মজুত ৫ হাজার লিটার সয়াবিন জব্দ, গায়ের দামে বিক্রি

বাগেরহাটে অবৈধভাবে মজুত করা ৫ হাজার ২০০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের নাগের বাজার ও তেলপট্টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ তেল জব্দ করা হয়। এ সময় অবৈধভাবে তেল মজুতের দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জব্দ করা তেলের মধ্যে বোতলজাত ৫৬০ লিটার তেল গায়ের দামে খুচরা ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এ ছাড়া ড্রামে ঢেলে রাখা অবশিষ্ট তেল দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

আরও জানা গেছে, জব্দ তেলের মধ্যে পাঁচ লিটারের বোতল ৭৬০ টাকা, ২ লিটার ৩৩৫ টাকা এবং ৮ লিটার ১ হাজার ২৮০ টাকা করে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয়রা।

তেল ক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে বর্তমানে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা থেকে ২১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু ৫ লিটারের তেলের বোতল কিনেছে ১৫২ টাকা দরে। এতে আমার প্রায় ২৫০ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এভাবে যদি মাঝেমধ্যে সরকারি কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করেন, তাহলে আমাদের কিছুটা উপকার হয়।’

রহিমা বেগম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে তেল কিনতে আসলে দোকানিরা যাচ্ছে তাই ব্যবহার করেন। অতিরিক্ত দামও দিতে হয় তাঁদের। আজ কম দামে তেল কিনতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা জানতেন, ঈদের পরে তেলের দাম বৃদ্ধি পাবে। এ কারণে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে কিনে রাখা তেল অবৈধভাবে মজুত করে রেখেছিলেন তাঁরা। এ ছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রির জন্য বোতলজাত তেল ড্রামে ঢেলে খোলা তেল হিসেবে বিক্রি করার জন্য মজুত করা হয়েছিল। ভোক্তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তেল মজুতের সত্যতা পাওয়া যায়।’

আব্দুল্লাহ আল ইমরান আরও বলেন, ‘অবৈধভাবে তেল মজুতের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৫ ধারায় তেলপট্টি এলাকার মেসার্স শ্রী ভান্ডারকে ৭০ হাজার, মেসার্স সুভাষ চন্দ্র পালকে ১০ হাজার এবং পাল অ্যান্ড সন্সকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই তিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের গুদাম থেকে ৫ হাজার ২০০ লিটার তেল জব্দ করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’