শাহীন রহমান, পাবনা
পাবনায় আগাম জাতের ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজ উৎপাদনে বাম্পার ফলনেও হাসি নেই চাষিদের মুখে। তাঁদের অভিযোগ, বাজার ভারসাম্যহীনতায় মিলছে না ন্যায্যমূল্য। লোকসান ঠেকাতে আমদানি বন্ধ এবং কৃষক পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট বাজারমূল্য নির্ধারণের দাবি পেঁয়াজচাষিদের। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, মুড়িকাটা পেঁয়াজ বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না। আর বাজারে একসঙ্গে সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কম পাচ্ছেন চাষিরা।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৯ হাজার ৩০৫ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিকটন। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় পাবনায় মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলন পেয়েছেন চাষিরা। বিঘাপ্রতি গড়ে ৫০ থেকে ৫৫ মণ ফলনে ছাড়িয়েছে কৃষি বিভাগের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও। প্রথম দিকে চাষিরা প্রতি মণ পেঁয়াজে ১ হাজার ৩০০ টাকা পেলেও হাট-বাজারে সরবরাহ বাড়ায় হঠাৎই কমে গেছে দাম। এ কারণে ভালো ফলনেও চাষিরা পড়েছেন লোকসানের দুশ্চিন্তায়।
গত বুধবার সরেজমিন পেঁয়াজ উৎপাদনে খ্যাত পাবনার সুজানগর উপজেলার চলনা, চরপাড়া, খলিলপুর, চরখলিলপুরসহ কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশাঢাকা শীতের ভোরে মাঠ থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। আগাম জাতের এই পেঁয়াজ আবাদে কিছুটা সচ্ছলতার মুখ দেখছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে বাজারে পেঁয়াজ বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছেন পাবনার চাষিরা।
আলাপকালে চরপাড়া গ্রামের পেঁয়াজচাষি আব্দুল কাদের বলেন, বিঘাপ্রতি যে পরিমাণ খরচ, তাতে ১ হাজার টাকা মণ পেঁয়াজ বিক্রি করে লাভ হচ্ছে না। বীজ, সার, শ্রমিক, কীটনাশকের যে দাম, তাতে বর্তমান বাজারমূল্যে লোকসানই হচ্ছে। চলনা গ্রামের কৃষক আবু বক্কার বলেন, এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ রোপণ করতে সব মিলিয়ে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন সেই এক বিঘা জমির পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকায়। উৎপাদন খরচই তো উঠছে না। এ রকম হলে ভবিষ্যতে পেঁয়াজের আবাদ বাদ দিতে হবে।
সুজানগর পৌর সদরের পেঁয়াজের হাটে গিয়ে দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম হাট। কৃষকদের পাশাপাশি কথা হয় কয়েকজন পাইকারের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, সকালে ১ হাজার টাকা মণ দরে পেঁয়াজ কেনার পর ঢাকার ব্যাপারীরা সেই পেঁয়াজের দাম বলছেন ৯০০ টাকা। হাটে পেঁয়াজ আসছে বেশি। এভাবে অনেকটা লোকসান দিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।
সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না। এটা অল্পদিন বাজারে থাকে। আর বাজারে একসঙ্গে সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কম পাচ্ছেন চাষিরা। অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণ ও সরকারিভাবে সংগ্রহ করা হলেও পেঁয়াজে সেই ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরবেন।
পাবনায় আগাম জাতের ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজ উৎপাদনে বাম্পার ফলনেও হাসি নেই চাষিদের মুখে। তাঁদের অভিযোগ, বাজার ভারসাম্যহীনতায় মিলছে না ন্যায্যমূল্য। লোকসান ঠেকাতে আমদানি বন্ধ এবং কৃষক পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট বাজারমূল্য নির্ধারণের দাবি পেঁয়াজচাষিদের। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, মুড়িকাটা পেঁয়াজ বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না। আর বাজারে একসঙ্গে সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কম পাচ্ছেন চাষিরা।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৯ হাজার ৩০৫ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিকটন। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় পাবনায় মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলন পেয়েছেন চাষিরা। বিঘাপ্রতি গড়ে ৫০ থেকে ৫৫ মণ ফলনে ছাড়িয়েছে কৃষি বিভাগের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও। প্রথম দিকে চাষিরা প্রতি মণ পেঁয়াজে ১ হাজার ৩০০ টাকা পেলেও হাট-বাজারে সরবরাহ বাড়ায় হঠাৎই কমে গেছে দাম। এ কারণে ভালো ফলনেও চাষিরা পড়েছেন লোকসানের দুশ্চিন্তায়।
গত বুধবার সরেজমিন পেঁয়াজ উৎপাদনে খ্যাত পাবনার সুজানগর উপজেলার চলনা, চরপাড়া, খলিলপুর, চরখলিলপুরসহ কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশাঢাকা শীতের ভোরে মাঠ থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। আগাম জাতের এই পেঁয়াজ আবাদে কিছুটা সচ্ছলতার মুখ দেখছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে বাজারে পেঁয়াজ বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছেন পাবনার চাষিরা।
আলাপকালে চরপাড়া গ্রামের পেঁয়াজচাষি আব্দুল কাদের বলেন, বিঘাপ্রতি যে পরিমাণ খরচ, তাতে ১ হাজার টাকা মণ পেঁয়াজ বিক্রি করে লাভ হচ্ছে না। বীজ, সার, শ্রমিক, কীটনাশকের যে দাম, তাতে বর্তমান বাজারমূল্যে লোকসানই হচ্ছে। চলনা গ্রামের কৃষক আবু বক্কার বলেন, এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ রোপণ করতে সব মিলিয়ে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন সেই এক বিঘা জমির পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকায়। উৎপাদন খরচই তো উঠছে না। এ রকম হলে ভবিষ্যতে পেঁয়াজের আবাদ বাদ দিতে হবে।
সুজানগর পৌর সদরের পেঁয়াজের হাটে গিয়ে দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম হাট। কৃষকদের পাশাপাশি কথা হয় কয়েকজন পাইকারের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, সকালে ১ হাজার টাকা মণ দরে পেঁয়াজ কেনার পর ঢাকার ব্যাপারীরা সেই পেঁয়াজের দাম বলছেন ৯০০ টাকা। হাটে পেঁয়াজ আসছে বেশি। এভাবে অনেকটা লোকসান দিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।
সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না। এটা অল্পদিন বাজারে থাকে। আর বাজারে একসঙ্গে সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কম পাচ্ছেন চাষিরা। অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণ ও সরকারিভাবে সংগ্রহ করা হলেও পেঁয়াজে সেই ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরবেন।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫