Ajker Patrika

হেলে পড়া ভবনেই থাকছেন বাসিন্দারা

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
হেলে পড়া ভবনেই থাকছেন বাসিন্দারা

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের ঘোষণার পরও হেলে পড়া ভবনে এখনো মালিক ও ভাড়াটেরা বসবাস করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গিয়ে এই অবস্থা দেখা গেছে।

এদিকে ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কাজী মাহমুদ উল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেতে পারেননি কমিটির প্রধান।

এর আগে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত সোমবার রাতে কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি আবাসিক ভবন হেলে পড়ে। পরে গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

গতকাল স্থানীয় বাসিন্দা মো. মাসুদ বলেন, ঘটনার রাতেই শহীদুল ইসলামের পাঁচতলা ভবন থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে তালা দেওয়া হয়। পরদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিদর্শনে এসে জালাল উদ্দিনের চারতলা ভবনটিও খালি করতে বলেন; কিন্তু প্রশাসন চলে যাওয়ার পর চারতলা ভবনটি আর খালি করা হয়নি।

অন্যদিকে পাঁচতলা ভবনের তালাও খুলে রাখা হয়েছে। সারা দিন এই ভবনে কেউ না থাকলেও রাতে মানুষ থাকে।

চারতলা ভবনের নিচতলার ভাড়াটে মো. কুদ্দুস বলেন, ‘আমি গত মাসে বাসাটি ভাড়া নিয়েছি। এর মধ্যেই হেলে পড়ার ঘটনা ঘটল। প্রশাসনের লোকজন এসে যদি সবাইকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে বের করে দিলে ভালো হতো। আমাদের বলেছে বের হয়ে যেতে; কিন্তু বাড়ির মালিক বলছেন, কিছু হবে না, আপনারা থাকতে পারেন। এখন আমরা কী করব বুঝতে পারছি না। তবে ইউপির ওয়ার্ড সদস্য এসে আমাদের কিছুদিনের জন্য সরে যেতে বলেছেন।’

একই ভবনের আরেক ভাড়াটে দুদ মিয়া বলেন, ‘বাড়িওয়ালা আমাদের বলেছেন, কোনো সমস্যা নেই, আপনারা থাকতে পারেন।’

চারতলা ভবনের মালিকের স্ত্রী জাহানারা বেগমের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

শুভাঢ্যা ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিঠু হোসেন এ্যানী বলেন, দুটি বাড়ির বেশির ভাগ বাসিন্দাই নেমে গেছেন। যাঁরা আছেন, তাঁরা আজ (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত সময় নিয়েছেন, কাল (শুক্রবার) বাকিরাও ভবন থেকে নেমে যাবেন। তবে প্রশাসনের নির্দেশের পর ইউপি সদস্য বাড়িতে থাকার সময় বাড়াতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।

তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা প্রকৌশলী কাজী মাহমুদ উল্লাহ বলেন, ‘আমি একটি ট্রেনিংয়ে থাকার কারণে এখনো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পারিনি।’

ইউএনও মেহেদী হাসান বলেন, ‘উপজেলা প্রকৌশলী একটি ট্রেনিংয়ে থাকার কারণে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পারেননি। তবে আশা করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে যাব।’ ইউএনও বলেন, ভবন দুটি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত