Ajker Patrika

পানি সরলেও চলছে না ট্রেন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২২, ১৫: ১১
Thumbnail image

বন্যায় কুড়িগ্রাম-রমনা (চিলমারী) রেলপথ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রেলপথের ধারের পানি নেমে যাওয়ার এক মাস পেরোলেও এখনো চালু হয়নি ট্রেন। তবে, কর্তৃপক্ষ বলছে, খুব শিগগির ট্রেন চলাচল করবে।

এর আগে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত ১ মার্চ চালু হয় রমনা কমিউটার ট্রেন। প্রায় আড়াই মাস চালু থাকলেও রেলপথের পাশে পানি জমায় গত ১৭ জুন থেকে পুনরায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। তবে ট্রেনটি কুড়িগ্রাম-চিলমারী রুটে বন্ধ থাকলেও লালমনিরহাট-রংপুর-কুড়িগ্রাম রুটে নিয়মিত চলাচল করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুড়িগ্রাম-চিলমারী রেলপথের একটি স্টেশনের এক কর্মচারী বলেন, ‘এ রেলপথ অবহেলিত। ঠুনকো অজুহাত তুলে কর্তৃপক্ষ এ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে। অথচ এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং রেলপথটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী।’

কুড়িগ্রাম রেলস্টেশনের মাস্টার সামসুজ্জোহা বলেন, ‘গত জুনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী রুটে চলাচল বন্ধ হওয়ার পর ট্রেনটি বর্তমানে কুড়িগ্রাম স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করছে। চিলমারী রুটে চলাচলের বিষয়ে আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি।’

কুড়িগ্রাম রেল আন্দোলনের নেতা আব্দুল কাদের বলেন, ‘কুড়িগ্রামে রেল যোগাযোগ উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা থাকলেও রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। শুধু লালমনিরহাট রেল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহেলার শিকার হয়ে এ জেলায় রেলের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চাই অবিলম্বে চিলমারী পর্যন্ত রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু করা হোক।’

আব্দুল কাদের আরও বলেন, ‘যে শিডিউল অনুযায়ী রমনা কমিউটার এই রুটে চালু করা হয়েছে, তা কোনোভাবে যাত্রীবান্ধব নয়। ফলে এ রুটে যাত্রীরা ট্রেনের সুবিধা থেকে বরাবরের মতো বঞ্চিত থাকছেন। যাত্রীবান্ধব শিডিউল তৈরি করে সে অনুযায়ী ট্রেন চালু করতে হবে। তা না হলে আবারও হয়তো লোকসান কিংবা অন্য কোনো অজুহাত তুলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হতে পারে।’

রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘শিগগির কুড়িগ্রাম-চিলমারী রেলপথে রমনা কমিউটার যাতায়াত শুরু করবে। এ জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রেলপথটি উলিপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার স্থায়ী সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, ‘আমরা ওই রুটে পুনরায় ট্রেন চালুর বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি, আগস্টের শুরুতে ওই রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু করবে।’

বারবার সাময়িক সংস্কারকাজ করা হলেও কুড়িগ্রাম-চিলমারী রেলপথের স্থায়ী সংস্কারের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আহসান হাবীব বলেন, ‘ইতিমধ্যে কুড়িগ্রাম থেকে উলিপুর পর্যন্ত রেলপথ সংস্কারে টেন্ডার হয়েছে এবং নির্বাচিত ঠিকাদারের সঙ্গে রেলের চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। হয়তো ১৫-২০ দিনের মধ্যে সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত