপি ২১৫ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৩৩০ কোটি বা ৩ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৬০০ কোটি টাকা বা ৬ শতাংশ।
চতুর্থ প্রজন্মের নতুন ব্যাংকগুলোও ঋণ বিতরণে আগ্রাসী হয়ে পড়ায় খেলাপি ঋণ ব্যাপক বেড়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৯টি নতুন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮১০ কোটি টাকা, যা পাঁচ বছর আগে ছিল মাত্র ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এই ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ প্রায় পাঁচ গুণ বেড়েছে।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এই ব্যাংকগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। যদি অযোগ্যরা সনদ পায় তবে ব্যাংকের করপোরেট শাসন ও কমপ্লায়েন্স পালন করা কঠিন। কারণ, তারা অনেক প্রভাবশালী বলে এমনটা করা অস্বাভাবিক নয়। তবে কী কারণে খেলাপি বেড়েছে ও কারা মূল খেলাপি, তা তদন্ত করে জনসমক্ষে তুলে ধরতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর যদি এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংকের পরিচালকের সঙ্গে যোগসাজশ করে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেন, তবে সেটা আদায় করা কঠিন হবে। যদিও এভাবে ঋণ নেওয়া বেআইনি। এসব ঋণ বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এটা করা সহজ না হলেও অসাধ্য নয়।’
ঋণ দেওয়ায় ‘বড় ব্যত্যয়’ ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। গতকাল তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের প্রয়োজন বিবেচনা করে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে নতুন ব্যাংক হিসেবে ঋণ বিতরণে কিছুটা আগ্রাসী মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে এসব ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক চলমান রেখেছে। বড় কোনো ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চতুর্থ প্রজন্মের ১৩টি নতুন ব্যাংককে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এসব ব্যাংকের মধ্যে পদ্মা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৬৮ শতাংশ। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ফারমার্স নামে থাকা ব্যাংকটির খেলাপি ছিল মাত্র ৭২৩ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের মাত্র ১৪ শতাংশ। ইউনিয়ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৭১২ কোটি, যা মোট ঋণের প্রায় ৪ শতাংশ। পাঁচ বছর আগে এই ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ।
মেঘনা ব্যাংকের খেলাপি দাঁড়িয়েছে ২৪১ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের প্রায় ৬ শতাংশ। পাঁচ বছর আগে খেলাপি ঋণের হার ছিল প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ। মিডল্যান্ড ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৬২ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩ শতাংশ। মধুমতি ব্যাংকের খেলাপির পরিমাণ ১৮০ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। পাঁচ বছর আগে এই ব্যাংকের বিতরণ করা ২ হাজার ৭৯০ কোটি টাকার ঋণের মধ্যে খেলাপি ছিল মাত্র ৯ কোটি টাকা।
জুন পর্যন্ত সাউথ বাংলা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৪১৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের প্রায় ৬ শতাংশ। পাঁচ বছর আগে এই ব্যাংকের ঋণ ছিল ৪ হাজার ৩০৬ কোটি, যার মধ্যে খেলাপি ছিল মাত্র ৩১ কোটি টাকা। এনআরবি ব্যাংকের মোট খেলাপি ২১৫ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৩৩০ কোটি বা ৩ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৬০০ কোটি টাকা বা ৬ শতাংশ।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪