জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে অন্তত ১২টি গ্রামে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এ সংকট তৈরি হয়।
এলাকায় অগভীর নলকূপগুলো থেকে পানি না ওঠায় দূরদূরান্ত থেকে অনেক কষ্টে পানি নিয়ে পান ও রান্নাবান্নার কাজ করতে হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের। গোসল ও কাপড় পরিষ্কার করতে হচ্ছে খালবিল ও পুকুরের দূষিত পানি দিয়ে। এতে দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সব গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ। সমস্যা লাঘবে এলাকায় সরকারি সাবমারসিবল পাম্প বসানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা পানবর, গুরুচরণ দুধনই, গজনী, গান্ধিগাঁও, হলদিগ্রাম, বাকাকুড়া, হালচাটি, নওকুচি, রাংটিয়া, সন্ধ্যাকুড়া, গোমড়াসহ অন্তত ১২টি গ্রামে মাটির নিচে প্রচুর পাথর থাকায় এবং পানির লেয়ার নিচে থাকায় সাধারণত সব ধরনের নলকূপ স্থাপন করা সম্ভব হয় না। আবার কিছু জায়গায় অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হলেও পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এখন আর ওই নলকূপ দিয়ে পানি ওঠছে না। শুকনো মৌসুমে পুকুর, খাল, বিলও শুকিয়ে যাওয়ায় গোসল করতেও ভোগান্তিতে পড়েন এখানকার লোকজন। দুএকটি পুকুরে জমে থাকা দূষিত পানিতে গোসল করেন শিশু ও নারী-পুরুষেরা। এতে অনেকের শরীরে দেখা দিচ্ছে চর্মরোগসহ নানা রোগ।
স্থানীয়রা জানান, ওইসব এলাকায় একমাত্র বিদ্যুৎচালিত গভীর সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে পানি উত্তোলন করা সম্ভব। আর সাবমারসিবল পাম্প বসাতে অন্তত তিন লাখ টাকা খরচ হয়। যা এখানকার সাধারণ মানুষের পক্ষে বহন করা অসম্ভব। এসব এলাকায় ব্যক্তি মালিকানায় দু-একজন সচ্ছল কৃষক বিদ্যুৎচালিত গভীর সাবমারসিবল পাম্প বসিয়েছেন। শুষ্ক মৌসুমে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসব পাম্প থেকে পানি নেওয়ার জন্য জগ, বালতি, কলস, বোতল নিয়ে ভিড় করেন।
ঝিনাইগাতীর বাকাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিবছর ডিসেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত এ এলাকায় খাবার পানির খুব সংকট থাকে। তখন এখানে হস্তচালিত নলকূপ থেকে পানি ওঠে না। শুধু সাবমারসিবল পাম্প থেকে পানি ওঠে। তখন দূর থেকে পানি আনতে হয়। আরেক বাসিন্দা মো. জিয়াউল ইসলাম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। বাড়িতে একটা টিউবওয়েল পুতছিলাম। বছরের ছয়মাস পানি ওঠে। আর বাকি ছয়মাস ওঠে না। তখন অনেক কষ্ট কইরা দূর থেকে সাবমারসিবল পাম্প থেকে পানি নিয়ে যাই খাওয়া আর রান্নাবান্নার জন্য। আমরা এই ভোগান্তির অবসানে সাবমারসিবল পাম্প চাই। একই গ্রামের গৃহিনী রোজিনা বেগম, ছালেহা বেগম, আঞ্জুমানা আরা, রহিমা বেগমসহ কয়েকজন জানান, শীতকালে রান্নাবান্না আর খাওয়ার জন্য এইভাবে কষ্ট কইরা পানি টাইনা আনতে হয়। কাছে পাম্প হইলে সুবিধা হইতো।
সারিকালিনগর গ্রামের কৃষক মো. শাজাহান আলী জানান, ‘শুষ্ক মৌসুম এলেই আমার বিদ্যুৎচালিত সাবমারসিবল পাম্প থেকেই এ এলাকার মানুষ পানি খাবার জন্য নিয়ে যায়। এতে তাদেরও অনেক কষ্ট হয়, আমারও অসুবিধা হয়। এরপরও মানুষগুলোর কষ্ট দেখে কিছু বলি না। সরকার দু-একটি সাবমারসিবল পাম্প বসালে এমানুষের দুর্ভোগ কমতো।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম বলেন, ‘আমাদের উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে শুষ্ক মৌসুমে নলকূপে পানি ওঠে না। আমরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিছু কিছু জায়গায় সাবমারসিবল পাম্প বসিয়েছি। আরও কিছু পাম্পের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে।’
এ ব্যাপারে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছামিউল হক বলেন, ‘পাহাড়ি এলাকায় পানি সংকট নিরসনে আমাদের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। যেসব এলাকায় পানির সমস্যা বেশি, ওইসব এলাকায় বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে গভীর নলকূপ ও সাবমারসিবল পাম্প বসানো হচ্ছে।’
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে অন্তত ১২টি গ্রামে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এ সংকট তৈরি হয়।
এলাকায় অগভীর নলকূপগুলো থেকে পানি না ওঠায় দূরদূরান্ত থেকে অনেক কষ্টে পানি নিয়ে পান ও রান্নাবান্নার কাজ করতে হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের। গোসল ও কাপড় পরিষ্কার করতে হচ্ছে খালবিল ও পুকুরের দূষিত পানি দিয়ে। এতে দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সব গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ। সমস্যা লাঘবে এলাকায় সরকারি সাবমারসিবল পাম্প বসানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা পানবর, গুরুচরণ দুধনই, গজনী, গান্ধিগাঁও, হলদিগ্রাম, বাকাকুড়া, হালচাটি, নওকুচি, রাংটিয়া, সন্ধ্যাকুড়া, গোমড়াসহ অন্তত ১২টি গ্রামে মাটির নিচে প্রচুর পাথর থাকায় এবং পানির লেয়ার নিচে থাকায় সাধারণত সব ধরনের নলকূপ স্থাপন করা সম্ভব হয় না। আবার কিছু জায়গায় অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হলেও পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এখন আর ওই নলকূপ দিয়ে পানি ওঠছে না। শুকনো মৌসুমে পুকুর, খাল, বিলও শুকিয়ে যাওয়ায় গোসল করতেও ভোগান্তিতে পড়েন এখানকার লোকজন। দুএকটি পুকুরে জমে থাকা দূষিত পানিতে গোসল করেন শিশু ও নারী-পুরুষেরা। এতে অনেকের শরীরে দেখা দিচ্ছে চর্মরোগসহ নানা রোগ।
স্থানীয়রা জানান, ওইসব এলাকায় একমাত্র বিদ্যুৎচালিত গভীর সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে পানি উত্তোলন করা সম্ভব। আর সাবমারসিবল পাম্প বসাতে অন্তত তিন লাখ টাকা খরচ হয়। যা এখানকার সাধারণ মানুষের পক্ষে বহন করা অসম্ভব। এসব এলাকায় ব্যক্তি মালিকানায় দু-একজন সচ্ছল কৃষক বিদ্যুৎচালিত গভীর সাবমারসিবল পাম্প বসিয়েছেন। শুষ্ক মৌসুমে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসব পাম্প থেকে পানি নেওয়ার জন্য জগ, বালতি, কলস, বোতল নিয়ে ভিড় করেন।
ঝিনাইগাতীর বাকাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিবছর ডিসেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত এ এলাকায় খাবার পানির খুব সংকট থাকে। তখন এখানে হস্তচালিত নলকূপ থেকে পানি ওঠে না। শুধু সাবমারসিবল পাম্প থেকে পানি ওঠে। তখন দূর থেকে পানি আনতে হয়। আরেক বাসিন্দা মো. জিয়াউল ইসলাম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। বাড়িতে একটা টিউবওয়েল পুতছিলাম। বছরের ছয়মাস পানি ওঠে। আর বাকি ছয়মাস ওঠে না। তখন অনেক কষ্ট কইরা দূর থেকে সাবমারসিবল পাম্প থেকে পানি নিয়ে যাই খাওয়া আর রান্নাবান্নার জন্য। আমরা এই ভোগান্তির অবসানে সাবমারসিবল পাম্প চাই। একই গ্রামের গৃহিনী রোজিনা বেগম, ছালেহা বেগম, আঞ্জুমানা আরা, রহিমা বেগমসহ কয়েকজন জানান, শীতকালে রান্নাবান্না আর খাওয়ার জন্য এইভাবে কষ্ট কইরা পানি টাইনা আনতে হয়। কাছে পাম্প হইলে সুবিধা হইতো।
সারিকালিনগর গ্রামের কৃষক মো. শাজাহান আলী জানান, ‘শুষ্ক মৌসুম এলেই আমার বিদ্যুৎচালিত সাবমারসিবল পাম্প থেকেই এ এলাকার মানুষ পানি খাবার জন্য নিয়ে যায়। এতে তাদেরও অনেক কষ্ট হয়, আমারও অসুবিধা হয়। এরপরও মানুষগুলোর কষ্ট দেখে কিছু বলি না। সরকার দু-একটি সাবমারসিবল পাম্প বসালে এমানুষের দুর্ভোগ কমতো।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম বলেন, ‘আমাদের উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে শুষ্ক মৌসুমে নলকূপে পানি ওঠে না। আমরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিছু কিছু জায়গায় সাবমারসিবল পাম্প বসিয়েছি। আরও কিছু পাম্পের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে।’
এ ব্যাপারে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছামিউল হক বলেন, ‘পাহাড়ি এলাকায় পানি সংকট নিরসনে আমাদের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। যেসব এলাকায় পানির সমস্যা বেশি, ওইসব এলাকায় বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে গভীর নলকূপ ও সাবমারসিবল পাম্প বসানো হচ্ছে।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫