মীর মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার অ্যাম্বুলেন্সের চালক মো. নূরুল করিম। দীর্ঘ ১৪ বছর হাসপাতালের রোগী বহন করছেন তাঁর অ্যাম্বুলেন্সে। রোগী নিয়ে বিভিন্ন সময়ে যেতে হয় ঢাকায়। তবে বাংলাবাজার ঘাটে ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে করতে মুমূর্ষু অনেক রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ১৪ বছরের অভিজ্ঞতায় অনেক রোগীকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে তাঁর অ্যাম্বুলেন্সে। তাই তো ১৪ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে নূরুল করিম বলেন, ‘তখন পদ্মা সেতু থাকলে রোগীদের হয়তো হাসপাতালে পৌঁছে দিতে পারতাম। অনেকের মৃত্যুর জন্য নিজেকে অপরাধী মনে হয়। সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তব। এখন প্রহর গুনছি কখন একজন রোগীকে ওই সেতু পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেব।’
নূরুল করিম আরও বলেন, ‘গত বছর সদর উপজেলার বড় বিঘাইর এলাকার এক অসুস্থ রোগী ও ১০ ব্যাগ রক্ত নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিই। রোগী ব্যথায় চিৎকার করছে আর বলছে, আমি বাঁচব না। রাত ৯টার দিকে বাংলাবাজার ঘাটে গিয়ে দেখি অনেক জ্যাম; হাজার হাজার গাড়ি আটকা পড়ে আছে। কোনোভাবেই ফেরিতে উঠতে পারছিলাম না। ব্যাগের পর ব্যাগ রক্ত রোগীর শরীরে পুশ করা হচ্ছে। কত অনুরোধ করলাম, কেউ একটু সাইড দেয়নি। ভোররাতে রোগী আর চিৎকার দিচ্ছে না, রোগীর পরিবারের সদস্যদের চোখ থেকে পানি ঝরছিল। সকালে ফেরি থেকে নেমে যখন হাসপাতালে নিয়ে গেলাম, চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলেন। চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারি নাই, সেদিনের ঘটনা আমাকে এতটা কষ্ট দিয়েছে—সেদিন থেকে অনুভব করেছি পদ্মা সেতুর অভাব।’
পদ্মা সেতু চালু হলে অ্যাম্বুলেন্সসেবা কেমন হবে, এমন তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে অ্যাম্বুলেন্সচালক মো. নূরুল করিমের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রতিবেদককে বলেন।
এদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি যখন চাঙা হওয়ার পথে, এর পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ীদের মনেও বইছে আনন্দের হাওয়া। পদ্মা সেতু হওয়ায় অসুস্থ রোগীকে সঠিক সময়ে চিকিৎসাসেবা দিয়ে জীবন বাঁচানো যাবে—এমনটাই আশা দক্ষিণ জনপদের মানুষের।
আরেক অ্যাম্বুলেন্সের চালক সাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো দিন কল্পনা করতে পারি নাই, পদ্মা সেতু হইবে। পদ্মা সেতু চালুর মাত্র কয়েক দিন আছে। প্রধানমন্ত্রীকে মন থেকে দোয়া করি; কত মানুষের যে উপকার করল। রোগীরা যখন পদ্মা সেতু দিয়া যাবে, প্রধানমন্ত্রীরে দোয়া করতে করতে যাবে।’
পটুয়াখালী জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাকিল মৃধা বলেন, ‘আমরা শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা করছি, দীর্ঘদিনের কষ্ট দূর হবে এই সেতু চালু হলে। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে অ্যাম্বুলেন্সসেবা আরও বৃদ্ধি পাবে। ফেরিঘাটে পৌঁছে যদি সঙ্গে সঙ্গে ফেরি পাওয়া যায়, তাহলে ১০ ঘণ্টার মতো সময় লাগে, আর যদি ফেরি না পাওয়া যায়, তাহলে ১৫-২০ ঘণ্টা সময় লাগে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া করতে মাত্র ৫ ঘণ্টা সময় লাগবে।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
শাকিল মৃধা আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে বর্তমানে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আলাদাভাবে কোনো টাকা ধার্য করা হয়নি, তবে মাইক্রোবাসের জন্য ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা। আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা একটি সেবামূলক ব্যবসা, যদি পদ্মা সেতুর টোল ভাড়া কমিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমরাও মানুষের কাছ থেকে টাকা কমিয়ে নিতে পারব।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার অ্যাম্বুলেন্সের চালক মো. নূরুল করিম। দীর্ঘ ১৪ বছর হাসপাতালের রোগী বহন করছেন তাঁর অ্যাম্বুলেন্সে। রোগী নিয়ে বিভিন্ন সময়ে যেতে হয় ঢাকায়। তবে বাংলাবাজার ঘাটে ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে করতে মুমূর্ষু অনেক রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ১৪ বছরের অভিজ্ঞতায় অনেক রোগীকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে তাঁর অ্যাম্বুলেন্সে। তাই তো ১৪ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে নূরুল করিম বলেন, ‘তখন পদ্মা সেতু থাকলে রোগীদের হয়তো হাসপাতালে পৌঁছে দিতে পারতাম। অনেকের মৃত্যুর জন্য নিজেকে অপরাধী মনে হয়। সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তব। এখন প্রহর গুনছি কখন একজন রোগীকে ওই সেতু পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেব।’
নূরুল করিম আরও বলেন, ‘গত বছর সদর উপজেলার বড় বিঘাইর এলাকার এক অসুস্থ রোগী ও ১০ ব্যাগ রক্ত নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিই। রোগী ব্যথায় চিৎকার করছে আর বলছে, আমি বাঁচব না। রাত ৯টার দিকে বাংলাবাজার ঘাটে গিয়ে দেখি অনেক জ্যাম; হাজার হাজার গাড়ি আটকা পড়ে আছে। কোনোভাবেই ফেরিতে উঠতে পারছিলাম না। ব্যাগের পর ব্যাগ রক্ত রোগীর শরীরে পুশ করা হচ্ছে। কত অনুরোধ করলাম, কেউ একটু সাইড দেয়নি। ভোররাতে রোগী আর চিৎকার দিচ্ছে না, রোগীর পরিবারের সদস্যদের চোখ থেকে পানি ঝরছিল। সকালে ফেরি থেকে নেমে যখন হাসপাতালে নিয়ে গেলাম, চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলেন। চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারি নাই, সেদিনের ঘটনা আমাকে এতটা কষ্ট দিয়েছে—সেদিন থেকে অনুভব করেছি পদ্মা সেতুর অভাব।’
পদ্মা সেতু চালু হলে অ্যাম্বুলেন্সসেবা কেমন হবে, এমন তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে অ্যাম্বুলেন্সচালক মো. নূরুল করিমের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রতিবেদককে বলেন।
এদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি যখন চাঙা হওয়ার পথে, এর পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ীদের মনেও বইছে আনন্দের হাওয়া। পদ্মা সেতু হওয়ায় অসুস্থ রোগীকে সঠিক সময়ে চিকিৎসাসেবা দিয়ে জীবন বাঁচানো যাবে—এমনটাই আশা দক্ষিণ জনপদের মানুষের।
আরেক অ্যাম্বুলেন্সের চালক সাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো দিন কল্পনা করতে পারি নাই, পদ্মা সেতু হইবে। পদ্মা সেতু চালুর মাত্র কয়েক দিন আছে। প্রধানমন্ত্রীকে মন থেকে দোয়া করি; কত মানুষের যে উপকার করল। রোগীরা যখন পদ্মা সেতু দিয়া যাবে, প্রধানমন্ত্রীরে দোয়া করতে করতে যাবে।’
পটুয়াখালী জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাকিল মৃধা বলেন, ‘আমরা শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা করছি, দীর্ঘদিনের কষ্ট দূর হবে এই সেতু চালু হলে। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে অ্যাম্বুলেন্সসেবা আরও বৃদ্ধি পাবে। ফেরিঘাটে পৌঁছে যদি সঙ্গে সঙ্গে ফেরি পাওয়া যায়, তাহলে ১০ ঘণ্টার মতো সময় লাগে, আর যদি ফেরি না পাওয়া যায়, তাহলে ১৫-২০ ঘণ্টা সময় লাগে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া করতে মাত্র ৫ ঘণ্টা সময় লাগবে।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
শাকিল মৃধা আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে বর্তমানে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আলাদাভাবে কোনো টাকা ধার্য করা হয়নি, তবে মাইক্রোবাসের জন্য ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা। আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা একটি সেবামূলক ব্যবসা, যদি পদ্মা সেতুর টোল ভাড়া কমিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমরাও মানুষের কাছ থেকে টাকা কমিয়ে নিতে পারব।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪