Ajker Patrika

মরিচের দামে চাষির মাথায় হাত, লোকসানের আশঙ্কা

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ১০
মরিচের দামে চাষির মাথায় হাত, লোকসানের আশঙ্কা

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজারে দাম কম হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন চাষিরা। অনেকেই উৎপাদন খরচ তোলা নিয়েই চিন্তায় পড়েছেন। অস্বাভাবিক দর পতনে মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের।

নাগেশ্বরীর দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গাধর নদের অববাহিকার নারায়ণপুর, কচাকাটা, কালিগঞ্জ, নুনখাওয়া, বল্লভের খাষ, কেদার ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চলে এবার ব্যাপক হারে মরিচ চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে বাজারজাত শুরু করেছেন কৃষকেরা। কিন্তু দাম কম হওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠছে না বলে জানিয়েছেন অনেক কৃষক।

কেদার ইউনিয়নের সাতানা গ্রামের মরিচ চাষি আব্দুস সামাদ জানান, এবার আট বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন তিনি। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমির মরিচ বিক্রি করেছেন ২৭ হাজার টাকা। কোনোমতে মূলধন ঘরে তুলেছেন তিনি।

কচাকাটা ইউনিয়নের ধনিরামপুর চরাঞ্চলের মরিচ চাষি আব্দুল মালেক বলেন, ‘এবার দুই বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে, তবে দাম কম। উৎপাদন খরচ তুলতে পারিনি।’

একই ইউনিয়নের ব্যাপারীটারী গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন আলী জানান, তাঁর তিন বিঘা জমিতে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে গেল বছরের চেয়ে এবার মরিচের দাম একবারে কম। বর্তমান যা বাজার সামনে দাম আরও কমতে পারে। এতে লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।

উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এবার মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। মরিচ চাষ হয়েছে ২৯৫ হেক্টর জমিতে, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৭০ হেক্টর জমি। অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় এবার মরিচের আবাদে কোনো প্রকার রোগবালাইয়ের আক্রমণ নেই। এতে ফলন ভালো হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলতি বছর মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। হেক্টর প্রতি ৪ মেট্রিকটন ফলন পাবে কৃষক। তবে বর্তমানে দাম কিছুটা কম। যাঁরা আগাম মরিচ চাষ করেছেন তাঁরা লাভবান হয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত