Ajker Patrika

শিবচরে সংক্রমণ বাড়লেও মাস্ক পরায় অনীহা

ইমতিয়াজ আহমেদ, শিবচর
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ৪৯
শিবচরে সংক্রমণ বাড়লেও মাস্ক পরায় অনীহা

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় হাটবাজরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা দেখা দিয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতার মুখে নেই মাস্ক। সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়লেও আর আগের মতো ভয় নেই বলে দাবি তাঁদের। আবার দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনেকেরই অনীহা বেড়েছে।

তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে সচেতনতা।

সরেজমিনে উপজেলার উৎরাইল হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে আসা শত শত ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে নেই কোনো মাস্ক। ভিড়ের মধ্যে গাদাগাদি করে চলছে কেনাবেচা।

ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, নতুন করে করোনার সংক্রমণ পেলেও আগের মতো ভীতি আর কাজ করছে না। সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকা অস্বস্তিকর থাকায় ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া টিকা নেওয়ার কারণে ‘করোনা হলেও তেমন সমস্যা হবে না’ বিশ্বাস জন্মেছে তাঁদের মধ্যে। এতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতা।

উপজেলার উৎরাইল বাজার করতে এক ক্রেতা মো. ইদ্রিস বলেন, ‘গ্রামের হাটবাজারে ভিড় থাকবেই। অনেকে একসঙ্গে কেনাকাটা করতে আসেন। তবুই মানুষের মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব মানার প্রবণতা কমেছে। তা ছাড়া করোনা কমে যাওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি অনেকে মেনে চলছেন না। আসলে আগের মতো বর্তমানে করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে ভয় নেই।’

হাসান নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পর থেকে এক ধরনের উদাসীনতা তৈরি হয়েছে। তাই মাস্ক পরাও হয় না। আবার যেহেতু করোনা বাড়ছে, এখন থেকে নিয়মিত মাস্ক পরতে হবে।’

সবজি বিক্রেতা মো. মাসুদ বলেন, ‘গত বছর নিয়মিত মাস্ক পরতাম। করোনা তো কমে গেছিল। টিকা নিছি। এ জন্য মাস্ক পরা বাদ দিছিলাম। বেচাকেনার সময় মাস্ক পইরা কথা বলতে সমস্যা হয়। তাই পরি নাই।’

এদিকে যানবাহনেও একই অবস্থা। যানবাহনগুলোতে গাদাগাদি করে বসছেন যাত্রী। তাঁদের মুখেও মাস্ক নেই। মাস্ক পরা ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে বলে দাবি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের। গত কয়েক দিনে উপজেলায় বেড়েছে করোনা রোগীর সংখ্যা।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মিঠুন বিশ্বাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলায় ১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।’

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় উপজেলার সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মাইকিং করা হয়েছে। রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত