স্বপ্না রেজা

ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা মুসলমানদের দুটি বড় উৎসব। বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে মুসলমানদের অবস্থান। ফলে এ দুটি ধর্মীয় উৎসব ঘিরে গোটা দেশই যেন ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে, উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা এ দুটি উৎসবকে কেন্দ্র করে সারা বছরের মুনাফা বা লাভ ঘরে তুলতে নানান পরিকল্পনা ও কৌশল অবলম্বন করে থাকেন এবং পরিকল্পনামাফিক কাজও করেন। আবার বাড়তি আয় নীতিবহির্ভূত কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে করে বসেন কেউ কেউ এবং সেটা ঈদকে কেন্দ্র করেই। ঈদ যেমন আনন্দের, তেমনি কষ্টেরও। একশ্রেণির মানুষের কারণে ঈদ কারও কারও জীবনে সীমাহীন দুঃখ বয়ে আনে, যে দুঃখ লাঘবের কোনো উপায় থাকে না।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা। এতে প্রতিদিন প্রাণহানি ঘটছে। কোনোভাবেই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। বহু আয়োজন, বরাদ্দ, আনুষ্ঠানিকতার পরও সংশ্লিষ্টরা তা রোধ করতে পারছেন না। ঈদের সময় সড়ক দুর্ঘটনা যেন লাগামছাড়া হয়। ঈদ মানেই যাত্রী ও তার স্বজনদের কাছে একটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব না হয়।
যখন লেখাটা লিখছি, তখন একটা সংবাদনির্ভর টিভি চ্যানেলের সংবাদে বলা হলো, এই ঈদে ৯২টা সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৫ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং আহত হয়েছে শতাধিক। প্রতি ঈদে এমন সংবাদ শুনতে হয়, শোনাটা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং প্রতি ঈদেই কোনো না কোনো পরিবারে স্বজন হারানোর আহাজারি চলে, চলে মাতম। মা, বাবা, স্বজন, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপনের স্বপ্ন নিয়ে, ঈদকে আরও আনন্দময় করে তোলার জন্য যারা যাত্রা শুরু করেও শেষ অবধি পৌঁছাতে পারে না, বেপরোয়া সড়ক দুর্ঘটনায় পথে পড়ে থাকে রক্তাক্ত লাশ হয়ে, তাদের জন্য কার কী ভাবনা, জানা নেই।
স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের কথা শোনা যায়। ২০-২৫ হাজার টাকা দিয়ে এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর সঙ্গে সমঝোতা বা সমবেদনা কতটুকু যায়, তা সম্ভবত গভীর দৃষ্টিতে দেখা হয় না। এমন দুর্ঘটনায় যিনি প্রিয়জন বা স্বজন হারান, তাঁর কাছে ২০-২৫ হাজার টাকা স্বজন হারানোর কষ্টের চেয়েও মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। অনেকে এটাকে অসম্মানজনকও মনে করেন। কারণ হিসেবে তাঁরা মনে করেন, জীবনের মূল্য এভাবে পরিশোধ করা যায় না, করাটা ঠিক নয়। বরং সড়ক দুর্ঘটনা রোধের ওপর জোর দেওয়া উচিত সংশ্লিষ্টদের। যা হোক, সড়ক দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, সেটাই সবার প্রত্যাশা। কেউই চান না তাঁর প্রিয়জন এভাবে প্রাণ হারাক। এমন দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে যে তদন্ত হয়, তা-ও গতানুগতিক ও দায়সারা। তাই দুর্ঘটনা রোধে কঠোর কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায় না। ফলে প্রতি ঈদে একই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।
লেখার শুরুতে উল্লেখ করেছিলাম, ব্যবসায়ীরা ঈদকে কেন্দ্র করে বেশ বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। পরিবহন ব্যবসায়ীরা তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। যেহেতু ঈদে বাড়ি যাওয়ার প্রবণতা সাধারণ মানুষের মধ্য বেশি থাকে, ফলে এই প্রবণতাকে ব্যবসায়ীরা হাতছাড়া করেন না। বেশি রুটে, কয়েক দফায় তারা যাত্রী সংগ্রহ করে অল্প টাকা বেতন দিয়ে অদক্ষ পরিবহনচালক দ্বারা গাড়ি চালানোর কাজটি সারেন, যে চালক হয়তো জানেনই না গাড়ি চালনার বিধিসমূহ। যাঁরা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে, তথা নিরাপদ সড়কের জন্য দায়িত্বশীল, তাঁরা কখনো দেখেছেন কি না যে ঈদের সময় পরিবহন মালিকেরা কাকে দিয়ে তাঁর গাড়িটি চালিয়ে নিচ্ছেন, তার যোগ্যতা ও দক্ষতাইবা কী? এখানে সংশ্লিষ্টদের কঠোর মনিটরিং দরকার।
আমরা তো বহুবার শুনেছি, গাড়ির ফিটনেস ও পরিবহনচালকের প্রকৃত লাইসেন্স থাকা এবং সড়কে চলাচলের বিধি অনুসরণই হলো সড়ক দুর্ঘটনা রোধের উপায়। তাহলে কেন এই বিষয়গুলোকে নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না, প্রশ্ন কিন্তু এসে যায়। যুগ যুগ ধরে সংশ্লিষ্টরা তবে কি ব্যর্থ? নাকি প্রতিবছর ঈদে এমন মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কাউকে না কাউকে অপেক্ষা করতে বলছে কর্তৃপক্ষ? আনন্দটা দুঃখে পরিণত হতে দিতে কে চায়? কেউই না, দুঃখটা যদি হয় স্বজন হারানোর।
টিভি চ্যানেলের আরেকটি সংবাদ দৃষ্টি কেড়ে নিল। কিশোর গ্যাংয়ের চারজন সদস্য তাদের আরেকজন সদস্যকে গলা কেটে হত্যা করেছে। ঘটনাটি স্বপ্নধারা মডেল টাউনে সংঘটিত হয়েছে। শাওন নামের একজন সিএনজি অটোচালককে তার অপর চারজন বন্ধু হত্যা করে। নৃশংসভাবে দেহ থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন করা হয়। এমন হত্যার পেছনের কারণ হলো, ঈদ আনন্দের জন্য শাওনের অটোরিকশা ছিনতাই করা। একই গ্যাংয়ের সদস্য, উপরন্তু বন্ধু, কোনো কিছুই হত্যা থেকে বিরত রাখেনি তাদের। বলা যায়, অপরাধমূলক কাজে এরা সংঘবদ্ধভাবে জড়িত হলেও প্রকৃতার্থে প্রত্যেকেই কঠিনভাবে স্বতন্ত্র অপরাধী হয়ে ওঠে। মানসিক ও সামাজিকভাবে এরা সুস্থ পথে হাঁটে না। এদের গডফাদার থাকে, যাদের প্ররোচনায়, নির্দেশনায় এরা জীবন যাপন করে।
কিশোর গ্যাং নতুন কোনো সংকট নয়। বহুদিন ধরে এদের অবস্থান প্রায় প্রতিটি এলাকায়, মহল্লায়। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে এই গ্যাং সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য থাকলেও গ্যাংয়ের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হচ্ছে না। বরং দিনে দিনে আরও গ্যাং সৃষ্টি হচ্ছে। এরা এতটাই বেপরোয়া ও দুর্ধর্ষ যে, হত্যাকাণ্ড ঘটাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হয় না। সমাজের কিশোর ও তরুণ শ্রেণি যে এভাবে অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে, বিপথগামী হয়ে উঠছে, তার প্রতিকারের জন্য কী করা হচ্ছে? দু-একজনকে আটক করতে দেখা যায়। হয়তো বিচার প্রক্রিয়ায় নেওয়াও হয়। কিন্তু গ্যাংয়ের সদস্য কমে না, দিনে দিনে বাড়ে। এই বাড়ার প্রবণতা ও কারণ নিয়ে জুতসই ও যথার্থ বিশ্লেষণ, বিবেচনা, গুরুত্ব আরোপ জরুরি।
ঈদকে কেন্দ্র করে বিপথগামী তরুণেরা চাঁদাবাজি শুরু করে দেয়। আর এই চাঁদার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে মারামারি, খুনোখুনি হয়। সেই সঙ্গে চলে আধিপত্য নিয়ে লড়াই। যত দূর জানা যায়, পুলিশ প্রশাসনের কাছে স্থানীয়ভাবে সব ধরনের তথ্য থাকে। তারা জানে যে এলাকার কোন ছেলেটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কারও কারও অভিমত, এলাকায় কোনো নৃশংস ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত পুলিশ তৎপর হয় না। আবার কারও মতে, স্থানীয় রাজনীতি ও পুলিশ প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় কিশোর গ্যাং নানান অপরাধ সংঘটিত করে। নতুবা কেন এই কিশোর গ্যাংকে নির্মূল করা সম্ভব হবে না? টাকার লেনদেন চলে বলে তাঁরা ধারণা করে থাকেন। আর ঈদ সন্নিকট হলে তো কথাই নেই। টাকার চাহিদা তীব্রতর হয়ে ওঠে।
উল্লিখিত কারণে ঈদ আনন্দের না হয়ে নিরানন্দ হয়ে আসে কারও কারও জীবনে। প্রায় প্রতিবছরে একই চিত্র, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। দুঃখজনক ঘটনার অবসান হচ্ছে না। অথচ প্রতিটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনা প্রতিকারের জন্য থাকেন দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ। তাঁদের দায়িত্বের জবাবদিহি নেওয়া ও কাজ মনিটরিং করা হলে ঈদ সবার জীবনে আনন্দময় হয়ে উঠবে নিশ্চিত।
লেখক: স্বপ্না রেজা, কথাসাহিত্যিক ও কলাম লেখক

ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা মুসলমানদের দুটি বড় উৎসব। বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে মুসলমানদের অবস্থান। ফলে এ দুটি ধর্মীয় উৎসব ঘিরে গোটা দেশই যেন ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে, উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা এ দুটি উৎসবকে কেন্দ্র করে সারা বছরের মুনাফা বা লাভ ঘরে তুলতে নানান পরিকল্পনা ও কৌশল অবলম্বন করে থাকেন এবং পরিকল্পনামাফিক কাজও করেন। আবার বাড়তি আয় নীতিবহির্ভূত কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে করে বসেন কেউ কেউ এবং সেটা ঈদকে কেন্দ্র করেই। ঈদ যেমন আনন্দের, তেমনি কষ্টেরও। একশ্রেণির মানুষের কারণে ঈদ কারও কারও জীবনে সীমাহীন দুঃখ বয়ে আনে, যে দুঃখ লাঘবের কোনো উপায় থাকে না।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা। এতে প্রতিদিন প্রাণহানি ঘটছে। কোনোভাবেই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। বহু আয়োজন, বরাদ্দ, আনুষ্ঠানিকতার পরও সংশ্লিষ্টরা তা রোধ করতে পারছেন না। ঈদের সময় সড়ক দুর্ঘটনা যেন লাগামছাড়া হয়। ঈদ মানেই যাত্রী ও তার স্বজনদের কাছে একটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব না হয়।
যখন লেখাটা লিখছি, তখন একটা সংবাদনির্ভর টিভি চ্যানেলের সংবাদে বলা হলো, এই ঈদে ৯২টা সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৫ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং আহত হয়েছে শতাধিক। প্রতি ঈদে এমন সংবাদ শুনতে হয়, শোনাটা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং প্রতি ঈদেই কোনো না কোনো পরিবারে স্বজন হারানোর আহাজারি চলে, চলে মাতম। মা, বাবা, স্বজন, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপনের স্বপ্ন নিয়ে, ঈদকে আরও আনন্দময় করে তোলার জন্য যারা যাত্রা শুরু করেও শেষ অবধি পৌঁছাতে পারে না, বেপরোয়া সড়ক দুর্ঘটনায় পথে পড়ে থাকে রক্তাক্ত লাশ হয়ে, তাদের জন্য কার কী ভাবনা, জানা নেই।
স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের কথা শোনা যায়। ২০-২৫ হাজার টাকা দিয়ে এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর সঙ্গে সমঝোতা বা সমবেদনা কতটুকু যায়, তা সম্ভবত গভীর দৃষ্টিতে দেখা হয় না। এমন দুর্ঘটনায় যিনি প্রিয়জন বা স্বজন হারান, তাঁর কাছে ২০-২৫ হাজার টাকা স্বজন হারানোর কষ্টের চেয়েও মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। অনেকে এটাকে অসম্মানজনকও মনে করেন। কারণ হিসেবে তাঁরা মনে করেন, জীবনের মূল্য এভাবে পরিশোধ করা যায় না, করাটা ঠিক নয়। বরং সড়ক দুর্ঘটনা রোধের ওপর জোর দেওয়া উচিত সংশ্লিষ্টদের। যা হোক, সড়ক দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, সেটাই সবার প্রত্যাশা। কেউই চান না তাঁর প্রিয়জন এভাবে প্রাণ হারাক। এমন দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে যে তদন্ত হয়, তা-ও গতানুগতিক ও দায়সারা। তাই দুর্ঘটনা রোধে কঠোর কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায় না। ফলে প্রতি ঈদে একই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।
লেখার শুরুতে উল্লেখ করেছিলাম, ব্যবসায়ীরা ঈদকে কেন্দ্র করে বেশ বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। পরিবহন ব্যবসায়ীরা তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। যেহেতু ঈদে বাড়ি যাওয়ার প্রবণতা সাধারণ মানুষের মধ্য বেশি থাকে, ফলে এই প্রবণতাকে ব্যবসায়ীরা হাতছাড়া করেন না। বেশি রুটে, কয়েক দফায় তারা যাত্রী সংগ্রহ করে অল্প টাকা বেতন দিয়ে অদক্ষ পরিবহনচালক দ্বারা গাড়ি চালানোর কাজটি সারেন, যে চালক হয়তো জানেনই না গাড়ি চালনার বিধিসমূহ। যাঁরা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে, তথা নিরাপদ সড়কের জন্য দায়িত্বশীল, তাঁরা কখনো দেখেছেন কি না যে ঈদের সময় পরিবহন মালিকেরা কাকে দিয়ে তাঁর গাড়িটি চালিয়ে নিচ্ছেন, তার যোগ্যতা ও দক্ষতাইবা কী? এখানে সংশ্লিষ্টদের কঠোর মনিটরিং দরকার।
আমরা তো বহুবার শুনেছি, গাড়ির ফিটনেস ও পরিবহনচালকের প্রকৃত লাইসেন্স থাকা এবং সড়কে চলাচলের বিধি অনুসরণই হলো সড়ক দুর্ঘটনা রোধের উপায়। তাহলে কেন এই বিষয়গুলোকে নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না, প্রশ্ন কিন্তু এসে যায়। যুগ যুগ ধরে সংশ্লিষ্টরা তবে কি ব্যর্থ? নাকি প্রতিবছর ঈদে এমন মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কাউকে না কাউকে অপেক্ষা করতে বলছে কর্তৃপক্ষ? আনন্দটা দুঃখে পরিণত হতে দিতে কে চায়? কেউই না, দুঃখটা যদি হয় স্বজন হারানোর।
টিভি চ্যানেলের আরেকটি সংবাদ দৃষ্টি কেড়ে নিল। কিশোর গ্যাংয়ের চারজন সদস্য তাদের আরেকজন সদস্যকে গলা কেটে হত্যা করেছে। ঘটনাটি স্বপ্নধারা মডেল টাউনে সংঘটিত হয়েছে। শাওন নামের একজন সিএনজি অটোচালককে তার অপর চারজন বন্ধু হত্যা করে। নৃশংসভাবে দেহ থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন করা হয়। এমন হত্যার পেছনের কারণ হলো, ঈদ আনন্দের জন্য শাওনের অটোরিকশা ছিনতাই করা। একই গ্যাংয়ের সদস্য, উপরন্তু বন্ধু, কোনো কিছুই হত্যা থেকে বিরত রাখেনি তাদের। বলা যায়, অপরাধমূলক কাজে এরা সংঘবদ্ধভাবে জড়িত হলেও প্রকৃতার্থে প্রত্যেকেই কঠিনভাবে স্বতন্ত্র অপরাধী হয়ে ওঠে। মানসিক ও সামাজিকভাবে এরা সুস্থ পথে হাঁটে না। এদের গডফাদার থাকে, যাদের প্ররোচনায়, নির্দেশনায় এরা জীবন যাপন করে।
কিশোর গ্যাং নতুন কোনো সংকট নয়। বহুদিন ধরে এদের অবস্থান প্রায় প্রতিটি এলাকায়, মহল্লায়। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে এই গ্যাং সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য থাকলেও গ্যাংয়ের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হচ্ছে না। বরং দিনে দিনে আরও গ্যাং সৃষ্টি হচ্ছে। এরা এতটাই বেপরোয়া ও দুর্ধর্ষ যে, হত্যাকাণ্ড ঘটাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হয় না। সমাজের কিশোর ও তরুণ শ্রেণি যে এভাবে অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে, বিপথগামী হয়ে উঠছে, তার প্রতিকারের জন্য কী করা হচ্ছে? দু-একজনকে আটক করতে দেখা যায়। হয়তো বিচার প্রক্রিয়ায় নেওয়াও হয়। কিন্তু গ্যাংয়ের সদস্য কমে না, দিনে দিনে বাড়ে। এই বাড়ার প্রবণতা ও কারণ নিয়ে জুতসই ও যথার্থ বিশ্লেষণ, বিবেচনা, গুরুত্ব আরোপ জরুরি।
ঈদকে কেন্দ্র করে বিপথগামী তরুণেরা চাঁদাবাজি শুরু করে দেয়। আর এই চাঁদার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে মারামারি, খুনোখুনি হয়। সেই সঙ্গে চলে আধিপত্য নিয়ে লড়াই। যত দূর জানা যায়, পুলিশ প্রশাসনের কাছে স্থানীয়ভাবে সব ধরনের তথ্য থাকে। তারা জানে যে এলাকার কোন ছেলেটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কারও কারও অভিমত, এলাকায় কোনো নৃশংস ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত পুলিশ তৎপর হয় না। আবার কারও মতে, স্থানীয় রাজনীতি ও পুলিশ প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় কিশোর গ্যাং নানান অপরাধ সংঘটিত করে। নতুবা কেন এই কিশোর গ্যাংকে নির্মূল করা সম্ভব হবে না? টাকার লেনদেন চলে বলে তাঁরা ধারণা করে থাকেন। আর ঈদ সন্নিকট হলে তো কথাই নেই। টাকার চাহিদা তীব্রতর হয়ে ওঠে।
উল্লিখিত কারণে ঈদ আনন্দের না হয়ে নিরানন্দ হয়ে আসে কারও কারও জীবনে। প্রায় প্রতিবছরে একই চিত্র, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। দুঃখজনক ঘটনার অবসান হচ্ছে না। অথচ প্রতিটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনা প্রতিকারের জন্য থাকেন দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ। তাঁদের দায়িত্বের জবাবদিহি নেওয়া ও কাজ মনিটরিং করা হলে ঈদ সবার জীবনে আনন্দময় হয়ে উঠবে নিশ্চিত।
লেখক: স্বপ্না রেজা, কথাসাহিত্যিক ও কলাম লেখক

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২০ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা মুসলমানদের দুটি বড় উৎসব। বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে মুসলমানদের অবস্থান। ফলে এ দুটি ধর্মীয় উৎসব ঘিরে গোটা দেশই যেন ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে, উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা এ দুটি উৎসবকে কেন্দ্র করে সারা
২১ জুন ২০২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা মুসলমানদের দুটি বড় উৎসব। বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে মুসলমানদের অবস্থান। ফলে এ দুটি ধর্মীয় উৎসব ঘিরে গোটা দেশই যেন ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে, উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা এ দুটি উৎসবকে কেন্দ্র করে সারা
২১ জুন ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২০ দিন আগে
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা মুসলমানদের দুটি বড় উৎসব। বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে মুসলমানদের অবস্থান। ফলে এ দুটি ধর্মীয় উৎসব ঘিরে গোটা দেশই যেন ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে, উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা এ দুটি উৎসবকে কেন্দ্র করে সারা
২১ জুন ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২০ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা মুসলমানদের দুটি বড় উৎসব। বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে মুসলমানদের অবস্থান। ফলে এ দুটি ধর্মীয় উৎসব ঘিরে গোটা দেশই যেন ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে, উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা এ দুটি উৎসবকে কেন্দ্র করে সারা
২১ জুন ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২০ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫