ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধি
ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম মেহেশপুর। সদর থেকে গ্রামটির দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। ওই গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে মহেশপুর বাজারে ২০০১ সালে গড়ে তোলা হয় ‘মহেশপুর বাজার কমিউনিটি ক্লিনিক’।
তৈরির পর থেকে ক্লিনিকটি ভালোই চলছিল। কিন্তু গত ৫ বছর ধরে এটি বেহাল হয়ে রয়েছে। প্রায় দুই বছর ক্লিনিকের সামনে টিন দিয়ে একটি খুপরি ছাপরা ঘর উত্তোলন করে নামেমাত্র চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার ৫২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের বেশির ভাগই বেহাল। সেবা নিতে আসা রোগীদের ২৭ থেকে ৩০ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করার কথা থাকলেও ৩ থেকে ৪ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা হয়।
প্রতিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি), স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী (এফডব্লিউএ) থাকার কথা। তবে বেশির ভাগ ক্লিনিকেই সিএইচসিপিরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই দিন আসেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বেশ কয়েক দিন গিয়ে দেখা গেছে, নয়ানবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক, মহেশপুর বাজার কমিউনিটি, রঘুনাথপুর কমিউনিটি, তেলিগ্রাম কমিউনিটি ক্লিনিক ও বাবুগঞ্জ বাজার কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রয়েছে। বাবুগঞ্জ বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে বালু, ইট, সুরকি দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
মহেশপুর বাজারে কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রবেশ মুখে বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে। জমে রয়েছে দুর্গন্ধময় পানি। চারদিকে ঝোপ-ঝাড়। কমিউনিটি হাসপাতালের সামনের উত্তর পাশের জানালা সংলগ্ন খোলা জায়গায় মলমূত্র দেখা গেছে। ভেতরে ময়লা আবর্জনায় ভরা। ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ছাদে ও দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল। দরজা, জানালাগুলো ভাঙা, ফ্লোর স্যাতসেঁতে, রয়েছে মশার উপদ্রব। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনো বালাই নেই। মনে হয় ক্লিনিক নিজেই রোগী।
এ বিষয়ে সিএইচসিপি নাজমুল কবীর বলেন, সংস্কারের অভাবে ক্লিনিকটি ব্যবহারে সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে একাধিক রোগী আহত হয়েছেন। পলেস্তারা যেন মাথায় না পড়ে সেজন্য পলিথিন দিয়ে রাখা হয়েছে ছাদের নিচে। ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হচ্ছে। এসব সংস্কারের জন্য একাধিকবার ইউএইচও স্যারকে বলা হয়েছে।
রঘুনাথপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপির দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি এক বছর ক্লিনিকে আসেন না।
বাবুগঞ্জ বাজার কমিউনিটি হাসপাতালে সেবা নিতে এসেছেন বিষ্ণুরামপুর গ্রামের আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, চার থেকে পাঁচ মাস পরে পরে কৃমিনাশক ট্যাবলেট নিতে গেলে বলে নাই, শেষ হয়ে গেছে। এ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল বারেক বলেন, ‘পদাধিকার বলে আমি এই হাসপাতালের সভাপতি, কিন্তু আমাকে কখনও ডাকা হয় না।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিধান চন্দ্র দেবনাথ বলেন, মহেশপুর বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকসহ ঝুঁকিপূর্ণ ১০ থেকে ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সিএইচসিপিরা অনেকেই তাঁদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম মেহেশপুর। সদর থেকে গ্রামটির দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। ওই গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে মহেশপুর বাজারে ২০০১ সালে গড়ে তোলা হয় ‘মহেশপুর বাজার কমিউনিটি ক্লিনিক’।
তৈরির পর থেকে ক্লিনিকটি ভালোই চলছিল। কিন্তু গত ৫ বছর ধরে এটি বেহাল হয়ে রয়েছে। প্রায় দুই বছর ক্লিনিকের সামনে টিন দিয়ে একটি খুপরি ছাপরা ঘর উত্তোলন করে নামেমাত্র চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার ৫২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের বেশির ভাগই বেহাল। সেবা নিতে আসা রোগীদের ২৭ থেকে ৩০ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করার কথা থাকলেও ৩ থেকে ৪ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা হয়।
প্রতিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি), স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী (এফডব্লিউএ) থাকার কথা। তবে বেশির ভাগ ক্লিনিকেই সিএইচসিপিরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই দিন আসেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বেশ কয়েক দিন গিয়ে দেখা গেছে, নয়ানবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক, মহেশপুর বাজার কমিউনিটি, রঘুনাথপুর কমিউনিটি, তেলিগ্রাম কমিউনিটি ক্লিনিক ও বাবুগঞ্জ বাজার কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রয়েছে। বাবুগঞ্জ বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে বালু, ইট, সুরকি দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
মহেশপুর বাজারে কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রবেশ মুখে বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে। জমে রয়েছে দুর্গন্ধময় পানি। চারদিকে ঝোপ-ঝাড়। কমিউনিটি হাসপাতালের সামনের উত্তর পাশের জানালা সংলগ্ন খোলা জায়গায় মলমূত্র দেখা গেছে। ভেতরে ময়লা আবর্জনায় ভরা। ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ছাদে ও দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল। দরজা, জানালাগুলো ভাঙা, ফ্লোর স্যাতসেঁতে, রয়েছে মশার উপদ্রব। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনো বালাই নেই। মনে হয় ক্লিনিক নিজেই রোগী।
এ বিষয়ে সিএইচসিপি নাজমুল কবীর বলেন, সংস্কারের অভাবে ক্লিনিকটি ব্যবহারে সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে একাধিক রোগী আহত হয়েছেন। পলেস্তারা যেন মাথায় না পড়ে সেজন্য পলিথিন দিয়ে রাখা হয়েছে ছাদের নিচে। ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হচ্ছে। এসব সংস্কারের জন্য একাধিকবার ইউএইচও স্যারকে বলা হয়েছে।
রঘুনাথপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপির দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি এক বছর ক্লিনিকে আসেন না।
বাবুগঞ্জ বাজার কমিউনিটি হাসপাতালে সেবা নিতে এসেছেন বিষ্ণুরামপুর গ্রামের আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, চার থেকে পাঁচ মাস পরে পরে কৃমিনাশক ট্যাবলেট নিতে গেলে বলে নাই, শেষ হয়ে গেছে। এ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল বারেক বলেন, ‘পদাধিকার বলে আমি এই হাসপাতালের সভাপতি, কিন্তু আমাকে কখনও ডাকা হয় না।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিধান চন্দ্র দেবনাথ বলেন, মহেশপুর বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকসহ ঝুঁকিপূর্ণ ১০ থেকে ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সিএইচসিপিরা অনেকেই তাঁদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪