নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা ও আসাদুজ্জামান, গাজীপুর
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। অন্য দলগুলোর অবস্থানও শক্তিশালী নয়। এ অবস্থায় মাঠ অনেকটা ফাঁকাই ছিল আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানের জন্য। কিন্তু বাদ সেধেছেন নিজের দলের দুই বিদ্রোহী জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। দুজনই মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই নৌকার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ। বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর অবস্থান কেমন, তা জানতে গতকাল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে কথা হয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। তাঁদের কথায় বোঝা যায়, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান কেন্দ্র থেকে নৌকা প্রতীক নিতে পারলেও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অকুণ্ঠ সমর্থন পাচ্ছেন না। গাজীপুরের নেতা-কর্মীরা এখন তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এক পক্ষ আছে আজমত উল্লা খানের পেছনে, আরেক পক্ষ সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে জেতাতে এককাট্টা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুনের পেছনেও আছে একটি গ্রুপ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় আওয়ামী লীগের বড় একটা অংশের নিয়ন্ত্রণ ও সমর্থন জাহাঙ্গীর আলমের হাতে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় জাহাঙ্গীরকে যখন দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, সে সময় তাঁর সমর্থনে থাকায় ২১৩ জন আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলরকেও শোকজ করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ও কাউন্সিলরদের এই গ্রুপকে নির্বাচনী মাঠে নিজের শক্তি ও সমর্থনের প্রতীক হিসেবে দেখছেন জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমার কারণে মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ২১৩ জন সম্মানিত নেতা-কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। এই ২১৩ জন ২১৩টি ভোটকেন্দ্রের মালিক। তারা ওখানে পাস-ফেল করাতে পারে। আমার নেতা-কর্মীর কথা বাদই দিলাম। এবার আমার ভোটাররা আমার জন্য ভোট চাচ্ছে। আমি শতভাগ আশাবাদী, এবারের নির্বাচনে আমি জয়ী হব।’
এদিকে দলের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে মেয়র পদে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও কয়েক দফায় কাউন্সিলর থাকায় তাঁরও ভোটার-সমর্থক হিসাবে ধরার মতো। বিতর্কিত মন্তব্যের পর জাহাঙ্গীরবিরোধী আন্দোলনে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে। আব্দুলাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার প্রতি মহানগর আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কোনো সমর্থন নাই। তবে থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অকুণ্ঠ সমর্থন আছে আমার প্রতি। তবে এই নির্বাচনে শুধু আওয়ামী লীগের ভোট দিয়েই জয়লাভ করা সম্ভব নয়। গাজীপুরের এই অঞ্চলে অনেক শ্রমিক, অনিবাসী ভোটার আছেন। আমি দীর্ঘদিন কাউন্সিলর ছিলাম, তাঁরা আমাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে গেছেন। এবারও তাঁদের সমর্থন পাচ্ছি।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এবারের নির্বাচনেও ২০১৩ সালের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। কথা হয় দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের স্থানীয় রাজনীতি ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিত্ব রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের নির্বাচনে আজমত উল্লাহ খান দলীয় কোন্দলের কারণে পরাজিত হয়েছিলেন। সেবার জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন বিদ্রোহী প্রার্থী। তখন নেপথ্যে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা কলকাঠি নাড়েন। এবারের নির্বাচনেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। তবে সেবার বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন একজন, এবার দুজন। সঙ্গে নেমেছেন জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। তিনি মনে করেন, ভোটের ফসল নৌকার ঘরে তুলতে হলে আওয়ামী লীগের উচিত হবে দলীয় কোন্দল মিটিয়ে ফেলা।
ভোটের মাঠে দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর দাপট থাকলেও নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানের দাবি, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার জন্য কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। নৌকার প্রশ্নে আমরা সবাই এক।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল অবশ্য ভিন্ন আভাস দিয়েছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। বর্তমানে পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল মনে হলেও মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে চমক থাকতে পারে।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। অন্য দলগুলোর অবস্থানও শক্তিশালী নয়। এ অবস্থায় মাঠ অনেকটা ফাঁকাই ছিল আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানের জন্য। কিন্তু বাদ সেধেছেন নিজের দলের দুই বিদ্রোহী জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। দুজনই মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই নৌকার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ। বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর অবস্থান কেমন, তা জানতে গতকাল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে কথা হয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। তাঁদের কথায় বোঝা যায়, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান কেন্দ্র থেকে নৌকা প্রতীক নিতে পারলেও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অকুণ্ঠ সমর্থন পাচ্ছেন না। গাজীপুরের নেতা-কর্মীরা এখন তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এক পক্ষ আছে আজমত উল্লা খানের পেছনে, আরেক পক্ষ সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে জেতাতে এককাট্টা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুনের পেছনেও আছে একটি গ্রুপ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় আওয়ামী লীগের বড় একটা অংশের নিয়ন্ত্রণ ও সমর্থন জাহাঙ্গীর আলমের হাতে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় জাহাঙ্গীরকে যখন দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, সে সময় তাঁর সমর্থনে থাকায় ২১৩ জন আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলরকেও শোকজ করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ও কাউন্সিলরদের এই গ্রুপকে নির্বাচনী মাঠে নিজের শক্তি ও সমর্থনের প্রতীক হিসেবে দেখছেন জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমার কারণে মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ২১৩ জন সম্মানিত নেতা-কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। এই ২১৩ জন ২১৩টি ভোটকেন্দ্রের মালিক। তারা ওখানে পাস-ফেল করাতে পারে। আমার নেতা-কর্মীর কথা বাদই দিলাম। এবার আমার ভোটাররা আমার জন্য ভোট চাচ্ছে। আমি শতভাগ আশাবাদী, এবারের নির্বাচনে আমি জয়ী হব।’
এদিকে দলের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে মেয়র পদে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও কয়েক দফায় কাউন্সিলর থাকায় তাঁরও ভোটার-সমর্থক হিসাবে ধরার মতো। বিতর্কিত মন্তব্যের পর জাহাঙ্গীরবিরোধী আন্দোলনে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে। আব্দুলাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার প্রতি মহানগর আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কোনো সমর্থন নাই। তবে থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অকুণ্ঠ সমর্থন আছে আমার প্রতি। তবে এই নির্বাচনে শুধু আওয়ামী লীগের ভোট দিয়েই জয়লাভ করা সম্ভব নয়। গাজীপুরের এই অঞ্চলে অনেক শ্রমিক, অনিবাসী ভোটার আছেন। আমি দীর্ঘদিন কাউন্সিলর ছিলাম, তাঁরা আমাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে গেছেন। এবারও তাঁদের সমর্থন পাচ্ছি।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এবারের নির্বাচনেও ২০১৩ সালের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। কথা হয় দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের স্থানীয় রাজনীতি ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিত্ব রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের নির্বাচনে আজমত উল্লাহ খান দলীয় কোন্দলের কারণে পরাজিত হয়েছিলেন। সেবার জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন বিদ্রোহী প্রার্থী। তখন নেপথ্যে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা কলকাঠি নাড়েন। এবারের নির্বাচনেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। তবে সেবার বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন একজন, এবার দুজন। সঙ্গে নেমেছেন জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। তিনি মনে করেন, ভোটের ফসল নৌকার ঘরে তুলতে হলে আওয়ামী লীগের উচিত হবে দলীয় কোন্দল মিটিয়ে ফেলা।
ভোটের মাঠে দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর দাপট থাকলেও নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানের দাবি, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার জন্য কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। নৌকার প্রশ্নে আমরা সবাই এক।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল অবশ্য ভিন্ন আভাস দিয়েছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। বর্তমানে পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল মনে হলেও মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে চমক থাকতে পারে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪