নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাস্তবতা ভিন্ন হলেও এখনো রাশিয়ান মুদ্রা রুবলেই জ্বালানি তেল দিতে অনড় রয়েছে দেশটির জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গাজপ্রম। সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়া তাদের প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাশিয়ান মুদ্রা রুবলে জ্বালানি তেল কেনার যে প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া, তা বাংলাদেশের অনুকূলে নয়। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য রাশিয়ার অনুকূলে থাকার কারণে বাংলাদেশের পক্ষে স্থায়ী মুদ্রা হিসেবে রুবলে লেনদেন করা কঠিন হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সম্প্রতি রাশিয়ার এনার্জি জায়ান্ট গাজপ্রম বাংলাদেশে ডিজেলসহ অন্যান্য জ্বালানি পণ্য সরবরাহের প্রস্তাব পাঠায়। প্রস্তাবে প্রতিষ্ঠানটি রাশিয়ার নিজস্ব মুদ্রা রুবলে লেনদেন করার আগ্রহ প্রকাশ করে। রুবলে লেনদেনের রাশিয়ার প্রস্তাবের কারণ হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমারা রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক লেনদেনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম সুইফট থেকে বহিষ্কার করে। ফলে রাশিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক লেনদেনে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মুদ্রা ডলারে লেনদেন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
একই সঙ্গে দেশটির ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারে লেনদেন করা অনেকাংশে কঠিন হয়ে পড়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে আমদানি করে বেশি কিন্তু রপ্তানি করে কম। এই বাস্তবতায় রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির ফারাক বেশি থাকার কারণে সরকারের পক্ষে রুবল জোগাড় করা কষ্টসাধ্য হবে। টাকা দিয়ে মুদ্রাবাজার থেকে ডলার দিয়ে রুবল নিতে চাইলে টাকার মান হারানোর শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা যদি রুবলে লেনদেন করতে চাই, তাহলে প্রথমে টাকা দিয়ে ডলার কিনে তারপর এই ডলার দিয়ে আবার রুবল কিনতে হবে। মুদ্রা যতবার রূপান্তর করা হবে, ততবার মান হারাতে থাকবে। রুবল কিনতে টাকা দুবার মান হারাবে।’
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘আমরা রাশিয়া থেকে রুবলে দু-একবার রুবলে লেনদেন করতে পারি কিন্তু এটা দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা হতে পারে না।’কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক লেনদেনে মার্কিন ডলার, যুক্তরাজ্যের পাউন্ড স্টার্লিং, ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো, জাপানের ইয়েন, কানাডার মুদ্রা কানাডীয় ডলার, চীনের মুদ্রা রেনমিনবি ব্যবহার করে।
বিপিসি জানায়, গাজপ্রম ডিজেলসহ অন্যান্য জ্বালানি পণ্য সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করে দূতাবাসের মাধ্যমে গত আগস্টে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। প্রস্তাবে প্রতিষ্ঠানটি জিটুজি (সরকার-সরকার) ভিত্তিতে ডিজেল সরবরাহ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে বিপিসির কর্মকর্তারা জানান। ডিজেলসহ অন্যান্য জ্বালানি পণ্য সরবরাহের জন্য গাজপ্রমের এই প্রস্তাবের আগে রাশিয়ার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ঝারুবেজনেপ্ট, রসনেফ্ট ও তাতারাস্তান ট্রেড হাউস একই প্রস্তাব দিয়েছে।
বিপিসির সূত্র জানায়, গাজপ্রম থেকে ডিজেল ক্রয় করলে এর বিনিময় মূল্য কীভাবে পরিশোধ করা হবে, তা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে। জ্বালানি খাতসংশ্লিষ্টরা বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতির কারণে দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনছে। ফলে রাশিয়া তেলের বাজার সম্প্রসারণের জন্য এশিয়ার বাজারকে লক্ষ্য করেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, গাজপ্রম বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে দীর্ঘদিন থেকে অংশীদারত্বের মাধ্যমে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে জড়িত আছে। বাংলাদেশে চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত ডিজেল সরবরাহ করতে গাজপ্রম প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ আগ্রহী হলে গাজপ্রম জ্বালানি পণ্য সরবরাহে আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী।
বাস্তবতা ভিন্ন হলেও এখনো রাশিয়ান মুদ্রা রুবলেই জ্বালানি তেল দিতে অনড় রয়েছে দেশটির জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গাজপ্রম। সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়া তাদের প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাশিয়ান মুদ্রা রুবলে জ্বালানি তেল কেনার যে প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া, তা বাংলাদেশের অনুকূলে নয়। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য রাশিয়ার অনুকূলে থাকার কারণে বাংলাদেশের পক্ষে স্থায়ী মুদ্রা হিসেবে রুবলে লেনদেন করা কঠিন হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সম্প্রতি রাশিয়ার এনার্জি জায়ান্ট গাজপ্রম বাংলাদেশে ডিজেলসহ অন্যান্য জ্বালানি পণ্য সরবরাহের প্রস্তাব পাঠায়। প্রস্তাবে প্রতিষ্ঠানটি রাশিয়ার নিজস্ব মুদ্রা রুবলে লেনদেন করার আগ্রহ প্রকাশ করে। রুবলে লেনদেনের রাশিয়ার প্রস্তাবের কারণ হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমারা রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক লেনদেনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম সুইফট থেকে বহিষ্কার করে। ফলে রাশিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক লেনদেনে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মুদ্রা ডলারে লেনদেন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
একই সঙ্গে দেশটির ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারে লেনদেন করা অনেকাংশে কঠিন হয়ে পড়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে আমদানি করে বেশি কিন্তু রপ্তানি করে কম। এই বাস্তবতায় রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির ফারাক বেশি থাকার কারণে সরকারের পক্ষে রুবল জোগাড় করা কষ্টসাধ্য হবে। টাকা দিয়ে মুদ্রাবাজার থেকে ডলার দিয়ে রুবল নিতে চাইলে টাকার মান হারানোর শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা যদি রুবলে লেনদেন করতে চাই, তাহলে প্রথমে টাকা দিয়ে ডলার কিনে তারপর এই ডলার দিয়ে আবার রুবল কিনতে হবে। মুদ্রা যতবার রূপান্তর করা হবে, ততবার মান হারাতে থাকবে। রুবল কিনতে টাকা দুবার মান হারাবে।’
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘আমরা রাশিয়া থেকে রুবলে দু-একবার রুবলে লেনদেন করতে পারি কিন্তু এটা দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা হতে পারে না।’কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক লেনদেনে মার্কিন ডলার, যুক্তরাজ্যের পাউন্ড স্টার্লিং, ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো, জাপানের ইয়েন, কানাডার মুদ্রা কানাডীয় ডলার, চীনের মুদ্রা রেনমিনবি ব্যবহার করে।
বিপিসি জানায়, গাজপ্রম ডিজেলসহ অন্যান্য জ্বালানি পণ্য সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করে দূতাবাসের মাধ্যমে গত আগস্টে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। প্রস্তাবে প্রতিষ্ঠানটি জিটুজি (সরকার-সরকার) ভিত্তিতে ডিজেল সরবরাহ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে বিপিসির কর্মকর্তারা জানান। ডিজেলসহ অন্যান্য জ্বালানি পণ্য সরবরাহের জন্য গাজপ্রমের এই প্রস্তাবের আগে রাশিয়ার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ঝারুবেজনেপ্ট, রসনেফ্ট ও তাতারাস্তান ট্রেড হাউস একই প্রস্তাব দিয়েছে।
বিপিসির সূত্র জানায়, গাজপ্রম থেকে ডিজেল ক্রয় করলে এর বিনিময় মূল্য কীভাবে পরিশোধ করা হবে, তা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে। জ্বালানি খাতসংশ্লিষ্টরা বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতির কারণে দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনছে। ফলে রাশিয়া তেলের বাজার সম্প্রসারণের জন্য এশিয়ার বাজারকে লক্ষ্য করেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, গাজপ্রম বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে দীর্ঘদিন থেকে অংশীদারত্বের মাধ্যমে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে জড়িত আছে। বাংলাদেশে চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত ডিজেল সরবরাহ করতে গাজপ্রম প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ আগ্রহী হলে গাজপ্রম জ্বালানি পণ্য সরবরাহে আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪