Ajker Patrika

অনলাইনে খাবার বিক্রি স্বাবলম্বী নারী উদ্যোক্তারা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ১২
অনলাইনে খাবার বিক্রি  স্বাবলম্বী নারী উদ্যোক্তারা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘরে তৈরি খাবার অনলাইনে বিক্রি করে অনেক নারী উদ্যোক্তা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বাংলা, চায়নিজসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার ঘরে তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করছেন তাঁরা। বর্তমানে অর্ধশতাধিক নারী উদ্যোক্তা এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

অনলাইনে এই ব্যবসা করে মাসে গড়ে ৩০-৩৫ হাজার টাকা আয় হয় বলে জানিয়েছেন নারী উদ্যোক্তারা। রেস্তোরাঁর চেয়ে ঘরে তৈরি খাবার দামে কম ও স্বাস্থ্যকর হওয়ায় ভোজনরসিকদের কাছে এই ব্যবসা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

সরেজমিনে জানা যায়, করোনা মহামারি শুরুর পর সরকারি নির্দেশনায় রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন নারী উদ্যোক্তারা অনলাইনে খাবার বিক্রির ব্যবসার দিকে ঝোঁকেন। তাঁদের কেউ কেউ ফেসবুক পেজের মাধ্যমে খাবারের অর্ডার নেন। আবার কেউ কেউ ফুড ডেলিভারি অ্যাপ ফুড পান্ডার সঙ্গেও যুক্ত হন। বেকারি পণ্য তৈরি করেও অনলাইনে বিক্রি করেছেন তাঁরা। একেকজন উদ্যোক্তা প্রতিদিন গড়ে ২-৩ হাজার টাকার খাবার বিক্রি করতে পারেন।

অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান টিফিন বক্সের মালিক পলি আক্তার বলেন, ‘২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে আমিই প্রথম অনলাইনে খাবার ব্যবসা শুরু করি। প্রথম দিকে তেমন সাড়া মেলেনি। এখন ব্যবসা অনেক ভালো চলছে। প্রথমদিকে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে খাবারের অর্ডার নিতাম। এখন ফোনেও অর্ডার নিই। প্রতিদিন গড়ে ৪-৫ হাজার টাকার খাবার বিক্রি করি।’

আশুগঞ্জ উপজেলার নারী উদ্যোক্তা উম্মে হানি সারা বলেন, ‘পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু একটা করার চিন্তা থেকে আমি খাবারের ব্যবসা শুরু করি। আমি নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কথা চিন্তা করে কম দামে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিক্রি করি। আমার তৈরি করা বিভিন্ন ফাস্ট ফুড ও বেকারি আইটেমের চাহিদা বেশি।’

আরেক নারী উদ্যোক্তা ‘আশা’স বেকিং বিউটির মালিক শাহিদা আক্তার আশা বলেন, ‘আমাদের কোনো দোকান ভাড়া লাগে না। রেস্তোরাঁর মতো বড় জায়গাও লাগে না। তাই তুলনামূলক কম দামে উন্নতমানের খাবার সরবরাহ করতে পারি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত বলেন, করোনা মহামারিতে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। তখন অনেক নারী সংসারের হাল ধরেন। ঘরে তৈরি খাবার অনলাইনে বিক্রি করে নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। তবে এসব তাঁদের সরকারি প্রণোদনা বা ঋণের অন্তর্ভুক্ত করা গেলে দেশের অর্থনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তারা সরকারকে কোনো কর দেন না। আমরা চাই নারী উদ্যোক্তারা ব্যবসার জন্য সরকারি যে নীতিমালা আছে, সেটি অনুসরণ করে ব্যবসা করুন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত