খান রফিক, বরিশাল
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) বর্তমান পরিষদের মেয়াদের আর বছর দেড় বাকি। এ সময় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান করতে ব্যস্ত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও কাউন্সিলররা। সরকারি বরাদ্দ না পেয়ে বড় প্রকল্প ছেড়ে এখন করপোরেশনের রাজস্ব দিয়ে রাস্তাঘাটসহ ছোট ছোট উন্নয়ন নিয়ে এগোচ্ছেন মেয়র। এ জন্য বছরের শুরুতে ঘটা করে রাস্তা উদ্বোধন করে নগরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন মেয়র। করপোরেশনের কোনো কোনো কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক নেতারা একে নির্বাচনী উন্নয়ন বলে দাবি করেছেন। তবে মেয়র তাঁর মেয়াদকালেই সব রাস্তার কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে বর্তমান পরিষদ দায়িত্ব নেয়। ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবরের আগের তিন মাসের মধ্যে এই সিটির নির্বাচন হতে পারে।
মেয়াদের শেষের দিকে এসে বেশ কয়েকটি সড়কের উদ্বোধন করেছেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। ২৫ জানুয়ারি সোনালি আইসক্রিম মোড়ের সড়ক উদ্বোধন, ২৪ জানুয়ারি বান্দ রোডের উদ্বোধন, ২৩ জানুয়ারি অ্যাপোলো সড়ক, ২০ জানুয়ারি সেবক কলোনি এবং ৭ জানুয়ারি চৌমাথায় মায়ের নামে পার্ক উদ্বোধন করেন মেয়র। যদিও পার্কটি মহাসড়ক দখল করে করায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
২৩ জানুয়ারি অ্যাপোলো সড়ক উদ্বোধনকালে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘নগরের প্রতিটি রাস্তাই আমার যে সময় আছে এর মধ্যে শেষ করতে সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করব। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে এসব রাস্তা হচ্ছে। যাওয়ার আগে প্রতিটি রাস্তা শেষ হবে।’ তিনি জানান, বড় স্থাপনা করলে দু-একজনের সমস্যা হতে পারে। পার্কটি হাঁটার রাস্তা। সড়ক ও জনপথের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে।
নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের সরকারি বাজেট নেই। নিজস্ব অর্থায়নে মূল সড়কের উন্নয়ন চলছে। এর মধ্যে এলাকার বেশ কিছু রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।’ তিনি দাবি করেন, গৃহকর বৃদ্ধির কথা বলা হলেও প্রকৃত অর্থে বাড়েনি।
তবে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির জানান, তাঁর এলাকার অ্যাপোলো সড়ক উদ্বোধন করেছেন মেয়র। স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে তাঁকে বলেননি। প্রথম তিন বছর কোনো উন্নয়ন হয়নি নগরে। এ বছর কিছু কাজ শুরু হয়েছে। তাঁর মতে, এই উন্নয়ন ‘আগামী নির্বাচনের উন্নয়ন’। মেয়র সাদিক সিটি করপোরেশন গৃহ করসহ সব খাতে অর্থ বাড়িয়েছেন। সরকারি অনুদান না পেয়ে জনগণের টাকায় রাস্তা করা হচ্ছে। নগরবাসীর ওপর এতে চাপ পড়ছে। তিনি বলেন, আগামী বছর নির্বাচনে নৌকার ভোট চাইতে গেলেও জনগণের জবাবদিহির মুখে পড়তে হবে।
এদিকে ২ জানুয়ারি সিটি কর বৃদ্ধিসহ ছয়টি অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ দলীয় সাতজন কাউন্সিলর আইনি নোটিশ দেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে। যদিও নোটিশের জবাবে মেয়র অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন।
গত নির্বাচনে জাপার মেয়র প্রার্থী ছিলেন ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, সিটি করপোরেশন দেনায়, নিজস্ব অর্থায়ন পেল কোথায়। এটা এক ধরনর স্ট্যান্টবাজি। নির্বাচন আসছে তাই করের বোঝা বাড়িয়ে উন্নয়ন দেখাচ্ছে জনগণকে। কিন্তু কয়েকটি রাস্তা করলেই নগরের উন্নয়ন হয় না।
গত নির্বাচনে জাসদের মেয়র প্রার্থী মনিষা চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে অর্থ পাওয়া জনগণের অধিকার। বরিশাল সিটি করপোরেশনের অদক্ষতায় এখানে এক টাকাও বরাদ্দ আসেনি। নতুন বছরে নগরে কিছু রাস্তার উদ্বোধন হয়েছে। মহাসড়ক দখল করে পার্ক হচ্ছে। মাস্টার প্ল্যানের বাইরে এভাবে পার্ক করা উদ্ভট চিন্তা। কর বাড়িয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ উন্নয়ন একধরনের আইওয়াশ।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল হোসেন লিটু বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে তাঁরা রাস্তা নির্মাণ করছেন। হোল্ডিং টেক্স, পানির বিল, হাটবাজার ইজারা দিয়ে যে অর্থ আসছে, তা দিয়ে টেকসই সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। তাঁরা বড় প্রকল্পে সরকারের বরাদ্দ পাননি। বিগত মেয়রেরা যে রাজস্ব লুটপাট করেছেন, তাঁরা সে টাকায় উন্নয়ন করছেন।
প্যানেল মেয়র আরও বলেন, নগরের মানুষ ট্যাক্স দিতে অভ্যস্ত নন। মেয়র সাদিক এ মেয়াদে নগরের রাস্তা নির্মাণ শেষ করে আগামী মেয়াদে ড্রেনের কাজ সম্পন্ন করবেন। গৃহকর বেড়েছে বলে তিনি মনে করেন না। তবে করের ক্ষেত্রে বিগত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিছু বৈষম্য করে গেছেন। গৃহকর বৃদ্ধিসহ সাত কাউন্সিলরের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, অভিযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু তার সত্যতা নেই। মেয়াদে শেষের আগেই বাকি কাজ শেষ করবেন মেয়র সাদিক।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) বর্তমান পরিষদের মেয়াদের আর বছর দেড় বাকি। এ সময় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান করতে ব্যস্ত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও কাউন্সিলররা। সরকারি বরাদ্দ না পেয়ে বড় প্রকল্প ছেড়ে এখন করপোরেশনের রাজস্ব দিয়ে রাস্তাঘাটসহ ছোট ছোট উন্নয়ন নিয়ে এগোচ্ছেন মেয়র। এ জন্য বছরের শুরুতে ঘটা করে রাস্তা উদ্বোধন করে নগরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন মেয়র। করপোরেশনের কোনো কোনো কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক নেতারা একে নির্বাচনী উন্নয়ন বলে দাবি করেছেন। তবে মেয়র তাঁর মেয়াদকালেই সব রাস্তার কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে বর্তমান পরিষদ দায়িত্ব নেয়। ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবরের আগের তিন মাসের মধ্যে এই সিটির নির্বাচন হতে পারে।
মেয়াদের শেষের দিকে এসে বেশ কয়েকটি সড়কের উদ্বোধন করেছেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। ২৫ জানুয়ারি সোনালি আইসক্রিম মোড়ের সড়ক উদ্বোধন, ২৪ জানুয়ারি বান্দ রোডের উদ্বোধন, ২৩ জানুয়ারি অ্যাপোলো সড়ক, ২০ জানুয়ারি সেবক কলোনি এবং ৭ জানুয়ারি চৌমাথায় মায়ের নামে পার্ক উদ্বোধন করেন মেয়র। যদিও পার্কটি মহাসড়ক দখল করে করায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
২৩ জানুয়ারি অ্যাপোলো সড়ক উদ্বোধনকালে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘নগরের প্রতিটি রাস্তাই আমার যে সময় আছে এর মধ্যে শেষ করতে সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করব। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে এসব রাস্তা হচ্ছে। যাওয়ার আগে প্রতিটি রাস্তা শেষ হবে।’ তিনি জানান, বড় স্থাপনা করলে দু-একজনের সমস্যা হতে পারে। পার্কটি হাঁটার রাস্তা। সড়ক ও জনপথের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে।
নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের সরকারি বাজেট নেই। নিজস্ব অর্থায়নে মূল সড়কের উন্নয়ন চলছে। এর মধ্যে এলাকার বেশ কিছু রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।’ তিনি দাবি করেন, গৃহকর বৃদ্ধির কথা বলা হলেও প্রকৃত অর্থে বাড়েনি।
তবে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির জানান, তাঁর এলাকার অ্যাপোলো সড়ক উদ্বোধন করেছেন মেয়র। স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে তাঁকে বলেননি। প্রথম তিন বছর কোনো উন্নয়ন হয়নি নগরে। এ বছর কিছু কাজ শুরু হয়েছে। তাঁর মতে, এই উন্নয়ন ‘আগামী নির্বাচনের উন্নয়ন’। মেয়র সাদিক সিটি করপোরেশন গৃহ করসহ সব খাতে অর্থ বাড়িয়েছেন। সরকারি অনুদান না পেয়ে জনগণের টাকায় রাস্তা করা হচ্ছে। নগরবাসীর ওপর এতে চাপ পড়ছে। তিনি বলেন, আগামী বছর নির্বাচনে নৌকার ভোট চাইতে গেলেও জনগণের জবাবদিহির মুখে পড়তে হবে।
এদিকে ২ জানুয়ারি সিটি কর বৃদ্ধিসহ ছয়টি অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ দলীয় সাতজন কাউন্সিলর আইনি নোটিশ দেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে। যদিও নোটিশের জবাবে মেয়র অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন।
গত নির্বাচনে জাপার মেয়র প্রার্থী ছিলেন ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, সিটি করপোরেশন দেনায়, নিজস্ব অর্থায়ন পেল কোথায়। এটা এক ধরনর স্ট্যান্টবাজি। নির্বাচন আসছে তাই করের বোঝা বাড়িয়ে উন্নয়ন দেখাচ্ছে জনগণকে। কিন্তু কয়েকটি রাস্তা করলেই নগরের উন্নয়ন হয় না।
গত নির্বাচনে জাসদের মেয়র প্রার্থী মনিষা চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে অর্থ পাওয়া জনগণের অধিকার। বরিশাল সিটি করপোরেশনের অদক্ষতায় এখানে এক টাকাও বরাদ্দ আসেনি। নতুন বছরে নগরে কিছু রাস্তার উদ্বোধন হয়েছে। মহাসড়ক দখল করে পার্ক হচ্ছে। মাস্টার প্ল্যানের বাইরে এভাবে পার্ক করা উদ্ভট চিন্তা। কর বাড়িয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ উন্নয়ন একধরনের আইওয়াশ।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল হোসেন লিটু বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে তাঁরা রাস্তা নির্মাণ করছেন। হোল্ডিং টেক্স, পানির বিল, হাটবাজার ইজারা দিয়ে যে অর্থ আসছে, তা দিয়ে টেকসই সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। তাঁরা বড় প্রকল্পে সরকারের বরাদ্দ পাননি। বিগত মেয়রেরা যে রাজস্ব লুটপাট করেছেন, তাঁরা সে টাকায় উন্নয়ন করছেন।
প্যানেল মেয়র আরও বলেন, নগরের মানুষ ট্যাক্স দিতে অভ্যস্ত নন। মেয়র সাদিক এ মেয়াদে নগরের রাস্তা নির্মাণ শেষ করে আগামী মেয়াদে ড্রেনের কাজ সম্পন্ন করবেন। গৃহকর বেড়েছে বলে তিনি মনে করেন না। তবে করের ক্ষেত্রে বিগত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিছু বৈষম্য করে গেছেন। গৃহকর বৃদ্ধিসহ সাত কাউন্সিলরের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, অভিযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু তার সত্যতা নেই। মেয়াদে শেষের আগেই বাকি কাজ শেষ করবেন মেয়র সাদিক।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪