মহিউদ্দিন খান মোহন

মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত একুশে বইমেলা আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে অনুষ্ঠিত এই বইমেলা লেখক, প্রকাশক ও পাঠকের মিলনমেলায় রূপ নেয়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শোকাবহ স্মৃতি স্মরণে এই মেলার প্রচলন শুরু হলেও এখন তা এক ‘উৎসবে’ রূপ নিয়েছে।
প্রকাশকেরা এই মেলা সামনে রেখে বই প্রকাশ করেন, লেখকেরাও বছর ধরে প্রস্তুতি নেন মেলায় নতুন বই বাজারে আনার। প্রতিবছর তিন-চার হাজার নতুন বই প্রকাশিত হয় এই মেলা উপলক্ষে। এই এক মাসে যত বই প্রকাশিত হয়, সারা বছর এর এক-দশমাংশ হয় কি না, সন্দেহ। তবে সেই সব বইয়ের কত শতাংশ মানসম্পন্ন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রতিবছরই নতুন নতুন লেখকের আবির্ভাব হয় এই মেলা মৌসুমে। তবে নতুন কয়েক শ লেখকের আগমন হলেও অধিকাংশই একটি বা দুটি বই প্রকাশের পর কালের অতলগহ্বরে হারিয়ে যান।
শোনা যায়, ‘নাম কেনা’র জন্য অনেকে বই লিখে প্রকাশকদের টাকা দিয়ে তা প্রকাশ করে থাকেন। একশ্রেণির প্রকাশকও লোকসানের ঝুঁকি না থাকায় সাগ্রহে সেসব বই প্রকাশ করে থাকেন। আর কথিত লেখক টাকার বিপরীতে প্রকাশকপ্রদত্ত নির্দিষ্ট পরিমাণ বই নিয়ে বন্ধু-স্বজনদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণ করে ‘লেখক’ হিসেবে পরিচিতি অর্জন করে আত্মপ্রসাদ লাভ করেন। অনেকে এই প্রবণতাকে সাহিত্য ও প্রকাশনা জগতে অবক্ষয়ের ধারা বলে অভিহিত করে থাকেন। সমাজের সর্বত্র যখন অবক্ষয়ের রাজত্ব, তখন সাহিত্য ও প্রকাশনা জগৎ এর বাইরে থাকবে কেন?
আমরা চলতি ভাষায় যাকে ‘একুশে বইমেলা’ বলি, তার দাপ্তরিক নাম ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। স্বাধীনতার পরপরই এই মেলার প্রচলন শুরু। এ বিষয়ে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত জালাল ফিরোজের ‘অমর একুশে বইমেলার ইতিহাস’ গবেষণাগ্রন্থে বলা হয়েছে, ‘১৯৭২ সাল থেকে বাংলা একাডেমি তার নিজস্ব প্রকাশনা একুশ উপলক্ষে হ্রাসকৃত মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল।
১৯৭৪ সালে একুশ উপলক্ষে একাডেমিতে জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে একাডেমির বই প্রদর্শিত হয়। ১৯৭৫ সালে অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে অস্থায়ী ভিত্তিতে একাডেমির গেটের কাছে খোলা আকাশের নিচে একুশ উপলক্ষে মুক্তধারা একাডেমির কাছে বই বিক্রির অনুমতি চায়।
একাডেমি অনানুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি প্রদান করে। ১৯৭৬ সালে মুক্তধারা, আহমদ পাবলিশিং হাউস, নওরোজ, চলন্তিকা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান অনুরূপভাবে বই বিক্রি করে এবং এ ব্যবস্থা অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবেই একাডেমির প্রকাশন মুদ্রণ বিক্রয় বিভাগের তত্ত্বাবধানে চলছিল।
১৯৭৮ সালে একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকীর নির্দেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে একাডেমির প্রকাশনা, মুদ্রণ ও বিক্রয় বিভাগ একুশ উপলক্ষে গ্রন্থমেলার আয়োজন করে। ১৯৭৯ সালে একাডেমির উদ্যোগে আনুষ্ঠানিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহযোগিতায় অনুমোদিত ব্যবস্থা হিসেবে একাডেমির প্রাঙ্গণে পূর্ণাঙ্গ ২১-এর গ্রন্থমেলা শুরু হয়। ১৯৮৫তে (মতান্তরে ১৯৮৪) গ্রন্থমেলার নামকরণ করা হয় “অমর একুশে গ্রন্থমেলা”।’ (পৃষ্ঠা: ৫১)
গ্রন্থমেলা বলি আর বইমেলা বলি, এর ব্যঞ্জনা একই। এই বইমেলা বাংলাদেশের সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশের সবচেয়ে বড় মৌসুম। শুরুতে বইমেলার পরিসর ছোট ছিল। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেই ছিল এর বিস্তৃতি। বর্ধমান হাউসের পশ্চিম পাশের পুকুরের চারধার ঘিরে বসত বইয়ের স্টল। হাঁটাচলারও প্রশস্ত পথ ছিল। বইমেলাকে কেন্দ্র করে লেখক, প্রকাশক আর বইপ্রেমীদের কলরবে পুরো একাডেমি প্রাঙ্গণ মুখরিত থাকত মাসজুড়ে। আশির দশকে আমরা যখন নবীন যুবক এবং লেখালেখির পোকা যাদের মাথায় বাসা বেঁধেছে, তারা উন্মুখ হয়ে থাকতাম অমর একুশে গ্রন্থমেলার আগমন অপেক্ষায়। বই কেনা এবং লেখকদের সান্নিধ্যে আসাই ছিল পরম কাঙ্ক্ষিত।
সে সময় প্রতিদিন একবার বইমেলায় না গেলে যেন পেটের ভাত হজম হতো না। ১৯৮৩ সাল থেকে পুরো আশির দশক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ ছিল বাংলাদেশ। একুশের বইমেলা সেই আন্দোলনে নতুন শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করেছে। সে সময় একটি স্লোগান খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’। বাস্তবিক অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করার দ্রোহ থেকেই একুশের জন্ম।
আমরা কয়েকজন তরুণ সে সময় ‘প্রতিধ্বনি’ নামে একটি একুশে সংকলন বের করতাম। সম্পাদক ছিলাম আমি, নির্বাহী সম্পাদক বন্ধু সদ্য প্রয়াত মাহমুদ হাদী। অখ্যাত ও নবীন লেখকদের পাশাপাশি কবি শামসুর রাহমান, কবি সিকদার আমিনুল হক, ফারুক মাহমুদ, সমুদ্র গুপ্ত, হেলাল হাফিজ, আবু সালেহ, মুশাররফ করিম, মাশুক চৌধুরী, মাহবুব হাসান, প্রখ্যাত সাংবাদিক সানাউল্লাহ নূরী, সালাহউদ্দিন চৌধুরী, শেখ নূরুল ইসলাম, প্রমুখ বিশিষ্ট কবি ও লেখক সেই সংকলনে লেখা দিয়ে আমাদের কৃতার্থ করেছেন। লেখা সংগ্রহ করতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়েছিল আমার।
অমর একুশে বইমেলা ছিল আমাদের প্রাণের স্পন্দন। আমরা সেই স্পন্দনের স্পর্শ অনুভব করতে মেলায় যেতাম। আগের তুলনায় মেলার পরিসর এখন কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে তা আজ সম্প্রসারিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। স্টলের সংখ্যাও বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বইমেলা যেন তার সেই আকর্ষণ অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে।
রাজনীতি একে গ্রাস করেছে। অভিযোগ রয়েছে দলীয়করণের। সরকারবিরোধী হিসেবে পরিচিত প্রকাশকেরা স্টল বরাদ্দের ক্ষেত্রে হন বৈষম্যের শিকার। এর প্রতিবাদে অভিজাত প্রকাশনী সূচিপত্র কয়েক বছর ধরে মেলায় স্টল নেয় না। ভিন্ন মতাবলম্বী লেখকদের বই প্রদর্শন ও বিক্রয় অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ। অথচ একুশের চেতনা এ কথা বলে না। কিন্তু সেই চেতনা আজ অনেকটাই উপেক্ষিত।
তবে এবার একুশে বইমেলায় যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটল, তাকে ন্যক্কারজনক বললেও কম বলা হয়। অসম বয়সের এক দম্পতিকে কেন্দ্র করে মেলায় আসা তরুণদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মেলার সৌন্দর্য ও ভাবগাম্ভীর্যকে ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। তিশা নামের মেয়েটিকে মুশতাক নামের বৃদ্ধ লোকটির বিয়ে করা ইসলামি শরিয়ত বা দেশের প্রচলিত আইনে নিষিদ্ধ কাজ নয়
। তবে সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে শোভন-অশোভন বলে একটি বিষয় আছে। মুশতাক-তিশার বিয়ে অবৈধ না হলেও সমাজ তা ভালোভাবে নেয়নি। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে নিন্দা-ধিক্কারের ঝড় তুলেছে। এই নিন্দা-ধিক্কারের অগ্নিকুণ্ডে ঘৃতাহুতি দেন মুশতাক-তিশা নিজেরাই। মুশতাক তাঁর বালিকা বধূর নামে লেখা বই নিয়ে মেলায় গিয়ে তোপের মুখে পড়েন তরুণদের। দুই দিন এই দম্পতিকে বিক্ষোভের মুখে মেলা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে বাধ্য করেন তাঁরা।
অপরদিকে করোনাকালে উৎকট দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ও কারাভোগী ডা. সাবরিনা শারমিন তাঁর হাজতবাস সময়ের স্মৃতিচারণামূলক বই নিয়ে মেলায় গিয়ে বাধিয়েছেন আরেক ফ্যাসাদ। নানা কেলেঙ্কারির নায়িকা সাবরিনা বিভিন্ন মিডিয়ায় এখন এমনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন, যেন মহৎ কোনো কাজ করতে গিয়ে তিনি কারাবাসী হয়েছিলেন।
অথচ তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির মামলা বিচারাধীন। কতটা নির্লজ্জ হলে ‘একে চুরি, তার ওপর সিনাজুরি’র মতো একজন অপরাধী বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু করে সদম্ভে চলাফেরা করতে পারে, ভাবলে অবাক হতে হয়। অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ ঠিকই বলেছিলেন, ‘সবকিছু চলে যাবে নষ্টদের দখলে’।
মুশতাক-তিশা আর সাবরিনাদের কায়কারবার সে কথাকে সত্য প্রমাণ করে। হতাশার কথা, নষ্টরা এখন একুশে বইমেলার মতো জাতীয় অহংকারের অঙ্গনকে দখল করতে উদ্যত হয়েছে।
এসব অব্যবস্থা, অরাজকতা, নষ্টামি-ভ্রষ্টামিতে নষ্ট পরিবেশের কারণে আমার বইমেলায় যেতে ইচ্ছে করছে না।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি-বিশ্লেষক

মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত একুশে বইমেলা আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে অনুষ্ঠিত এই বইমেলা লেখক, প্রকাশক ও পাঠকের মিলনমেলায় রূপ নেয়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শোকাবহ স্মৃতি স্মরণে এই মেলার প্রচলন শুরু হলেও এখন তা এক ‘উৎসবে’ রূপ নিয়েছে।
প্রকাশকেরা এই মেলা সামনে রেখে বই প্রকাশ করেন, লেখকেরাও বছর ধরে প্রস্তুতি নেন মেলায় নতুন বই বাজারে আনার। প্রতিবছর তিন-চার হাজার নতুন বই প্রকাশিত হয় এই মেলা উপলক্ষে। এই এক মাসে যত বই প্রকাশিত হয়, সারা বছর এর এক-দশমাংশ হয় কি না, সন্দেহ। তবে সেই সব বইয়ের কত শতাংশ মানসম্পন্ন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রতিবছরই নতুন নতুন লেখকের আবির্ভাব হয় এই মেলা মৌসুমে। তবে নতুন কয়েক শ লেখকের আগমন হলেও অধিকাংশই একটি বা দুটি বই প্রকাশের পর কালের অতলগহ্বরে হারিয়ে যান।
শোনা যায়, ‘নাম কেনা’র জন্য অনেকে বই লিখে প্রকাশকদের টাকা দিয়ে তা প্রকাশ করে থাকেন। একশ্রেণির প্রকাশকও লোকসানের ঝুঁকি না থাকায় সাগ্রহে সেসব বই প্রকাশ করে থাকেন। আর কথিত লেখক টাকার বিপরীতে প্রকাশকপ্রদত্ত নির্দিষ্ট পরিমাণ বই নিয়ে বন্ধু-স্বজনদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণ করে ‘লেখক’ হিসেবে পরিচিতি অর্জন করে আত্মপ্রসাদ লাভ করেন। অনেকে এই প্রবণতাকে সাহিত্য ও প্রকাশনা জগতে অবক্ষয়ের ধারা বলে অভিহিত করে থাকেন। সমাজের সর্বত্র যখন অবক্ষয়ের রাজত্ব, তখন সাহিত্য ও প্রকাশনা জগৎ এর বাইরে থাকবে কেন?
আমরা চলতি ভাষায় যাকে ‘একুশে বইমেলা’ বলি, তার দাপ্তরিক নাম ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। স্বাধীনতার পরপরই এই মেলার প্রচলন শুরু। এ বিষয়ে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত জালাল ফিরোজের ‘অমর একুশে বইমেলার ইতিহাস’ গবেষণাগ্রন্থে বলা হয়েছে, ‘১৯৭২ সাল থেকে বাংলা একাডেমি তার নিজস্ব প্রকাশনা একুশ উপলক্ষে হ্রাসকৃত মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল।
১৯৭৪ সালে একুশ উপলক্ষে একাডেমিতে জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে একাডেমির বই প্রদর্শিত হয়। ১৯৭৫ সালে অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে অস্থায়ী ভিত্তিতে একাডেমির গেটের কাছে খোলা আকাশের নিচে একুশ উপলক্ষে মুক্তধারা একাডেমির কাছে বই বিক্রির অনুমতি চায়।
একাডেমি অনানুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি প্রদান করে। ১৯৭৬ সালে মুক্তধারা, আহমদ পাবলিশিং হাউস, নওরোজ, চলন্তিকা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান অনুরূপভাবে বই বিক্রি করে এবং এ ব্যবস্থা অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবেই একাডেমির প্রকাশন মুদ্রণ বিক্রয় বিভাগের তত্ত্বাবধানে চলছিল।
১৯৭৮ সালে একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকীর নির্দেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে একাডেমির প্রকাশনা, মুদ্রণ ও বিক্রয় বিভাগ একুশ উপলক্ষে গ্রন্থমেলার আয়োজন করে। ১৯৭৯ সালে একাডেমির উদ্যোগে আনুষ্ঠানিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহযোগিতায় অনুমোদিত ব্যবস্থা হিসেবে একাডেমির প্রাঙ্গণে পূর্ণাঙ্গ ২১-এর গ্রন্থমেলা শুরু হয়। ১৯৮৫তে (মতান্তরে ১৯৮৪) গ্রন্থমেলার নামকরণ করা হয় “অমর একুশে গ্রন্থমেলা”।’ (পৃষ্ঠা: ৫১)
গ্রন্থমেলা বলি আর বইমেলা বলি, এর ব্যঞ্জনা একই। এই বইমেলা বাংলাদেশের সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশের সবচেয়ে বড় মৌসুম। শুরুতে বইমেলার পরিসর ছোট ছিল। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেই ছিল এর বিস্তৃতি। বর্ধমান হাউসের পশ্চিম পাশের পুকুরের চারধার ঘিরে বসত বইয়ের স্টল। হাঁটাচলারও প্রশস্ত পথ ছিল। বইমেলাকে কেন্দ্র করে লেখক, প্রকাশক আর বইপ্রেমীদের কলরবে পুরো একাডেমি প্রাঙ্গণ মুখরিত থাকত মাসজুড়ে। আশির দশকে আমরা যখন নবীন যুবক এবং লেখালেখির পোকা যাদের মাথায় বাসা বেঁধেছে, তারা উন্মুখ হয়ে থাকতাম অমর একুশে গ্রন্থমেলার আগমন অপেক্ষায়। বই কেনা এবং লেখকদের সান্নিধ্যে আসাই ছিল পরম কাঙ্ক্ষিত।
সে সময় প্রতিদিন একবার বইমেলায় না গেলে যেন পেটের ভাত হজম হতো না। ১৯৮৩ সাল থেকে পুরো আশির দশক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ ছিল বাংলাদেশ। একুশের বইমেলা সেই আন্দোলনে নতুন শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করেছে। সে সময় একটি স্লোগান খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’। বাস্তবিক অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করার দ্রোহ থেকেই একুশের জন্ম।
আমরা কয়েকজন তরুণ সে সময় ‘প্রতিধ্বনি’ নামে একটি একুশে সংকলন বের করতাম। সম্পাদক ছিলাম আমি, নির্বাহী সম্পাদক বন্ধু সদ্য প্রয়াত মাহমুদ হাদী। অখ্যাত ও নবীন লেখকদের পাশাপাশি কবি শামসুর রাহমান, কবি সিকদার আমিনুল হক, ফারুক মাহমুদ, সমুদ্র গুপ্ত, হেলাল হাফিজ, আবু সালেহ, মুশাররফ করিম, মাশুক চৌধুরী, মাহবুব হাসান, প্রখ্যাত সাংবাদিক সানাউল্লাহ নূরী, সালাহউদ্দিন চৌধুরী, শেখ নূরুল ইসলাম, প্রমুখ বিশিষ্ট কবি ও লেখক সেই সংকলনে লেখা দিয়ে আমাদের কৃতার্থ করেছেন। লেখা সংগ্রহ করতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়েছিল আমার।
অমর একুশে বইমেলা ছিল আমাদের প্রাণের স্পন্দন। আমরা সেই স্পন্দনের স্পর্শ অনুভব করতে মেলায় যেতাম। আগের তুলনায় মেলার পরিসর এখন কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে তা আজ সম্প্রসারিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। স্টলের সংখ্যাও বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বইমেলা যেন তার সেই আকর্ষণ অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে।
রাজনীতি একে গ্রাস করেছে। অভিযোগ রয়েছে দলীয়করণের। সরকারবিরোধী হিসেবে পরিচিত প্রকাশকেরা স্টল বরাদ্দের ক্ষেত্রে হন বৈষম্যের শিকার। এর প্রতিবাদে অভিজাত প্রকাশনী সূচিপত্র কয়েক বছর ধরে মেলায় স্টল নেয় না। ভিন্ন মতাবলম্বী লেখকদের বই প্রদর্শন ও বিক্রয় অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ। অথচ একুশের চেতনা এ কথা বলে না। কিন্তু সেই চেতনা আজ অনেকটাই উপেক্ষিত।
তবে এবার একুশে বইমেলায় যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটল, তাকে ন্যক্কারজনক বললেও কম বলা হয়। অসম বয়সের এক দম্পতিকে কেন্দ্র করে মেলায় আসা তরুণদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মেলার সৌন্দর্য ও ভাবগাম্ভীর্যকে ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। তিশা নামের মেয়েটিকে মুশতাক নামের বৃদ্ধ লোকটির বিয়ে করা ইসলামি শরিয়ত বা দেশের প্রচলিত আইনে নিষিদ্ধ কাজ নয়
। তবে সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে শোভন-অশোভন বলে একটি বিষয় আছে। মুশতাক-তিশার বিয়ে অবৈধ না হলেও সমাজ তা ভালোভাবে নেয়নি। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে নিন্দা-ধিক্কারের ঝড় তুলেছে। এই নিন্দা-ধিক্কারের অগ্নিকুণ্ডে ঘৃতাহুতি দেন মুশতাক-তিশা নিজেরাই। মুশতাক তাঁর বালিকা বধূর নামে লেখা বই নিয়ে মেলায় গিয়ে তোপের মুখে পড়েন তরুণদের। দুই দিন এই দম্পতিকে বিক্ষোভের মুখে মেলা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে বাধ্য করেন তাঁরা।
অপরদিকে করোনাকালে উৎকট দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ও কারাভোগী ডা. সাবরিনা শারমিন তাঁর হাজতবাস সময়ের স্মৃতিচারণামূলক বই নিয়ে মেলায় গিয়ে বাধিয়েছেন আরেক ফ্যাসাদ। নানা কেলেঙ্কারির নায়িকা সাবরিনা বিভিন্ন মিডিয়ায় এখন এমনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন, যেন মহৎ কোনো কাজ করতে গিয়ে তিনি কারাবাসী হয়েছিলেন।
অথচ তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির মামলা বিচারাধীন। কতটা নির্লজ্জ হলে ‘একে চুরি, তার ওপর সিনাজুরি’র মতো একজন অপরাধী বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু করে সদম্ভে চলাফেরা করতে পারে, ভাবলে অবাক হতে হয়। অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ ঠিকই বলেছিলেন, ‘সবকিছু চলে যাবে নষ্টদের দখলে’।
মুশতাক-তিশা আর সাবরিনাদের কায়কারবার সে কথাকে সত্য প্রমাণ করে। হতাশার কথা, নষ্টরা এখন একুশে বইমেলার মতো জাতীয় অহংকারের অঙ্গনকে দখল করতে উদ্যত হয়েছে।
এসব অব্যবস্থা, অরাজকতা, নষ্টামি-ভ্রষ্টামিতে নষ্ট পরিবেশের কারণে আমার বইমেলায় যেতে ইচ্ছে করছে না।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি-বিশ্লেষক

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২০ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত একুশে বইমেলা আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে অনুষ্ঠিত এই বইমেলা লেখক, প্রকাশক ও পাঠকের মিলনমেলায় রূপ নেয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত একুশে বইমেলা আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে অনুষ্ঠিত এই বইমেলা লেখক, প্রকাশক ও পাঠকের মিলনমেলায় রূপ নেয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২০ দিন আগে
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত একুশে বইমেলা আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে অনুষ্ঠিত এই বইমেলা লেখক, প্রকাশক ও পাঠকের মিলনমেলায় রূপ নেয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২০ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত একুশে বইমেলা আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে অনুষ্ঠিত এই বইমেলা লেখক, প্রকাশক ও পাঠকের মিলনমেলায় রূপ নেয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২০ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫