ইজাজুল হক
আঁকার নেশা
ত্বোয়াহার জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়। ছোটবেলা থেকেই রঙের খেলায় মেতে থাকার অভ্যাস। ক্যালেন্ডারের পাতায় আঁকা নান্দনিক আরবি ক্যালিগ্রাফিগুলো তাঁকে খুব টানত। শৈশব-কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসায়। বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও আঁকাআঁকির নেশা তাঁকে সেই পথে যেতে দেয়নি। কিছুদিন চট্টগ্রাম শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে অঙ্কন শেখেন। ইন্টারনেটের কল্যাণে বিশ্বের বিভিন্ন ক্যালিগ্রাফি শিল্পীর কাজের সঙ্গে পরিচিত হতে থাকেন। সৃষ্টিশীলতা ও নতুন কিছু করার প্রেরণা তাঁকে ফ্রি-স্টাইল ক্যালিগ্রাফির সন্ধান দেয়। ধরাবাঁধা নিয়মের বাইরে গিয়ে এ ধরনের ক্যালিগ্রাফিচর্চা বাংলাদেশে বিরল। শব্দ-বাক্যের মারপ্যাঁচ ও রঙের মিশেলে ত্বোয়াহার ক্যানভাসে বাহারি ফুল ফোটে।
স্বীকৃতির ঝুলি
ত্বোয়াহার ক্যালিগ্রাফির নতুনত্ব বোদ্ধামহলে বেশ প্রশংসা কুড়ায়। এইচএসসি না পেরোতেই তিনি অংশ নেন কয়েকটি আন্তর্জাতিক আর্ট কমপিটিশনে। কাতারে ওআইসি ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘দোহা ইয়ুথ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২০’-এর ‘অ্যারাবিক ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং’ ক্যাটাগরিতে তৃতীয় হন তিনি। পরের বছর ঢাকায় ওআইসি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ইয়ুথ আর্ট কমপিটিশন’-এও ক্যালিগ্রাফি ক্যাটাগরিতে তৃতীয় হন। ক্যালিগ্রাফির বাইরে গ্রাফিক ডিজাইনেও হাত পাকাচ্ছেন ত্বোয়াহা। ইতিমধ্যে তিনি স্বীকৃতিও পেয়েছেন। বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকার ড্যানিশ দূতাবাস আয়োজিত লোগো কনটেস্টে তাঁর নকশাকৃত লোগোটি নির্বাচিত হয়।
মানুষের জন্য
ত্বোয়াহা সমাজসচেতন আধুনিক তরুণ। শিল্পের ভাষায় দেশ, সমাজ, প্রকৃতি ও মানুষের কথা বলেন তিনি। সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সার্জ বাংলাদেশ’-এর হেড অব ক্রিয়েটিভ হিসেবে। ক্যালিগ্রাফির ভাষায় ত্বোয়াহা পরিবেশরক্ষার কথা বলেন। এতিম-নিঃস্ব মানুষের প্রতি হাত বাড়ানোর ডাক দেন। সমাজের অন্যায়-অনাচারের প্রতিবাদও জানান রংতুলির আঁচড়ে। গত বছর ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবিসংবলিত চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে তাঁর আরবি ‘ক্যালিগ্রাফিতি’ মননশীল মানুষের দৃষ্টি কেড়েছিল। ত্বোয়াহা বলেন, ‘ক্যালিগ্রাফির ভাষায় আমি সব সৃষ্টির এবং গণমানুষের কল্যাণের কথা বলতে চাই। তাই মানুষের কাছে পৌঁছাতে নগর-বন্দরের দেয়ালগুলো আমি মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছি। শিল্প শুধু উচ্চবিত্তদের বিলাসবস্তু হয়ে থাকবে, এমনটা আমি মানতে পারি না।’
বিশ্বজয়ের স্বপ্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় নবম হন ত্বোয়াহা। বর্তমানে তিনি ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগে আঁকাআঁকির প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ নিচ্ছেন। বাংলা অক্ষরশিল্প নিয়ে তাঁর অনন্ত স্বপ্ন। আরবি ক্যালিগ্রাফির পাশাপাশি বাংলা ক্যালিগ্রাফি নিয়েও তিনি কাজ করছেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের কাপ্তাইয়ের কোনো এক দেয়ালে ফ্রি-স্টাইল ক্যালিগ্রাফিতে লিখেছেন কবি খলিল জিবরানের ‘বৃক্ষেরা হলো আকাশের বুকে পৃথিবীর লেখা কাব্য’ উক্তিটি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শাহবাগ থানার পরিত্যক্ত গাড়ির গায়েও ক্যালিগ্রাফি করতে দেখা যায় তাঁকে। ত্বোয়াহার স্বপ্ন—গ্রাফিতি ও ক্যালিগ্রাফির বিশ্বসেরা শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করবেন।
ত্বোয়াহা বলেন, ‘চারুকলায় পড়ার সুযোগ পাওয়া সৌভাগ্যের। তবে মধ্যপ্রাচ্য অথবা ইউরোপে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলা ক্যালিগ্রাফিকে সমৃদ্ধ করতে এবং জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করতে চাই। ক্যালিগ্রাফিকে স্বতন্ত্র শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করারও স্বপ্ন দেখি।’
ত্বোয়াহার কাজের প্রশংসা করে এএফপির বাংলাদেশ ব্যুরো চিফ সাংবাদিক শফিকুল আলম ফেসবুকে লেখেন, ‘দেশের বড় মসজিদগুলো ত্বোয়াহার দক্ষতা কাজে লাগাতে পারে। অনেক মসজিদ কমিটি নামকরা স্থপতিদের নিয়োগ দিয়ে নান্দনিক ডিজাইনের মসজিদ তৈরি করলেও পেশাদার ক্যালিগ্রাফারদের নিয়োগ দিচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে ত্বোয়াহার মতো শিল্পীরা তাঁদের চারুনৈপুণ্য কাজে লাগাতে প্রস্তুত।’
আঁকার নেশা
ত্বোয়াহার জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়। ছোটবেলা থেকেই রঙের খেলায় মেতে থাকার অভ্যাস। ক্যালেন্ডারের পাতায় আঁকা নান্দনিক আরবি ক্যালিগ্রাফিগুলো তাঁকে খুব টানত। শৈশব-কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসায়। বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও আঁকাআঁকির নেশা তাঁকে সেই পথে যেতে দেয়নি। কিছুদিন চট্টগ্রাম শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে অঙ্কন শেখেন। ইন্টারনেটের কল্যাণে বিশ্বের বিভিন্ন ক্যালিগ্রাফি শিল্পীর কাজের সঙ্গে পরিচিত হতে থাকেন। সৃষ্টিশীলতা ও নতুন কিছু করার প্রেরণা তাঁকে ফ্রি-স্টাইল ক্যালিগ্রাফির সন্ধান দেয়। ধরাবাঁধা নিয়মের বাইরে গিয়ে এ ধরনের ক্যালিগ্রাফিচর্চা বাংলাদেশে বিরল। শব্দ-বাক্যের মারপ্যাঁচ ও রঙের মিশেলে ত্বোয়াহার ক্যানভাসে বাহারি ফুল ফোটে।
স্বীকৃতির ঝুলি
ত্বোয়াহার ক্যালিগ্রাফির নতুনত্ব বোদ্ধামহলে বেশ প্রশংসা কুড়ায়। এইচএসসি না পেরোতেই তিনি অংশ নেন কয়েকটি আন্তর্জাতিক আর্ট কমপিটিশনে। কাতারে ওআইসি ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘দোহা ইয়ুথ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২০’-এর ‘অ্যারাবিক ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং’ ক্যাটাগরিতে তৃতীয় হন তিনি। পরের বছর ঢাকায় ওআইসি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ইয়ুথ আর্ট কমপিটিশন’-এও ক্যালিগ্রাফি ক্যাটাগরিতে তৃতীয় হন। ক্যালিগ্রাফির বাইরে গ্রাফিক ডিজাইনেও হাত পাকাচ্ছেন ত্বোয়াহা। ইতিমধ্যে তিনি স্বীকৃতিও পেয়েছেন। বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকার ড্যানিশ দূতাবাস আয়োজিত লোগো কনটেস্টে তাঁর নকশাকৃত লোগোটি নির্বাচিত হয়।
মানুষের জন্য
ত্বোয়াহা সমাজসচেতন আধুনিক তরুণ। শিল্পের ভাষায় দেশ, সমাজ, প্রকৃতি ও মানুষের কথা বলেন তিনি। সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সার্জ বাংলাদেশ’-এর হেড অব ক্রিয়েটিভ হিসেবে। ক্যালিগ্রাফির ভাষায় ত্বোয়াহা পরিবেশরক্ষার কথা বলেন। এতিম-নিঃস্ব মানুষের প্রতি হাত বাড়ানোর ডাক দেন। সমাজের অন্যায়-অনাচারের প্রতিবাদও জানান রংতুলির আঁচড়ে। গত বছর ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবিসংবলিত চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে তাঁর আরবি ‘ক্যালিগ্রাফিতি’ মননশীল মানুষের দৃষ্টি কেড়েছিল। ত্বোয়াহা বলেন, ‘ক্যালিগ্রাফির ভাষায় আমি সব সৃষ্টির এবং গণমানুষের কল্যাণের কথা বলতে চাই। তাই মানুষের কাছে পৌঁছাতে নগর-বন্দরের দেয়ালগুলো আমি মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছি। শিল্প শুধু উচ্চবিত্তদের বিলাসবস্তু হয়ে থাকবে, এমনটা আমি মানতে পারি না।’
বিশ্বজয়ের স্বপ্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় নবম হন ত্বোয়াহা। বর্তমানে তিনি ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগে আঁকাআঁকির প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ নিচ্ছেন। বাংলা অক্ষরশিল্প নিয়ে তাঁর অনন্ত স্বপ্ন। আরবি ক্যালিগ্রাফির পাশাপাশি বাংলা ক্যালিগ্রাফি নিয়েও তিনি কাজ করছেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের কাপ্তাইয়ের কোনো এক দেয়ালে ফ্রি-স্টাইল ক্যালিগ্রাফিতে লিখেছেন কবি খলিল জিবরানের ‘বৃক্ষেরা হলো আকাশের বুকে পৃথিবীর লেখা কাব্য’ উক্তিটি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শাহবাগ থানার পরিত্যক্ত গাড়ির গায়েও ক্যালিগ্রাফি করতে দেখা যায় তাঁকে। ত্বোয়াহার স্বপ্ন—গ্রাফিতি ও ক্যালিগ্রাফির বিশ্বসেরা শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করবেন।
ত্বোয়াহা বলেন, ‘চারুকলায় পড়ার সুযোগ পাওয়া সৌভাগ্যের। তবে মধ্যপ্রাচ্য অথবা ইউরোপে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলা ক্যালিগ্রাফিকে সমৃদ্ধ করতে এবং জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করতে চাই। ক্যালিগ্রাফিকে স্বতন্ত্র শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করারও স্বপ্ন দেখি।’
ত্বোয়াহার কাজের প্রশংসা করে এএফপির বাংলাদেশ ব্যুরো চিফ সাংবাদিক শফিকুল আলম ফেসবুকে লেখেন, ‘দেশের বড় মসজিদগুলো ত্বোয়াহার দক্ষতা কাজে লাগাতে পারে। অনেক মসজিদ কমিটি নামকরা স্থপতিদের নিয়োগ দিয়ে নান্দনিক ডিজাইনের মসজিদ তৈরি করলেও পেশাদার ক্যালিগ্রাফারদের নিয়োগ দিচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে ত্বোয়াহার মতো শিল্পীরা তাঁদের চারুনৈপুণ্য কাজে লাগাতে প্রস্তুত।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫