Ajker Patrika

দাঁড়িয়ে পানাহার করা অনুচিত

আবদুল আযীয কাসেমি
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৩, ১৭: ০২
দাঁড়িয়ে পানাহার করা অনুচিত

পানাহারে ইসলামের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ শিষ্টাচার। সাধারণভাবে খাওয়াদাওয়া বসে করাই মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তবে প্রয়োজনের সময় কখনো কখনো দাঁড়িয়েও পানাহার করার অনুমতি আছে। এই বিষয়ে মহানবী (সা.)-এর হাদিস থেকে দুই ধরনের বর্ণনার কথা আমরা জানতে পারি। কিছু হাদিসে নবী (সা.) স্পষ্ট ভাষায় দাঁড়িয়ে পানাহার করতে নিষেধ করেছেন। আবার কিছু হাদিস থেকে বোঝা যায়, তিনি কখনো কখনো দাঁড়িয়েও পানাহার করেছেন। কিছু কিছু সাহাবির আমল থেকেও দাঁড়িয়ে পানাহার করার প্রমাণ পাওয়া যায়।

এক হাদিসে বলা হয়েছে, নবী (সা.) দাঁড়িয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। আরেক বর্ণনা অনুযায়ী, নবী (সা.) এক লোককে দাঁড়িয়ে পান করতে দেখে ধমক দিয়েছেন। (মুসলিম: ২০২৪)

অন্য দিকে আরেক হাদিসে হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, ‘আমি নবী (সা.)-এর কাছে জমজমের পানি নিয়ে এলে তিনি সেটা দাঁড়িয়ে পান করেছেন।’ (বুখারি: ১৬৩৭)

উভয় ধরনের বর্ণনা সামনে রেখে আলিমগণ বলেছেন, যেসব হাদিসে নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে, এর মর্ম হলো এটি মাকরুহে তানজিহি হবে। যেসব হাদিস থেকে এর বিপরীতটা বোঝা যায়, সেটা থেকে উদ্দেশ্য হলো এটার বৈধতা দেওয়া। অর্থাৎ প্রয়োজন ছাড়া দাঁড়িয়ে পান না করা। একান্ত প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে পান করা যেতে পারে। খাওয়ার বিষয়টিকে আলিমগণ পান করার মতোই বলেছেন। অর্থাৎ খাওয়ার ব্যাপারেও উপর্যুক্ত ব্যাখ্যা প্রযোজ্য হবে।

তবে দাঁড়িয়ে পানাহার করলে তা হারাম হবে না—এ বিষয়ে সবাই একমত। সর্বোচ্চ মাকরুহ হবে। তবে দাঁড়িয়ে পানাহার করা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি তা শিষ্টাচারবিরোধীও। তাই পারতপক্ষে দাঁড়িয়ে পানাহার করা অনুচিত। 

লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তৃতীয়বার বিধ্বস্ত হলো বিমানবাহিনীর এফ-৭, এই চীনা যুদ্ধবিমানের বৈশিষ্ট্য কী

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: পাইলটসহ নিহত ২১, আহত দেড় শতাধিক, মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক

৯ লাখ টন চাল কিনবে বাংলাদেশ, আশায় বুক বাঁধছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

পাইলটের মা-বাবাকে বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে নেওয়া হলো ঢাকায়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত