সাখাওয়াত হোসেন, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ)
খেতে সুস্বাদু, আকারে বড়। দেখতে সুন্দর হওয়ায় বেশ কদর। বলা হচ্ছে বলসুন্দরী জাতের কুলের কথা। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এ জাতের কুল চাষ করে বাজিমাত করেছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং এখানকার মাটি কুল চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলন বেশ ভালো হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত দাম পেয়েও খুশি চাষিরা। খরচের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এখানকার মাটি চাষাবাদের জন্য খুবই উর্বর। দু-তিন বছর ধরে এখানকার চাষিরা উন্নত জাতের কুল চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন। বাজারে এসব কুলের চাহিদা থাকায় তাঁরা লাভবানও হচ্ছেন। এসব কুলের মধ্যে বলসুন্দরী, কাশ্মীরি ও আপেল কুলের আবাদ ব্যাপক বেড়েছে। পৌর সদরের হাপানিয়া, এগারসিন্দুর ইউনিয়নের আদিত্যপাশা, খামা, বাগানবাড়ি, নারান্দী ইউনিয়নের পোড়াবাড়িয়া ও জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এসব কুলের চাষ হয়েছে এবার। জমিতে কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সরেজমিনে পৌর সদরের হাপানিয়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কের পাশে অনেকটা জায়গাজুড়ে কুলের চাষ হয়েছে। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ধরে আছে থোকা থোকা কুল। সবুজ আর হালকা গোলাপি বর্ণের এবং আকারে বড় চকচকে এসব কুল পথচারীসহ যে কারও নজর কাড়বে।
বাগান আর থোকা থোকা কুল দেখতে দেখতেই একটি বাগানে গিয়ে কথা হলো নজরুল ইসলাম রঙ্গ মিয়া নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে।
পাশের পাকুন্দিয়া বড়বাড়ি এলাকায় তাঁর বাড়ি। ওই বাগানের মালিকের কাছ থেকে এবারের ফলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাগানের স্বত্ব কিনে নিয়েছেন তিনি।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাসখানেক আগে দেড় লাখ টাকায় আড়াই একরের বলসুন্দরী কুলের এ বাগানটি কিনেছি। কিছুদিন আগে থেকে কুল বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ৩৫০-৪০০ কেজি কুল বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ৪৫-৪৭ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।’ তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৪ লাখ টাকার কুল বিক্রি করেছেন তিনি। আরও লাখ দুয়েক টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছেন।
উপজেলার আদিত্যপাশা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানালেন, তিনি এক বিঘা জমিতে বলসুন্দরী জাতের কুল চাষ করেছেন। এতে চারাসহ সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে ৫০-৬০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত দেড় লাখ টাকার কুল বিক্রি করেছেন। আরও লাখখানেক টাকার কুল বিক্রি হবে বলে আশা করছেন।
এগারসিন্দুর ইউনিয়নের আঙ্গিয়াদী ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিমুল হক বলেন, বলসন্দুরী উন্নত জাতের কুল। এ জাতের কুল দেখতে সুন্দর, আকারে বড় ও খেতে সুস্বাদু। বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষকেরা দাম পাচ্ছেন ভালো। দিনদিন এখানে এসব কুলের আবাদ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধান চাষের পাশাপাশি কৃষকদের উন্নত জাতের ফল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। নতুন উদ্যোক্তা ও শিক্ষিত তরুণেরা এগিয়ে আসছেন। অল্পসময়ের চাষাবাদে লাভবান হয়ে তাঁরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন সাধারণ লোকজনের নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা মিটছে, তেমনি উদ্যোক্তারা লাভবান হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে তাঁদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
খেতে সুস্বাদু, আকারে বড়। দেখতে সুন্দর হওয়ায় বেশ কদর। বলা হচ্ছে বলসুন্দরী জাতের কুলের কথা। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এ জাতের কুল চাষ করে বাজিমাত করেছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং এখানকার মাটি কুল চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলন বেশ ভালো হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত দাম পেয়েও খুশি চাষিরা। খরচের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এখানকার মাটি চাষাবাদের জন্য খুবই উর্বর। দু-তিন বছর ধরে এখানকার চাষিরা উন্নত জাতের কুল চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন। বাজারে এসব কুলের চাহিদা থাকায় তাঁরা লাভবানও হচ্ছেন। এসব কুলের মধ্যে বলসুন্দরী, কাশ্মীরি ও আপেল কুলের আবাদ ব্যাপক বেড়েছে। পৌর সদরের হাপানিয়া, এগারসিন্দুর ইউনিয়নের আদিত্যপাশা, খামা, বাগানবাড়ি, নারান্দী ইউনিয়নের পোড়াবাড়িয়া ও জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এসব কুলের চাষ হয়েছে এবার। জমিতে কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সরেজমিনে পৌর সদরের হাপানিয়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কের পাশে অনেকটা জায়গাজুড়ে কুলের চাষ হয়েছে। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ধরে আছে থোকা থোকা কুল। সবুজ আর হালকা গোলাপি বর্ণের এবং আকারে বড় চকচকে এসব কুল পথচারীসহ যে কারও নজর কাড়বে।
বাগান আর থোকা থোকা কুল দেখতে দেখতেই একটি বাগানে গিয়ে কথা হলো নজরুল ইসলাম রঙ্গ মিয়া নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে।
পাশের পাকুন্দিয়া বড়বাড়ি এলাকায় তাঁর বাড়ি। ওই বাগানের মালিকের কাছ থেকে এবারের ফলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাগানের স্বত্ব কিনে নিয়েছেন তিনি।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাসখানেক আগে দেড় লাখ টাকায় আড়াই একরের বলসুন্দরী কুলের এ বাগানটি কিনেছি। কিছুদিন আগে থেকে কুল বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ৩৫০-৪০০ কেজি কুল বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ৪৫-৪৭ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।’ তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৪ লাখ টাকার কুল বিক্রি করেছেন তিনি। আরও লাখ দুয়েক টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছেন।
উপজেলার আদিত্যপাশা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানালেন, তিনি এক বিঘা জমিতে বলসুন্দরী জাতের কুল চাষ করেছেন। এতে চারাসহ সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে ৫০-৬০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত দেড় লাখ টাকার কুল বিক্রি করেছেন। আরও লাখখানেক টাকার কুল বিক্রি হবে বলে আশা করছেন।
এগারসিন্দুর ইউনিয়নের আঙ্গিয়াদী ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিমুল হক বলেন, বলসন্দুরী উন্নত জাতের কুল। এ জাতের কুল দেখতে সুন্দর, আকারে বড় ও খেতে সুস্বাদু। বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষকেরা দাম পাচ্ছেন ভালো। দিনদিন এখানে এসব কুলের আবাদ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধান চাষের পাশাপাশি কৃষকদের উন্নত জাতের ফল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। নতুন উদ্যোক্তা ও শিক্ষিত তরুণেরা এগিয়ে আসছেন। অল্পসময়ের চাষাবাদে লাভবান হয়ে তাঁরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন সাধারণ লোকজনের নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা মিটছে, তেমনি উদ্যোক্তারা লাভবান হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে তাঁদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪