সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর প্রতিনিধি
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর। এখানকার জীববৈচিত্র্য প্রকৃতপ্রেমীদের কাছে টানে। অসাধু ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা অবাধে হিজল ও করচগাছ কাটায় সেই জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে।
এদিকে হাওর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি আনসার ক্যাম্প এবং জেলা প্রশাসনের একজন সহকারী কমিশনার (ম্যাজিস্ট্রেট) রয়েছেন। তারপরও কমছে না গাছ কাটার প্রতিযোগিতা।
বিশ্বের ১ হাজার ৩১তম রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওর। বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম রামসার সাইট হিসেবে খ্যাত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ১২ হাজার ৬৫৬ হেক্টর ভূমি নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরের অবস্থান। জেলার সীমান্তবর্তী তাহিরপুর ও ধর্মপাশা—এ দুই উপজেলা মিলিয়ে রয়েছে টাঙ্গুয়ার হাওর। স্থানীয়ভাবে বলা হয় ‘ছয় কুড়ি বিল আর নয় কুড়ি কান্দা’—এ নিয়ে টাঙ্গুয়ার পাড়ের মানুষের জীবন বান্দা। কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলাভূমির জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাদার ফিশারিজ খ্যাত হাওর থেকে হিজল-করচ বন উজাড় হচ্ছে। কিছু অসাধু লোক হাওরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হিজল ও করচগাছ কেটে নিচ্ছে। ফলে ওই এলাকা গাছশূন্য হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
কথা হয় হাওর পাড়ের বাসিন্দা আব্বাস হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, এলাকার কিছু মানুষ জলমহালে কাঁটা হিসেবে ব্যবহারের জন্য গাছের ডালপালা কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
মিলন আহমদ বলেন, দিন দিন মানবসৃষ্ট ‘নৃশংসতা’র কবলে পড়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়াসহ জীববৈচিত্র্য হারাচ্ছে টাঙ্গুয়ার হাওর। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিযায়ী পাখি আর আসবে না। সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়বে এলাকাবাসী।
টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটক নাদের আহমদ বলেন, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হাওরের জীববৈচিত্র্যকে টিকিয়ে রাখতে পারে। না হলে হুমকির মুখে পড়বে জীবন ও প্রকৃতি।
‘হাওর বাঁচাও আন্দোলনে’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার হাওরকে যখন রামসার সাইট ঘোষণা করা হয়, তখন আমরা খুব আনন্দিত ছিলাম। কিন্তু বর্তমান যে পরিস্থিতি দেখছি, তাতে আমরা বড় হতাশ। এলাকার কিছু জলমহাল ব্যবসায়ীরা বিলে কাঁটা দেওয়ার জন্য গাছ কেটে নিচ্ছে।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ছোট-বড় ১০৯টি বিল নিয়ে অবস্থিত টাঙ্গুয়ার হাওর। এর মধ্যে বড় বিল রয়েছে ৫৪টি। এই হাওরে রয়েছে ১৫০ প্রজাতির গাছ, ২০৮ প্রজাতির পাখি, ১৪১ প্রজাতির মৎস্য ও বন্য প্রাণীর বিপুল সমাহার। ১৯৯৯ সালে টাঙ্গুয়ার হাওরকে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ চিহ্নিত করা হয়। ২০০০ সালের ২০ জানুয়ারি এই হাওরকে ‘রামসার সাইট’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
জলমহালে কাঁটা দেওয়ার জন্য টাঙ্গুয়ার থেকে গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘এ রকম অভিযোগ আমিও পেয়েছি। আমি তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলেছি যেন এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর। এখানকার জীববৈচিত্র্য প্রকৃতপ্রেমীদের কাছে টানে। অসাধু ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা অবাধে হিজল ও করচগাছ কাটায় সেই জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে।
এদিকে হাওর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি আনসার ক্যাম্প এবং জেলা প্রশাসনের একজন সহকারী কমিশনার (ম্যাজিস্ট্রেট) রয়েছেন। তারপরও কমছে না গাছ কাটার প্রতিযোগিতা।
বিশ্বের ১ হাজার ৩১তম রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওর। বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম রামসার সাইট হিসেবে খ্যাত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ১২ হাজার ৬৫৬ হেক্টর ভূমি নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরের অবস্থান। জেলার সীমান্তবর্তী তাহিরপুর ও ধর্মপাশা—এ দুই উপজেলা মিলিয়ে রয়েছে টাঙ্গুয়ার হাওর। স্থানীয়ভাবে বলা হয় ‘ছয় কুড়ি বিল আর নয় কুড়ি কান্দা’—এ নিয়ে টাঙ্গুয়ার পাড়ের মানুষের জীবন বান্দা। কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলাভূমির জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাদার ফিশারিজ খ্যাত হাওর থেকে হিজল-করচ বন উজাড় হচ্ছে। কিছু অসাধু লোক হাওরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হিজল ও করচগাছ কেটে নিচ্ছে। ফলে ওই এলাকা গাছশূন্য হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
কথা হয় হাওর পাড়ের বাসিন্দা আব্বাস হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, এলাকার কিছু মানুষ জলমহালে কাঁটা হিসেবে ব্যবহারের জন্য গাছের ডালপালা কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
মিলন আহমদ বলেন, দিন দিন মানবসৃষ্ট ‘নৃশংসতা’র কবলে পড়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়াসহ জীববৈচিত্র্য হারাচ্ছে টাঙ্গুয়ার হাওর। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিযায়ী পাখি আর আসবে না। সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়বে এলাকাবাসী।
টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটক নাদের আহমদ বলেন, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হাওরের জীববৈচিত্র্যকে টিকিয়ে রাখতে পারে। না হলে হুমকির মুখে পড়বে জীবন ও প্রকৃতি।
‘হাওর বাঁচাও আন্দোলনে’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার হাওরকে যখন রামসার সাইট ঘোষণা করা হয়, তখন আমরা খুব আনন্দিত ছিলাম। কিন্তু বর্তমান যে পরিস্থিতি দেখছি, তাতে আমরা বড় হতাশ। এলাকার কিছু জলমহাল ব্যবসায়ীরা বিলে কাঁটা দেওয়ার জন্য গাছ কেটে নিচ্ছে।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ছোট-বড় ১০৯টি বিল নিয়ে অবস্থিত টাঙ্গুয়ার হাওর। এর মধ্যে বড় বিল রয়েছে ৫৪টি। এই হাওরে রয়েছে ১৫০ প্রজাতির গাছ, ২০৮ প্রজাতির পাখি, ১৪১ প্রজাতির মৎস্য ও বন্য প্রাণীর বিপুল সমাহার। ১৯৯৯ সালে টাঙ্গুয়ার হাওরকে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ চিহ্নিত করা হয়। ২০০০ সালের ২০ জানুয়ারি এই হাওরকে ‘রামসার সাইট’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
জলমহালে কাঁটা দেওয়ার জন্য টাঙ্গুয়ার থেকে গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘এ রকম অভিযোগ আমিও পেয়েছি। আমি তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলেছি যেন এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪