Ajker Patrika

প্রতি বিঘায় আয় ২৫ হাজার টাকা

প্রদীপ কুমার গোস্বামী, মিঠাপুকুর
আপডেট : ৩১ মে ২০২২, ১২: ২৮
Thumbnail image

ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে বাড়তি দাম পেয়ে খুশি মিঠাপুকুরের ভুট্টাচাষিরা। তাঁরা বলছেন, এবার শস্যটি চাষ করে তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমি থেকে ২৫ হাজার টাকার মতো আয় হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রবি ও খরিফ দুই মৌসুমে ভুট্টা চাষ করা যায়। তবে খরিফের তুলনায় রবি মৌসুমে ফলন বেশি। বর্তমানে উচ্চফলনশীল জাতের চাষ বেড়েছে। এ বছর মিঠাপুকুরে ৭৬০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ করা হয়েছে।

হোসেন আলী, রব্বানী, নুরুল ইসলামসহ একাধিক কৃষক জানান, অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষ লাভজনক। কারণ এর আবাদে ঝামেলা কম। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। দামও সন্তোষজনক হওয়ায় হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে।

উপজেলা সদরের হেনা মেমোরিয়াল মহিলা কলেজসংলগ্ন জায়গায় ভুট্টা শুকানোর সময় কথা হয় হোসেন আলীর সঙ্গে। তিনি ২ বিঘা ২৫ শতক জমিতে এই শস্যের চাষ করেছেন। জাতগুলো হলো প্রেসিডেন্ট, যুবরাজ ও টোপার।

হোসেনের দেওয়া তথ্যমতে, টোপার বীজে ফলন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। এখনো সব ভুট্টা মাড়াই করতে পারেননি। তবে ১১০ মণের মতো ভুট্টার ফলন হয়েছে। বর্তমানে প্রতি মণ ৯৫০ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। শুকিয়ে বিক্রি করলে আরও বেশি দাম পেতেন। তাঁর প্রতি বিঘায় আবাদে প্রায় ১৯ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। খরচ বাদ দিয়ে এখন বিঘাপ্রতি কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা লাভ হবে বলে জানান তিনি।

মিঠাপুকুরে আগামী বছর আরও অধিক জমিতে ভুট্টা চাষ হবে বলে আশাবাদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইফুল আবেদীন।

ভুট্টা চাষ প্রক্রিয়া সম্পর্কে এই কর্মকর্তা জানান, আগে চাষের উপযোগী করে জমি তৈরি করে নিতে হয়। ব্যবহার করতে হয় ইউরিয়া, টিএসপি, জিপসাম, এমওপি, জিং সালফেট ও গোবর। আর বিভিন্ন জাতের ভুট্টা রয়েছে। এসবের মধ্যে হাইব্রিড জাতের বারি-৫ থেকে অনেক জাত রয়েছে।

ভুট্টা চাষে সেচ দিতে হয় জানিয়ে সাইফুল আবেদীন বলেন, সারি করে নিয়ম মোতাবেক দূরত্ব বজায় রেখে বীজ বপন করতে হয়। বপনের ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে, ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে, ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে ও ভুট্টার দানা হওয়ার আগে মোট চারবার সেচ দিতে হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন খেতে পানি জমে না থাকে।

এক প্রশ্নের জবাবে এই কৃষি কর্মকর্তা জানান, ভুট্টায় কীটপতঙ্গের আক্রমণ কম হয়। তবে বীজ পচা, চারা ও কাণ্ড মরা, পাতা ঝলসানো রোগবালাই হতে পারে। কীটপতঙ্গের মধ্যে কাটুই পোকার আক্রমণ ঘটে। এই পোকা মাটিতে লুকিয়ে থাকে এবং সুযোগমতো চারার গোড়া কেটে দেয়। প্রতিকার হিসেবে মাটি খুঁড়ে পোকা মেরে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

সাইফুল আবেদীনের তথ্য অনুযায়ী, জাতভেদে সর্বনিম্ন ৯৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ দিনে ভুট্টা সংগ্রহ করা যায়। পাতা খড়ের মতো রং ধারণ করলে ফসল সংগ্রহ করে তিন থেকে চার দিন রোদে শুকাতে হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত