Ajker Patrika

কাপ্তাই হ্রদে পানি কমেছে আটকে যাচ্ছে নৌকা

জুরাছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ০৯: ৩৫
Thumbnail image

কাপ্তাই হ্রদে অস্বাভাবিক মাত্রায় পানি কমে যাওয়ায় রাঙামাটি জেলা শহরের সঙ্গে জুরাছড়ি উপজেলার নৌযান চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এতে করে যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন উপজেলার বাসিন্দারা। এ কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের। সম্প্রতি তীব্র দাবদাহ ও হ্রদের তলদেশ ভরাট হওয়ায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হ্রদ ভরাট হয়ে যাওয়ায় যাতায়াতব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। হ্রদটি এখন ধীরে ধীরে সক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। দীর্ঘদিন ধরে খনন না হওয়ায় তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে জেগে উঠছে অসংখ্য চর। এ কারণে প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমের লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

জানা গেছে, রাঙামাটি জেলা সদরের সঙ্গে জুরাছড়ি একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম নৌপথ। এ অঞ্চলের মানুষকে প্রতিনিয়ত নৌপথে যাতায়াত করতে হয়। খাগড়াছড়ি খাল, সলক নদী কাপ্তাই হ্রদের সঙ্গে যুক্ত। এসব নদীর বয়ে আনা পলিতে ভরাট হচ্ছে হ্রদের তলদেশ। এ কারণে মাছের অভয়াশ্রম কমে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে গভীর পানির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি চাকমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হ্রদে ৭৫ প্রজাতির মাছের মধ্যে ৬৭টি দেশীয় ও ৮টি বিদেশি মাছ পাওয়া যেত। এর মধ্যে ৬ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আরও ৬টি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। জেলেদের জালে এখন মাত্র ১০ থেকে ১৫ প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে।

মৃনাল কান্তি চাকমা আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদ খনন করা না হলে মাছের উৎপাদন আরও কমে আসবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, রাস্তা মাথা থেকে ভিজাকিসিং বার্মিজ বোটে একজন ৮০ টাকা ও ভিজাকিসিং হতে রাঙামাটি ৭০ টাকা হারে ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অথচ আগে যেখানে ৮০ টাকায় রাঙামাটি যাওয়া যেত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, তীব্র দাবদাহে কাপ্তাই হ্রদের পানি ক্রমেই শুকিয়ে যাচ্ছে। পলি জমে তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যাওয়া-আসা এখন খুবই কষ্ট কর।

উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলার ছলক খাল খনন করার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে উদ্যোগ নিয়েছিল। ইতিমধ্যে সমীক্ষাও করা হয়েছে। তবে কেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের ড্রেজিং কাজ শুরু করছে না তা জানা নেই। বিষয়টি উদ্বেগজনক। তিনি আরও বলেন, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে হ্রদটি খননে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত