Ajker Patrika

নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগরেরা

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২২, ১১: ১৬
নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগরেরা

ইলিশের মৌসুম সামনে রেখে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগরেরা। তাঁরা ইতিমধ্যে ছোট-বড় শতাধিক নৌকা তৈরি করেছেন। এখন এসব নৌকায় ইঞ্জিন বসানোসহ রঙের কাজ চলছে।

জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল, এখলাছপুর, মোহনপুর, কলাকান্দা, ফরাজীকান্দি ও জহিরাবাদ ইউনিয়নের অধিকাংশ ব্যক্তি মেঘনায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। নদীতে মাছ ধরার অন্যতম উপকরণ হচ্ছে নৌকা বা ইঞ্জিনচালিত ট্রলার। প্রতিবছর ইলিশের মৌসুমের আগে এসব ইউনিয়নের নদীপাড়ে নৌকা তৈরি বা মেরামতের হিড়িক পড়ে।

গত মঙ্গলবার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের কাচারীকান্দি এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নৌকা তৈরি ও মেরামতের দৃশ্য দেখা গেছে। কাঠমিস্ত্রির পাশাপাশি নৌকার মালিকেরা নৌকা তৈরির উপকরণ সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলেন।

রোকন মাঝি বলেন, ‘মৎস্য আহরণ করে আমরা জীবিকা নির্বাহ করি। নদীতীরবর্তী মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে নৌকা জড়িত। এ জন্য ইলিশের মৌসুম আসার আগেই নৌকা তৈরি ও পুরোনো নৌকা মেরামত করি। একটি নৌকা তৈরি করতে খরচ হয় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা। আরবড় ট্রলার হলে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা খরচ পড়ে।’

নৌকার কারিগর (কাঠমিস্ত্রি) ধনরাজ বলেন, ছোট-বড় নৌকা তৈরিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের কাঠ ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে গর্জন, মেহগনি, আকাশি, কাঁঠাল, কড়ই, রেন্ট্রি গাছের কাঠ বেশি ব্যবহার হয়।

ধনরাজ আরও বলেন, উপজেলায় অর্ধশতাধিক কাঠমিস্ত্রি রয়েছেন। এখন সবাই নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাঁদের পাশাপাশি আরও অন্তত কয়েক শ সহকারী এ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। প্রতিবছর এ সময়ে নৌকা তৈরির হিড়িক পড়ে। একটি নৌকা তৈরি করতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে। নৌকার আকার ও প্রকারভেদে মজুরি নেওয়া হয়। সাধারণত একটি নৌকা তৈরি করতে ৩০-৫০ হাজার টাকা মজুরি নেওয়া হয়।

মতলব উত্তর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম বলেন, এখানকার জেলেরা মেঘনায় মাছ শিকার করে প্রকৃত সুবিধা পান না। তাঁরা মহাজনের দাদন এবং বিভিন্ন লোন নেন। দুই মাস নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এ সময় জেলেরা বেকার থাকেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত