খান রফিক, বরিশাল
আধুনিক কসাইখানা নির্মাণে বরিশাল নগরে জায়গা পাচ্ছে না প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। প্রায় ৮ মাস আগে কসাইখানার জন্য ৫০ শতক জমি বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কাছে চাইলেও এখন পর্যন্ত সাড়া মেলেনি। এতে বরিশাল সিটিতে আধুনিক কসাইখানা স্থাপনের উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মতে, আধুনিক কসাইখানা হলে বরিশাল নগরের মাংসের দোকানে রোগাক্রান্ত পশু জবাই বন্ধ হতো।
জানতে চাইলে বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল আলম আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, নগরে ৫০ শতক জমির ওপর আধুনিক কসাইখানা নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। জমি দিতে হবে সিটি করপোরেশনকে। নির্মাণের পর সেটি বিসিসি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিসিসির নিজস্ব জনবলে কসাইখানাটি পরিচালিত হবে। তিনি জানান, জমি চেয়ে ৮ মাস আগে বিসিসি কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও সাড়া মিলছে না। যদিও একবার বিসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলামকে নিয়ে কাউনিয়া ময়লা খোলার প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শনও করা হয়। পরে আর তা এগোয়নি।
সর্বশেষ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায়ও জমি দেওয়ার জন্য বিসিসি কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দেওয়া হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে জমি দিতে ব্যর্থ হলে প্রকল্পটি অন্য কোনো সিটি করপোরেশনে স্থানান্তর হবে।
বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর অনেক আগে আমাদের কাছে ৫০ শতক জমি চেয়েছে। আমরাও জমি খুঁজছি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরবাসীই উপকৃত হতেন।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘লাইভ স্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে মোট ২০টি আধুনিক কসাইখানা নির্মিত হবে। কসাইখানা নির্মাণ শেষে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তাঁরা নিজস্ব জনবল দিয়ে কসাইখানা পরিচালনা করবেন।
কসাইখানা নির্মিত হলে সেই শহরের মাংস বিক্রেতাদের বাধ্যতামূলক পশু জবাই করতে হবে সেখানে। নিযুক্ত চিকিৎসক পশু জবাইয়ের আগে ও পরে দুই দফায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নিশ্চিত করবেন মাংস খাওয়ার যোগ্য কিনা। জবাই করা পশু কসাইখানাতেই পুরোপুরি প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করতে হবে।
বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল আলম বলেন, গরু মহিষের অনেক রোগ আছে যা জীবিত অবস্থায় শনাক্ত করা যায় না। এ জন্য জবাইয়ের পর আরেক দফা পাকস্থলী পরীক্ষা করে চিকিৎসক ওই মাংস বিক্রির সনদ দেবেন। তা ছাড়া কসাইখানায় প্রক্রিয়াজাত সম্পন্ন করায় ব্যবসায়ীরা পানিতে চুবিয়ে মাংসের ওজন বৃদ্ধি করার সুযোগ পাবেন না।
প্রকল্পটির উপপরিচালক ডা. হিরন্ময় বিশ্বাস বলেন, জমি চেয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে দফায় দফায় চিঠি দেওয়া
হলেও তাদের তরফ থেকে প্রতি-উত্তর মিলছে না। মনে হচ্ছে কসাইখানা নির্মাণে তাদের আগ্রহ নেই। অথচ প্রকল্পের মেয়াদ আছে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্পের আরেক উপপরিচালক প্রকৌশলী পার্থ সরকার সাংবাদিকদের জানান, সারা দেশে আধুনিক কসাইখানা নির্মিত হবে ১৭টি। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনভুক্ত শহর হচ্ছে বরিশালসহ আরও ৩টি। খুলনা ও রাজশাহীতে কসাইখানা নির্মাণকাজ শুরু হয়ে গেছে। অথচ বরিশাল সিটি করপোরেশন থেকে কোনো সাড়া মিলছে না।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল আলম বলেন, জমির অভাবে আধুনিক কসাইখানা নির্মাণ প্রকল্পটি যাতে চলে না যায় সে জন্য গত ১৭ এপ্রিল উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় তোলা হয়। তখন দ্রুত জমির ব্যবস্থা করার জন্য সভার সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে তাগিদ দেন। তারপর আর কোনো খবর নেই।
আধুনিক কসাইখানা নির্মাণে বরিশাল নগরে জায়গা পাচ্ছে না প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। প্রায় ৮ মাস আগে কসাইখানার জন্য ৫০ শতক জমি বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কাছে চাইলেও এখন পর্যন্ত সাড়া মেলেনি। এতে বরিশাল সিটিতে আধুনিক কসাইখানা স্থাপনের উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মতে, আধুনিক কসাইখানা হলে বরিশাল নগরের মাংসের দোকানে রোগাক্রান্ত পশু জবাই বন্ধ হতো।
জানতে চাইলে বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল আলম আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, নগরে ৫০ শতক জমির ওপর আধুনিক কসাইখানা নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। জমি দিতে হবে সিটি করপোরেশনকে। নির্মাণের পর সেটি বিসিসি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিসিসির নিজস্ব জনবলে কসাইখানাটি পরিচালিত হবে। তিনি জানান, জমি চেয়ে ৮ মাস আগে বিসিসি কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও সাড়া মিলছে না। যদিও একবার বিসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলামকে নিয়ে কাউনিয়া ময়লা খোলার প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শনও করা হয়। পরে আর তা এগোয়নি।
সর্বশেষ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায়ও জমি দেওয়ার জন্য বিসিসি কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দেওয়া হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে জমি দিতে ব্যর্থ হলে প্রকল্পটি অন্য কোনো সিটি করপোরেশনে স্থানান্তর হবে।
বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর অনেক আগে আমাদের কাছে ৫০ শতক জমি চেয়েছে। আমরাও জমি খুঁজছি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরবাসীই উপকৃত হতেন।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘লাইভ স্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে মোট ২০টি আধুনিক কসাইখানা নির্মিত হবে। কসাইখানা নির্মাণ শেষে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তাঁরা নিজস্ব জনবল দিয়ে কসাইখানা পরিচালনা করবেন।
কসাইখানা নির্মিত হলে সেই শহরের মাংস বিক্রেতাদের বাধ্যতামূলক পশু জবাই করতে হবে সেখানে। নিযুক্ত চিকিৎসক পশু জবাইয়ের আগে ও পরে দুই দফায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নিশ্চিত করবেন মাংস খাওয়ার যোগ্য কিনা। জবাই করা পশু কসাইখানাতেই পুরোপুরি প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করতে হবে।
বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল আলম বলেন, গরু মহিষের অনেক রোগ আছে যা জীবিত অবস্থায় শনাক্ত করা যায় না। এ জন্য জবাইয়ের পর আরেক দফা পাকস্থলী পরীক্ষা করে চিকিৎসক ওই মাংস বিক্রির সনদ দেবেন। তা ছাড়া কসাইখানায় প্রক্রিয়াজাত সম্পন্ন করায় ব্যবসায়ীরা পানিতে চুবিয়ে মাংসের ওজন বৃদ্ধি করার সুযোগ পাবেন না।
প্রকল্পটির উপপরিচালক ডা. হিরন্ময় বিশ্বাস বলেন, জমি চেয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে দফায় দফায় চিঠি দেওয়া
হলেও তাদের তরফ থেকে প্রতি-উত্তর মিলছে না। মনে হচ্ছে কসাইখানা নির্মাণে তাদের আগ্রহ নেই। অথচ প্রকল্পের মেয়াদ আছে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্পের আরেক উপপরিচালক প্রকৌশলী পার্থ সরকার সাংবাদিকদের জানান, সারা দেশে আধুনিক কসাইখানা নির্মিত হবে ১৭টি। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনভুক্ত শহর হচ্ছে বরিশালসহ আরও ৩টি। খুলনা ও রাজশাহীতে কসাইখানা নির্মাণকাজ শুরু হয়ে গেছে। অথচ বরিশাল সিটি করপোরেশন থেকে কোনো সাড়া মিলছে না।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল আলম বলেন, জমির অভাবে আধুনিক কসাইখানা নির্মাণ প্রকল্পটি যাতে চলে না যায় সে জন্য গত ১৭ এপ্রিল উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় তোলা হয়। তখন দ্রুত জমির ব্যবস্থা করার জন্য সভার সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে তাগিদ দেন। তারপর আর কোনো খবর নেই।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪