Ajker Patrika

বদলে যাওয়া নিটোল জনপদ পূর্বচরবাটা

মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, সুবর্ণচর (নোয়াখালী)
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ৫৭
Thumbnail image

হাজার বছরের গল্প। মেঘনার উপকূলে তিলে তিলে গড়ে ওঠে এক নিটোল জনপদ। সমুদ্রপাড়ের অনিন্দ্যসুন্দর নোয়াখালী শহরের দক্ষিণে এর অবস্থান। উত্তাল সাগরের মাঝে বিশাল এ প্রান্তর ২০০ বছর ধরে ভাঙাগড়ার খেলায় মত্ত ছিল। একদিন সত্যি সত্যি জায়গাটি হারিয়েও গেল। প্রকৃতির লীলাখেলায় সেখানেই ফের জেগে ওঠে বিস্তীর্ণ চর। কালের বিবর্তনে এর নাম হয়েছে পূর্বচরবাটা। কাগজে-কলমে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় পড়েছে গ্রামটি।

এখানকার সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রাম করেন। শিক্ষার বিকাশ একসময় অলীক স্বপ্নই ছিল। ছিল না নাগরিক সুবিধার কোনো কিছুই। বিশাল প্রান্তরজুড়ে বাসা বেঁধেছিল অদ্ভুত এক আঁধার। সেই আঁধারের পরই যেন সোনালি সকালের দেখা মিলল। গত ৩০ বছরে বদলে গেছে এখানকার জীবনমান।

স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানান, এ গ্রামেরই সন্তান সরকারের সাবেক সচিব এ টি এম আতাউর রহমান গ্রামের এমন পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। নিজের পৈতৃক সম্পত্তি দান করে গ্রামে স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। গ্রামে এখন বাড়ি বাড়ি শিক্ষিত ছেলে-মেয়ে।

১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় চরবাটা হাবিবিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রথমে একটি টিনশেড ঘরে এর কার্যক্রম শুরু হলেও এখন পাকা ভবনে পাঠদান চলছে। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘পূর্বচরবাটা জুনিয়র হাইস্কুল’। ১৯৯৯ সালে মেলে মাধ্যমিকের স্বীকৃতি, ২০০২ সালে লাভ করে এমপিওভুক্তি। ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীন উচ্চমাধ্যমিকের মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি (বিএম) শাখায় কম্পিউটার অপারেশন ও সেক্রেটারিয়েল সায়েন্সে ছাত্রছাত্রী ভর্তির অনুমতি পায়। ২০০০ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভকেশনাল শাখা চালু করা হয় প্রতিষ্ঠানটিতে।

এসবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ টি এম আতাউর রহমান বলেন, ‘আমি আমার জায়গা থেকে উজাড় করে সব দিয়েছি। এখন নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব এগুলো এগিয়ে নেওয়ার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত