বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
বাগানে সারি সারি আম গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। আর সেই মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের ডালপালা। বাতাসে মিশে ছড়াচ্ছে ম ম ঘ্রাণ। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা জানাচ্ছে আমের মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা আম বাগান মালিকদের। ছোট ও মাঝারি আকারের আম গাছে বেশি মুকুল দেখা দিয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এবার আগাম মুকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুলগুলো নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আম গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের সমারোহ। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। আম চাষি ও বাগান মালিকেরা বাগান পরিচর্চায় ব্যস্ত। অবশ্য গাছে মুকুল আশার আগে থেকেই গাছের পরিচর্চা করে আসছেন তারা। যাতে করে গাছে মুকুল বা গুটি বাঁধার সময় কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়। এ জেলায় খিড়সা, মোহনা, রাজভোগ, বারি-৪, গোপালভোগসহ অন্যান্য জাতের আম চাষের উপযুক্ত হওয়ায় চাষিরা নিজ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চারা সংগ্রহ করে আমের বাগান করেছেন। জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমের চাষ হয় কলমাকান্দা, পূর্বধলা, বারহাট্টা ও মোহনগঞ্জ উপজেলায়।
বারহাট্টা উপজেলার সিংধা গ্রামের আম চাষি নির্মল জানান, পুরোপুরিভাবে এখনো সবগাছে মুকুল আসেনি। আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সব গাছেই মুকুল আসবে। ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ কম থাকায় এবার কাঙ্ক্ষিত ফলনের আশা করছেন চাষিরা। আর ধীরে ধীরে জেলাজুড়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে আমের বাগান। উৎপাদিত আম মানসম্মত হওয়ায় চাহিদাও বাড়বে অনেক।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ব্রাহ্মণজাত গ্রামের কৃষক আনোয়ার জাহিদ। তিন বছর আগে শুরু করেন ফলের চাষ। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে তাদের বাগানে লাগানো আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। বেশির ভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। কিছু গাছে মুকুল বের হচ্ছে। এক বছর পর কাটা প্রতি দেড় লাখ টাকা আয় হয় তার। পাশাপাশি শুরু করেন, আম, কূল, লেবুসহ ১৬৮ জাতের ফলের আবাদ। ফলের আবাদ করেই তিনি বদলেছেন ভাগ্য। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এ অবস্থা থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বারহাট্টা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাকিবুল হাসান জানান, ‘বারহাট্টা উপজেলায় বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের উৎপাদন বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার গাছে খুব একটা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন নেই। তবে ছাত্রাকজনিত রোগেও আমের মুকুল-ফুলগুটি আক্রান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ম্যানকোজেট গ্রুপের ছাত্রাকনাশক দুই গ্রাম অথবা ইমাডোক্লোরিড গ্রুপের দানাদার প্রতি লিটার পানিতে দশমিক দুই গ্রাম, তরল দশমিক ২৫ মিলিলিটার ও সাইপারম্যাক্রিন গ্রুপের কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে এক মিলিমিটার মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ এফএম মোবারক আলী বলেন, ‘এবার আগাম মুকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুলগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নেই। আমের মুকুলের পরিচর্যায় ছত্রাকনাশক বালাইনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গত মৌসুমে আমের বাজার ভালো থাকায় লাভবান হয়েছিলেন চাষিরা। গত বছরের চেয়ে এ বছর আম বাগান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জেলার বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। তবে বাণিজ্যিকভাবে এখনো আম চাষ শুরু হয়নি এ জেলায়। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হবে বলে ধারণা করছেন তিনি।
বাগানে সারি সারি আম গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। আর সেই মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের ডালপালা। বাতাসে মিশে ছড়াচ্ছে ম ম ঘ্রাণ। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা জানাচ্ছে আমের মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা আম বাগান মালিকদের। ছোট ও মাঝারি আকারের আম গাছে বেশি মুকুল দেখা দিয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এবার আগাম মুকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুলগুলো নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আম গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের সমারোহ। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। আম চাষি ও বাগান মালিকেরা বাগান পরিচর্চায় ব্যস্ত। অবশ্য গাছে মুকুল আশার আগে থেকেই গাছের পরিচর্চা করে আসছেন তারা। যাতে করে গাছে মুকুল বা গুটি বাঁধার সময় কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়। এ জেলায় খিড়সা, মোহনা, রাজভোগ, বারি-৪, গোপালভোগসহ অন্যান্য জাতের আম চাষের উপযুক্ত হওয়ায় চাষিরা নিজ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চারা সংগ্রহ করে আমের বাগান করেছেন। জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমের চাষ হয় কলমাকান্দা, পূর্বধলা, বারহাট্টা ও মোহনগঞ্জ উপজেলায়।
বারহাট্টা উপজেলার সিংধা গ্রামের আম চাষি নির্মল জানান, পুরোপুরিভাবে এখনো সবগাছে মুকুল আসেনি। আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সব গাছেই মুকুল আসবে। ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ কম থাকায় এবার কাঙ্ক্ষিত ফলনের আশা করছেন চাষিরা। আর ধীরে ধীরে জেলাজুড়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে আমের বাগান। উৎপাদিত আম মানসম্মত হওয়ায় চাহিদাও বাড়বে অনেক।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ব্রাহ্মণজাত গ্রামের কৃষক আনোয়ার জাহিদ। তিন বছর আগে শুরু করেন ফলের চাষ। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে তাদের বাগানে লাগানো আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। বেশির ভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। কিছু গাছে মুকুল বের হচ্ছে। এক বছর পর কাটা প্রতি দেড় লাখ টাকা আয় হয় তার। পাশাপাশি শুরু করেন, আম, কূল, লেবুসহ ১৬৮ জাতের ফলের আবাদ। ফলের আবাদ করেই তিনি বদলেছেন ভাগ্য। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এ অবস্থা থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বারহাট্টা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাকিবুল হাসান জানান, ‘বারহাট্টা উপজেলায় বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের উৎপাদন বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার গাছে খুব একটা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন নেই। তবে ছাত্রাকজনিত রোগেও আমের মুকুল-ফুলগুটি আক্রান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ম্যানকোজেট গ্রুপের ছাত্রাকনাশক দুই গ্রাম অথবা ইমাডোক্লোরিড গ্রুপের দানাদার প্রতি লিটার পানিতে দশমিক দুই গ্রাম, তরল দশমিক ২৫ মিলিলিটার ও সাইপারম্যাক্রিন গ্রুপের কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে এক মিলিমিটার মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ এফএম মোবারক আলী বলেন, ‘এবার আগাম মুকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুলগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নেই। আমের মুকুলের পরিচর্যায় ছত্রাকনাশক বালাইনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গত মৌসুমে আমের বাজার ভালো থাকায় লাভবান হয়েছিলেন চাষিরা। গত বছরের চেয়ে এ বছর আম বাগান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জেলার বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। তবে বাণিজ্যিকভাবে এখনো আম চাষ শুরু হয়নি এ জেলায়। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হবে বলে ধারণা করছেন তিনি।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৮ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫