Ajker Patrika

আবর্জনায় অতিষ্ঠ শেকৃবির শিক্ষার্থীরা

আরাফাত রহমান অভি, শেকৃবি
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯: ২৪
আবর্জনায় অতিষ্ঠ শেকৃবির শিক্ষার্থীরা

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ক্যাম্পাসে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সেকেন্ডারি ডাম্পিং ট্রান্সফার স্টেশন তৈরি করা হলেও তা অব্যবহৃত রয়েছে। এদিকে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় যত্রতত্র তা ফেলা হচ্ছে। এতে ক্যাম্পাসে ৩০টির বেশি স্থানে ভাগাড় তৈরি হয়েছে। জমে থাকা ময়লার কারণে ক্যাম্পাসের মাটির উর্বরতা শক্তি যেমন কমছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।

সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় গত মে মাসে ক্যাম্পাসে একটি সেকেন্ডারি ডাম্পিং ট্রান্সফার স্টেশন স্থাপন করা হয়। তবে ডিপিডিসির আপত্তির জন্য স্টেশনটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ডিপিডিসির শেরেবাংলা নগর উপকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানায়, সাধারণত ডাম্পিং স্টেশনের আশপাশে পাখি উড়ে বেড়ায়। এতে উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে তারা এই ডাম্পিং স্টেশন ব্যবহারে আপত্তি জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী মনির হোসেন বলেন, ডিপিডিসির অনুমতি নিয়েই ডাম্পিং স্টেশনটি নির্মাণ করা হয়েছে। সে সময় তারা কোনো আপত্তি করেনি। তা ছাড়া ডিপিডিসির লাইন মাটির নিচে রয়েছে। ফলে যে অভিযোগের ভিত্তিতে তারা আপত্তি করছে তা ভিত্তিহীন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুটি ডাস্টবিন ছাড়া পুরো ক্যাম্পাসের কোথাও কোনো ডাস্টবিন চোখে পড়েনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হল, শেরেবাংলা হল, শিক্ষকদের ব্যাচেলর ভবন, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনসহ ক্যাম্পাসের যত্রতত্র বর্জ্যের স্তূপ দেখা গেছে।

বর্জ্য অব্যবস্থাপনার ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বনায়ন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন বলেন, যত্রতত্র ময়লা ফেলায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মাটির উর্বরতা শক্তি কমছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ হুমায়ূন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত