চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৫-৩৫ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গার অভাবে মেঝে এবং বারান্দায় রেখে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত তিন দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছে ৯৭ জন নারী-পুরুষ ও শিশু। এদের মধ্যে ৭ মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সের শিশুর সংখ্যাই বেশি। এদিকে, আবহাওয়ার পরিবর্তন, অতিরিক্ত গরম, অপরিচ্ছন্ন খোলা খাবার গ্রহণ এবং দূষিত পানীয় পান করাই হঠাৎ ডায়রিয়া বাড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন থেকে হঠাৎ করে সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন দিনে সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ৯৭ জন নারী-পুরুষ ও শিশু। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা ৪৩ জন, ৩০ জন নারী ও ২৪ জন পুরুষ। এ ছাড়া প্রতিদিন হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও বর্হি বিভাগে শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু চিকিৎসা গ্রহণ করছে। এদিকে, হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়া ডায়রিয়া রোগীর চাপে ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের ঠাঁই হয়েছে ওয়ার্ডের বারান্দায়। এ অবস্থায় চিকিৎসা দিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন নার্স, চিকিৎসক এবং কর্মচারীরা।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হোসেন নামের ৮ মাসের শিশুপুত্রকে নিয়ে সদর হাসপাতালে আসেন সালমা বেগম। তিনি জানান, গত শনিবার রাত থেকে হোসেন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়। শিশুটিকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিলে তিনি হাসপাতালের ভর্তি রাখার পরামর্শ দেন। সেদিনই শিশুটিকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। গতকাল সোমবার পর্যন্ত শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটিকে আরও একদিন ভর্তি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
সুস্থতার ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দেড় বছর বয়সী শিশু আয়েশার মা-বাবা। তাঁরা জানান, গত শুক্রবার ভোর থেকে তাদের মেয়ে হঠাৎ করে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়। খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর পরেও সুস্থ না হওয়ায় ওই দিন দুপুরেই শিশুটিকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এ সময় চিকিৎসক আয়েশাকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রাখেন।
শিশু আয়েশার মা-বাবা আরও জানান, ভর্তির সময় হাসপাতাল থেকে ওষুধ পেলেও তিন দিনে বেশ কিছু ওষুধ বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে আনতে হয়েছে। ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বেশি থাকায় শিশুটিকে নিয়ে বারান্দাতেই অবস্থান করেছেন। তবে কিছুটা সুস্থ হওয়ায় গতকাল সকালে আয়েশাকে চিকিৎসক ছাড়পত্র দিয়েছেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সরা বলছেন, গত কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই ৩০ জনের কমবেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। তবে প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে নারী ও পুরুষ রোগীরাও ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসা নিয়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। এ সময়ে শিশুদের প্রতি বেশি যত্নশীল থাকতে হবে। শিশুকে মুখে খাবার স্যালাইন বারবার খাওয়ানো ও মায়ের বুকের দুধও খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়া খোলা ও বাসি খাবার পরিহারের পাশাপাশি সব সময় হাত পরিষ্কার রাখারও পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।’
তিনি আরও জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই ২০ থেকে ৩০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। রোগী ভর্তি যেমন হচ্ছে তেমনই প্রতিদিনই রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়িতেও ফিরে যাচ্ছে। রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন হাসপাতালে সরবরাহ রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৫-৩৫ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গার অভাবে মেঝে এবং বারান্দায় রেখে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত তিন দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছে ৯৭ জন নারী-পুরুষ ও শিশু। এদের মধ্যে ৭ মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সের শিশুর সংখ্যাই বেশি। এদিকে, আবহাওয়ার পরিবর্তন, অতিরিক্ত গরম, অপরিচ্ছন্ন খোলা খাবার গ্রহণ এবং দূষিত পানীয় পান করাই হঠাৎ ডায়রিয়া বাড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন থেকে হঠাৎ করে সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন দিনে সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ৯৭ জন নারী-পুরুষ ও শিশু। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা ৪৩ জন, ৩০ জন নারী ও ২৪ জন পুরুষ। এ ছাড়া প্রতিদিন হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও বর্হি বিভাগে শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু চিকিৎসা গ্রহণ করছে। এদিকে, হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়া ডায়রিয়া রোগীর চাপে ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের ঠাঁই হয়েছে ওয়ার্ডের বারান্দায়। এ অবস্থায় চিকিৎসা দিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন নার্স, চিকিৎসক এবং কর্মচারীরা।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হোসেন নামের ৮ মাসের শিশুপুত্রকে নিয়ে সদর হাসপাতালে আসেন সালমা বেগম। তিনি জানান, গত শনিবার রাত থেকে হোসেন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়। শিশুটিকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিলে তিনি হাসপাতালের ভর্তি রাখার পরামর্শ দেন। সেদিনই শিশুটিকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। গতকাল সোমবার পর্যন্ত শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটিকে আরও একদিন ভর্তি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
সুস্থতার ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দেড় বছর বয়সী শিশু আয়েশার মা-বাবা। তাঁরা জানান, গত শুক্রবার ভোর থেকে তাদের মেয়ে হঠাৎ করে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়। খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর পরেও সুস্থ না হওয়ায় ওই দিন দুপুরেই শিশুটিকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এ সময় চিকিৎসক আয়েশাকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রাখেন।
শিশু আয়েশার মা-বাবা আরও জানান, ভর্তির সময় হাসপাতাল থেকে ওষুধ পেলেও তিন দিনে বেশ কিছু ওষুধ বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে আনতে হয়েছে। ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বেশি থাকায় শিশুটিকে নিয়ে বারান্দাতেই অবস্থান করেছেন। তবে কিছুটা সুস্থ হওয়ায় গতকাল সকালে আয়েশাকে চিকিৎসক ছাড়পত্র দিয়েছেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সরা বলছেন, গত কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই ৩০ জনের কমবেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। তবে প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে নারী ও পুরুষ রোগীরাও ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসা নিয়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। এ সময়ে শিশুদের প্রতি বেশি যত্নশীল থাকতে হবে। শিশুকে মুখে খাবার স্যালাইন বারবার খাওয়ানো ও মায়ের বুকের দুধও খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়া খোলা ও বাসি খাবার পরিহারের পাশাপাশি সব সময় হাত পরিষ্কার রাখারও পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।’
তিনি আরও জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই ২০ থেকে ৩০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। রোগী ভর্তি যেমন হচ্ছে তেমনই প্রতিদিনই রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়িতেও ফিরে যাচ্ছে। রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন হাসপাতালে সরবরাহ রয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪