সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের অরুয়াইল বাজারে বোরো ধান কাটা মৌসুম উপলক্ষে জমে উঠেছে শ্রম বিক্রির হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বৈশাখ মাসে বোরো ধান কাটার কাজ পেতে এই শ্রম বাজারে আসেন শ্রমিকেরা। প্রায় ৫০ বছর ধরে বসে শ্রম বিক্রির এই বিশাল হাট উপজেলার অরুয়াইল আবদুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ রোডে বসে।
গতকাল বুধবার ভোরে সরেজমিনে দেখা গেছে, মূলত ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলাসহ স্থানীয় বিভিন্ন এলাকার লোকজন এখানে এসেছেন কাজের খোঁজে। এক বেলার জন্য বা কয়েকদিনের জন্য তারা শ্রম বিক্রি করেন এই বাজারে। সারা দিন কাজ শেষে বিভিন্ন জেলার শ্রমিকেরা স্থানীয় স্কুল-কলেজের বারান্দায় রাত্রি যাপন করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফজরের আজানের পর থেকেই শ্রমিকেরা জড়ো হতে শুরু করেন। প্রতিদিন উপজেলার পাকশিমুল, অরুয়াইল,চাতলপাড় ও চুন্টা ইউনিয়ন থেকে লোকজন শ্রম কিনতে আসে। হাটে ওঠা পণ্যের মত এখানেও চলে দরদাম। এসব শ্রমিকেরা এক দিনের শ্রমের মূল্য হাঁকেন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩শ টাকা পর্যন্ত।
হাটে কথা হয় নেত্রকোনা জেলা থেকে আসা শ্রমিক মোকতার আলীর (৫২) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজ জেলায় কাজ নেই। ছয় সদস্যের পরিবারে আমিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এ অঞ্চলে শ্রমের দাম বেশী, কাজও বেশী। তা ছাড়া প্রতিদিন শ্রম বিক্রি করা যায়। তাই এখানে চলে আসি।’
কিশোরগঞ্জের ফজর আলীর (৪৬) বলেন, ‘মহাজনেরা আমাদের মানুষ হিসেবেই গণ্য করে না। কাজে একটুও বিশ্রাম দিতে চায় না।’
তবে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মালিকপক্ষের অভিযোগও কম নয়। সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জাহের আলী (৫০) বলেন, ‘এখানকার শ্রমিকেরা সাহেবদের মত। ঘড়ি ধরে কাজ করেন। এদের বেশি কিছু বলা যায় না। কিছু বললেই কাজ ফেলে চলে যায়।’
শ্রমিক নিতে আসা অরুয়াইল ইউনিয়নের শাহাজ উদ্দিন বলেন, ‘ধান কাটার জন্য শ্রমিক নিতে এসেছিলাম। আবহাওয়া খারাপ। ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছে। তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। বৃষ্টিতে তো শ্রমিকেরা ধান কাটতে পারবেন না। তবে আজকে শ্রমিকের দাম কম। ৯ শ টাকা মাত্র। গত দুই দিন আগে ছিল ১৩০০ টাকা। বৃষ্টির কারণে শ্রমিকের দাম কমেছে।’
এই বাজার নিয়ে কথা হয় স্থানীয় প্রফুল্ল দাসের (৬০) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে কলেজ ছিল না। কাঠের একটা সেতু ছিল এখানে। এই সেতুর নিচে আমরা মাথায় গামছা বেঁধে কাঁচি, ধানের আঁটি বহনকারী বাঁশের ভার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। খেত মালিকেরা এসে ধান কাটার জন্য আমাদের নিয়ে যেতো। মজুরি ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ভোর থেকে রাত ৮ থেকে ৯ টা পর্যন্ত কাজ করতাম।’
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘অনেক পুরনো এই শ্রম বাজার। এখানে যারা বিভিন্ন জেলা থেকে কাজ করতে আসেন তাঁদের শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের এলাকার মানুষ খুব দরদি মনের। বিদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচার-আচরণ করেন না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের অরুয়াইল বাজারে বোরো ধান কাটা মৌসুম উপলক্ষে জমে উঠেছে শ্রম বিক্রির হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বৈশাখ মাসে বোরো ধান কাটার কাজ পেতে এই শ্রম বাজারে আসেন শ্রমিকেরা। প্রায় ৫০ বছর ধরে বসে শ্রম বিক্রির এই বিশাল হাট উপজেলার অরুয়াইল আবদুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ রোডে বসে।
গতকাল বুধবার ভোরে সরেজমিনে দেখা গেছে, মূলত ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলাসহ স্থানীয় বিভিন্ন এলাকার লোকজন এখানে এসেছেন কাজের খোঁজে। এক বেলার জন্য বা কয়েকদিনের জন্য তারা শ্রম বিক্রি করেন এই বাজারে। সারা দিন কাজ শেষে বিভিন্ন জেলার শ্রমিকেরা স্থানীয় স্কুল-কলেজের বারান্দায় রাত্রি যাপন করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফজরের আজানের পর থেকেই শ্রমিকেরা জড়ো হতে শুরু করেন। প্রতিদিন উপজেলার পাকশিমুল, অরুয়াইল,চাতলপাড় ও চুন্টা ইউনিয়ন থেকে লোকজন শ্রম কিনতে আসে। হাটে ওঠা পণ্যের মত এখানেও চলে দরদাম। এসব শ্রমিকেরা এক দিনের শ্রমের মূল্য হাঁকেন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩শ টাকা পর্যন্ত।
হাটে কথা হয় নেত্রকোনা জেলা থেকে আসা শ্রমিক মোকতার আলীর (৫২) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজ জেলায় কাজ নেই। ছয় সদস্যের পরিবারে আমিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এ অঞ্চলে শ্রমের দাম বেশী, কাজও বেশী। তা ছাড়া প্রতিদিন শ্রম বিক্রি করা যায়। তাই এখানে চলে আসি।’
কিশোরগঞ্জের ফজর আলীর (৪৬) বলেন, ‘মহাজনেরা আমাদের মানুষ হিসেবেই গণ্য করে না। কাজে একটুও বিশ্রাম দিতে চায় না।’
তবে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মালিকপক্ষের অভিযোগও কম নয়। সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জাহের আলী (৫০) বলেন, ‘এখানকার শ্রমিকেরা সাহেবদের মত। ঘড়ি ধরে কাজ করেন। এদের বেশি কিছু বলা যায় না। কিছু বললেই কাজ ফেলে চলে যায়।’
শ্রমিক নিতে আসা অরুয়াইল ইউনিয়নের শাহাজ উদ্দিন বলেন, ‘ধান কাটার জন্য শ্রমিক নিতে এসেছিলাম। আবহাওয়া খারাপ। ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছে। তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। বৃষ্টিতে তো শ্রমিকেরা ধান কাটতে পারবেন না। তবে আজকে শ্রমিকের দাম কম। ৯ শ টাকা মাত্র। গত দুই দিন আগে ছিল ১৩০০ টাকা। বৃষ্টির কারণে শ্রমিকের দাম কমেছে।’
এই বাজার নিয়ে কথা হয় স্থানীয় প্রফুল্ল দাসের (৬০) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে কলেজ ছিল না। কাঠের একটা সেতু ছিল এখানে। এই সেতুর নিচে আমরা মাথায় গামছা বেঁধে কাঁচি, ধানের আঁটি বহনকারী বাঁশের ভার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। খেত মালিকেরা এসে ধান কাটার জন্য আমাদের নিয়ে যেতো। মজুরি ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ভোর থেকে রাত ৮ থেকে ৯ টা পর্যন্ত কাজ করতাম।’
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘অনেক পুরনো এই শ্রম বাজার। এখানে যারা বিভিন্ন জেলা থেকে কাজ করতে আসেন তাঁদের শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের এলাকার মানুষ খুব দরদি মনের। বিদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচার-আচরণ করেন না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪