গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে চলে গেলেন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ওস্তাদ রশিদ খান। শাস্ত্রীয় সংগীতের জগতে ওস্তাদ রশিদ খান জনপ্রিয় এক নাম। তিনি বেঙ্গল শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসবে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের শ্রোতাদেরও গান শুনিয়ে মুগ্ধ করেছেন। শিল্পীর মৃত্যুতে সহশিল্পীদের স্মৃতিচারণা নিয়ে এই প্রতিবেদন
ও তো আমার হাতেই তৈরি
—অজয় চক্রবর্তী, সংগীতশিল্পী
আমি এখন কোনো রকম কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। শব্দ হারিয়ে ফেলছি। ও তো আমার হাতেই তৈরি। চলে যাওয়ার বয়স তো এটা নয়। আজ সংগীতজগৎ এক গুণী শিল্পীকে হারাল। রশিদ খান আমার মনে কতটা জায়গা নিয়ে রয়েছে, তার ব্যাখ্যা আমি ভাষায় ব্যক্ত করতে পারব না। প্রথমে অসুস্থতার খবর পেলাম। তারপর শুনলাম, ভালো আছে। পরের দিনই এ রকম একটা দুঃসংবাদ! আমি আশা করিনি।
বাচ্চা ছেলের মতো আমার কাছে এলে কত কী বলত
—হৈমন্তী শুক্লা, সংগীতশিল্পী
আমার সঙ্গে ভীষণ হৃদয়ের সম্পর্ক ছিল। ও অত বড় পণ্ডিত মানুষ, আমিও কখনো ভাবতাম না, ও কখনো বলেনি। আমি যতটুকু গান গাইতাম, ও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে বারবার। খুব ভালোবাসত আমার গান শুনতে। অনেক বাংলা গান শুনেছে। আমার বাবার যে ক্লাসিক্যাল শিক্ষা ছিল, সেটা তাঁকে নাড়া দিয়েছে। কোথাও দেখা হলে বা এক গাড়িতে কোথাও গেলে, কত গল্প হতো। ও পান খেতে খুব ভালোবাসত। আমায় দেখলেই পান বানাতে শুরু করত। সব মনে পড়ছে। আমি কেনা জর্দা খেলে বারণ করত। বলত, দিদি তুমি এগুলো খাবে না। অন্য একটা এনে দিচ্ছি, সেটা খাও। প্রতিবছর ভাইফোঁটা নিতে আসত। শেষ বছর ভাইফোঁটা আর দিতে পারিনি। দুই বছর আগে সেই শেষ। বাচ্চা ছেলের মতো আমার কাছে এলে কত কী বলত। আমি কপালে চুমু খেতাম। কত আদর করতাম। যেখানেই থাকুক ও সুরলোকে থাকুক।
রশিদ খানের ব্যবহার আমাকে থ করে দিয়েছিল
—শিলাজিৎ, সংগীতশিল্পী
এই শতাব্দীর একেবারে গোড়ার দিকে একটা অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। টুকটাক কথা হয়। এর বেশ কিছু বছর পর বিমানবন্দরের লাউঞ্জে আবার দেখা। ধরেই নিয়েছিলাম আমায় চিনতে পারবেন না। তিনি ততক্ষণে আমায় দেখে উঠে দাঁড়িয়েছেন। স্বভাবগতভাবে আমি পণ্ডিত লোকদের এড়িয়ে চলি। কিন্তু রশিদ খানের সেই ব্যবহার আমাকে থ করে দিয়েছিল। জানতে চাইলাম, আপনি আমায় চিনতে পারলেন? জবাবে বললেন, কয়েক বছর আগে আপনার সঙ্গে একই অনুষ্ঠানে গান করলাম, চিনব না কেন? মাঝেমধ্যেই গান শিখতে ইচ্ছা করে আমার। একবার রশিদের বাড়িতে গেলাম। ও আমার থেকে ছোট হলেও পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করি। আমায় গান শেখাতে অনুরোধ করি। তিনি সম্মতিও জানান। তবে সময়ের অভাবে রশিদ খানের কাছে গান শেখার ইচ্ছাটা পূরণ হলো না।
খুব আড্ডাবাজ আর ভালো মানুষ ছিলেন
—বাবুল সুপ্রিয়, সংগীতশিল্পী
১১ তারিখ পর্যন্ত মুম্বাইয়ে শিডিউল কাজ রয়েছে। কাজেই আমি ওকে দেখতে পাব না। খুব খারাপ লাগছে, কারণ, ওর সঙ্গে সম্পর্কটা খুব ব্যক্তিগত ছিল। কদিন আগেও আমরা তার বাড়িতে গিয়ে গান-বাজনা করেছি। খুব মজা করেছি সারা সন্ধ্যা। নিজের হাতে খাবার তৈরি করতে ভালোবাসতেন। কলকাতায় আসার পরে ওর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়েছিল। খুব আড্ডাবাজ আর খুব ভালো মানুষ ছিলেন। কঠিন পরিশ্রমে নিজেকে তৈরি করেছিলেন। আফসোস রয়ে গেল, শরীর খারাপ হওয়ার পরে যদি দেখা করতে পারতাম। হয়তো বড় শিল্পীরা এমনই ক্ষণজন্মা হয়। ওর চলে যাওয়া সংগীতজগতের বিরাট ক্ষতি।
গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে চলে গেলেন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ওস্তাদ রশিদ খান। শাস্ত্রীয় সংগীতের জগতে ওস্তাদ রশিদ খান জনপ্রিয় এক নাম। তিনি বেঙ্গল শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসবে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের শ্রোতাদেরও গান শুনিয়ে মুগ্ধ করেছেন। শিল্পীর মৃত্যুতে সহশিল্পীদের স্মৃতিচারণা নিয়ে এই প্রতিবেদন
ও তো আমার হাতেই তৈরি
—অজয় চক্রবর্তী, সংগীতশিল্পী
আমি এখন কোনো রকম কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। শব্দ হারিয়ে ফেলছি। ও তো আমার হাতেই তৈরি। চলে যাওয়ার বয়স তো এটা নয়। আজ সংগীতজগৎ এক গুণী শিল্পীকে হারাল। রশিদ খান আমার মনে কতটা জায়গা নিয়ে রয়েছে, তার ব্যাখ্যা আমি ভাষায় ব্যক্ত করতে পারব না। প্রথমে অসুস্থতার খবর পেলাম। তারপর শুনলাম, ভালো আছে। পরের দিনই এ রকম একটা দুঃসংবাদ! আমি আশা করিনি।
বাচ্চা ছেলের মতো আমার কাছে এলে কত কী বলত
—হৈমন্তী শুক্লা, সংগীতশিল্পী
আমার সঙ্গে ভীষণ হৃদয়ের সম্পর্ক ছিল। ও অত বড় পণ্ডিত মানুষ, আমিও কখনো ভাবতাম না, ও কখনো বলেনি। আমি যতটুকু গান গাইতাম, ও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে বারবার। খুব ভালোবাসত আমার গান শুনতে। অনেক বাংলা গান শুনেছে। আমার বাবার যে ক্লাসিক্যাল শিক্ষা ছিল, সেটা তাঁকে নাড়া দিয়েছে। কোথাও দেখা হলে বা এক গাড়িতে কোথাও গেলে, কত গল্প হতো। ও পান খেতে খুব ভালোবাসত। আমায় দেখলেই পান বানাতে শুরু করত। সব মনে পড়ছে। আমি কেনা জর্দা খেলে বারণ করত। বলত, দিদি তুমি এগুলো খাবে না। অন্য একটা এনে দিচ্ছি, সেটা খাও। প্রতিবছর ভাইফোঁটা নিতে আসত। শেষ বছর ভাইফোঁটা আর দিতে পারিনি। দুই বছর আগে সেই শেষ। বাচ্চা ছেলের মতো আমার কাছে এলে কত কী বলত। আমি কপালে চুমু খেতাম। কত আদর করতাম। যেখানেই থাকুক ও সুরলোকে থাকুক।
রশিদ খানের ব্যবহার আমাকে থ করে দিয়েছিল
—শিলাজিৎ, সংগীতশিল্পী
এই শতাব্দীর একেবারে গোড়ার দিকে একটা অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। টুকটাক কথা হয়। এর বেশ কিছু বছর পর বিমানবন্দরের লাউঞ্জে আবার দেখা। ধরেই নিয়েছিলাম আমায় চিনতে পারবেন না। তিনি ততক্ষণে আমায় দেখে উঠে দাঁড়িয়েছেন। স্বভাবগতভাবে আমি পণ্ডিত লোকদের এড়িয়ে চলি। কিন্তু রশিদ খানের সেই ব্যবহার আমাকে থ করে দিয়েছিল। জানতে চাইলাম, আপনি আমায় চিনতে পারলেন? জবাবে বললেন, কয়েক বছর আগে আপনার সঙ্গে একই অনুষ্ঠানে গান করলাম, চিনব না কেন? মাঝেমধ্যেই গান শিখতে ইচ্ছা করে আমার। একবার রশিদের বাড়িতে গেলাম। ও আমার থেকে ছোট হলেও পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করি। আমায় গান শেখাতে অনুরোধ করি। তিনি সম্মতিও জানান। তবে সময়ের অভাবে রশিদ খানের কাছে গান শেখার ইচ্ছাটা পূরণ হলো না।
খুব আড্ডাবাজ আর ভালো মানুষ ছিলেন
—বাবুল সুপ্রিয়, সংগীতশিল্পী
১১ তারিখ পর্যন্ত মুম্বাইয়ে শিডিউল কাজ রয়েছে। কাজেই আমি ওকে দেখতে পাব না। খুব খারাপ লাগছে, কারণ, ওর সঙ্গে সম্পর্কটা খুব ব্যক্তিগত ছিল। কদিন আগেও আমরা তার বাড়িতে গিয়ে গান-বাজনা করেছি। খুব মজা করেছি সারা সন্ধ্যা। নিজের হাতে খাবার তৈরি করতে ভালোবাসতেন। কলকাতায় আসার পরে ওর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়েছিল। খুব আড্ডাবাজ আর খুব ভালো মানুষ ছিলেন। কঠিন পরিশ্রমে নিজেকে তৈরি করেছিলেন। আফসোস রয়ে গেল, শরীর খারাপ হওয়ার পরে যদি দেখা করতে পারতাম। হয়তো বড় শিল্পীরা এমনই ক্ষণজন্মা হয়। ওর চলে যাওয়া সংগীতজগতের বিরাট ক্ষতি।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫