সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা
কি সরকারে, কি বিরোধী দলে—যেখানেই থাকুন না কেন, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল এবং এসব দলের প্রভাবশালী নেতারা কখনো প্রকাশ্যে, আবার কখনো গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন ঢাকায় অবস্থান করা বিদেশি দূতাবাসগুলোর সঙ্গে। তাঁদের এই যোগাযোগ হয় রাষ্ট্রদূত, মিশনপ্রধান থেকে শুরু করে দূতাবাসগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে। আবার রাজনীতিবিদদের একাংশ নিজেদের তাগিদেও কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করে থাকেন, এমনটি হচ্ছে হরহামেশা।
তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, কী আলাপ করেন তাঁরা? আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল কয়েকজন কূটনীতিক ও রাজনীতিককে। তাঁরা বললেন, বিষয়টি নির্ভর করে কোনো রাষ্ট্রদূত বা কূটনীতিক কোন দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সেই দেশের কী স্বার্থ আছে, তার ওপর।
তবে নিজ নিজ দেশে চর্চা করা গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধের কারণে পশ্চিমা কূটনীতিকদের অধিকাংশের আলাপের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ গণতন্ত্র ও নির্বাচনের হালচাল ও মানবাধিকারের প্রসঙ্গগুলো। এ ক্ষেত্রে দূতাবাসগুলো দু্ই ধারায় বিভক্ত। এক পক্ষ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি; বিশেষ করে ভোট নিয়ে বেশ আগ্রহী, আরেক পক্ষ আছে যাদের এ নিয়ে কোনো আগ্রহই নেই।
যেমন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ হবে কি না, ভোট সুষ্ঠু হবে কি না, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ কেমন হওয়া দরকার, তা নিয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতেরা প্রকাশ্যেই কথা বলছেন।
আবার ঢাকায় ৫০টির মতো দূতাবাস আছে, যেগুলোর বাংলাদেশের স্থানীয় রাজনীতি এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম। এই দেশগুলোর তালিকায় অন্যতম হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, রাশিয়া, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, আলজেরিয়া, ব্রাজিল, ভুটান, ব্রুনেই, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনাম।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সী ফয়েজ আহমদ এ প্রসঙ্গে বললেন, ‘কূটনীতিকেরা রাজনীতি নিয়ে আলাপ করতেই পারেন। তবে সেটা হয় একান্তে। এতে ফল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’
স্থানীয় রাজনীতিকদের তরফে যে প্রবণতা, সে সম্পর্কে চীনে দায়িত্ব পালন করা বাংলাদেশের এই সাবেক রাষ্ট্রদূত বলেন, যে যখন বিরোধী দলে থাকে, সে চায় রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলে সরকারকে বিব্রত করতে। দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের বিষয়ে নিজেদের দক্ষতার ওপর বিশ্বাস না থাকার ফলে এমনটা হয় বলে মনে করেন তিনি।
আজকাল বিদেশি রাষ্ট্রদূতেরা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে রাজনীতি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলে থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্য অধিকাংশ দেশে এসব দেশের কূটনীতিকেরাই নিজেদের দেশের রাজনীতি নিয়ে কথা বলার সুযোগ পান না।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের নিজেদের সরকার নির্বাচন করতে পারবে, এটাই যুক্তরাষ্ট্র চায়।’ গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
২৮ দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত ২ অক্টোবর বৈঠকে বসেছিলেন ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির সঙ্গে। দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের পর ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এক টুইটে ছবি যুক্ত করে বলেছেন, মিশনপ্রধানেরা ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাঁদের নিয়মিত বৈঠকগুলো চালিয়ে যাচ্ছেন’ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে জানার জন্য।
এর আগে নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ প্রভাবশালী একাধিক দেশের দূতেরা। কূটনৈতিক ও দলীয় সূত্রগুলোর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি বৈঠকের অধিকাংশ সময়জুড়ে আগামী নির্বাচন কেমন হতে পারে, কোন দলের কৌশল কী হবে, কী ন্যূনতম পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে যেতে পারে, তা বোঝার চেষ্টা ছিল কূটনীতিকদের। অবশ্য ৮ জুন নির্বাচন কমিশনে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে পিটার হাস বলেছিলেন, ‘কোন দল জিতল, তা নিয়ে মাথা ঘামাতে আগ্রহী নয় যুক্তরাষ্ট্র।’
দুই প্রধান দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোট অন্তর্ভুক্তিমূলক করার স্বার্থে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচনে যেতে বর্তমান সরকারের অবস্থান এবং নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির দাবির মাঝামাঝি কোথাও আসা যায় কি না, নেপথ্যে এমন আলাপও করছেন কিছু কিছু কূটনীতিক। তবে এ নিয়ে কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের অধিকাংশই স্থানীয় রাজনীতি ও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্য বৈঠকে কথা বলতে চান না। তবে অন্য প্রভাবশালী ও সক্রিয় দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও চীনের কূটনীতিকদের নেপথ্যে রাজনৈতিক আলাপের কথা শোনা যায়। পাকিস্তানও খোঁজখবর নেয়, তবে সেটা নেপথ্যে।
এখন প্রশ্ন হলো, রাজনীতিকেরা বিষয়টি কীভাবে দেখেন।
এ প্রশ্ন করা হয়েছিল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের কাছে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের, রাজনীতি, নির্বাচন এবং গণতন্ত্র কীভাবে শক্তিশালী হবে, সেই পথ নিজেদের উদ্ভাবন করতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের মতো চিন্তা-চেতনার রাজনৈতিক দলগুলো নেতৃত্বের দেউলিয়াত্বের কারণে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে ধরনা দেয়, নালিশ করে। বিদেশিরা কী বলবে, সেদিকে তাকিয়ে থাকার কারণেই কূটনীতিকদের কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
আর বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ প্রসঙ্গে বলেন, বহুদিন ধরেই নির্বাচন নিয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাপ করার এই চল ও চর্চা আছে। রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটি আছে। প্রবাসেও শাখা আছে। নিজ নিজ গঠনতন্ত্রের অধীনে তাঁরা এটা করে থাকেন। এটাকে খারাপভাবে দেখার কোনো কারণ নেই।
কি সরকারে, কি বিরোধী দলে—যেখানেই থাকুন না কেন, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল এবং এসব দলের প্রভাবশালী নেতারা কখনো প্রকাশ্যে, আবার কখনো গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন ঢাকায় অবস্থান করা বিদেশি দূতাবাসগুলোর সঙ্গে। তাঁদের এই যোগাযোগ হয় রাষ্ট্রদূত, মিশনপ্রধান থেকে শুরু করে দূতাবাসগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে। আবার রাজনীতিবিদদের একাংশ নিজেদের তাগিদেও কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করে থাকেন, এমনটি হচ্ছে হরহামেশা।
তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, কী আলাপ করেন তাঁরা? আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল কয়েকজন কূটনীতিক ও রাজনীতিককে। তাঁরা বললেন, বিষয়টি নির্ভর করে কোনো রাষ্ট্রদূত বা কূটনীতিক কোন দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সেই দেশের কী স্বার্থ আছে, তার ওপর।
তবে নিজ নিজ দেশে চর্চা করা গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধের কারণে পশ্চিমা কূটনীতিকদের অধিকাংশের আলাপের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ গণতন্ত্র ও নির্বাচনের হালচাল ও মানবাধিকারের প্রসঙ্গগুলো। এ ক্ষেত্রে দূতাবাসগুলো দু্ই ধারায় বিভক্ত। এক পক্ষ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি; বিশেষ করে ভোট নিয়ে বেশ আগ্রহী, আরেক পক্ষ আছে যাদের এ নিয়ে কোনো আগ্রহই নেই।
যেমন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ হবে কি না, ভোট সুষ্ঠু হবে কি না, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ কেমন হওয়া দরকার, তা নিয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতেরা প্রকাশ্যেই কথা বলছেন।
আবার ঢাকায় ৫০টির মতো দূতাবাস আছে, যেগুলোর বাংলাদেশের স্থানীয় রাজনীতি এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম। এই দেশগুলোর তালিকায় অন্যতম হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, রাশিয়া, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, আলজেরিয়া, ব্রাজিল, ভুটান, ব্রুনেই, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনাম।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সী ফয়েজ আহমদ এ প্রসঙ্গে বললেন, ‘কূটনীতিকেরা রাজনীতি নিয়ে আলাপ করতেই পারেন। তবে সেটা হয় একান্তে। এতে ফল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’
স্থানীয় রাজনীতিকদের তরফে যে প্রবণতা, সে সম্পর্কে চীনে দায়িত্ব পালন করা বাংলাদেশের এই সাবেক রাষ্ট্রদূত বলেন, যে যখন বিরোধী দলে থাকে, সে চায় রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলে সরকারকে বিব্রত করতে। দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের বিষয়ে নিজেদের দক্ষতার ওপর বিশ্বাস না থাকার ফলে এমনটা হয় বলে মনে করেন তিনি।
আজকাল বিদেশি রাষ্ট্রদূতেরা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে রাজনীতি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলে থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্য অধিকাংশ দেশে এসব দেশের কূটনীতিকেরাই নিজেদের দেশের রাজনীতি নিয়ে কথা বলার সুযোগ পান না।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের নিজেদের সরকার নির্বাচন করতে পারবে, এটাই যুক্তরাষ্ট্র চায়।’ গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
২৮ দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত ২ অক্টোবর বৈঠকে বসেছিলেন ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির সঙ্গে। দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের পর ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এক টুইটে ছবি যুক্ত করে বলেছেন, মিশনপ্রধানেরা ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাঁদের নিয়মিত বৈঠকগুলো চালিয়ে যাচ্ছেন’ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে জানার জন্য।
এর আগে নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ প্রভাবশালী একাধিক দেশের দূতেরা। কূটনৈতিক ও দলীয় সূত্রগুলোর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি বৈঠকের অধিকাংশ সময়জুড়ে আগামী নির্বাচন কেমন হতে পারে, কোন দলের কৌশল কী হবে, কী ন্যূনতম পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে যেতে পারে, তা বোঝার চেষ্টা ছিল কূটনীতিকদের। অবশ্য ৮ জুন নির্বাচন কমিশনে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে পিটার হাস বলেছিলেন, ‘কোন দল জিতল, তা নিয়ে মাথা ঘামাতে আগ্রহী নয় যুক্তরাষ্ট্র।’
দুই প্রধান দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোট অন্তর্ভুক্তিমূলক করার স্বার্থে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচনে যেতে বর্তমান সরকারের অবস্থান এবং নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির দাবির মাঝামাঝি কোথাও আসা যায় কি না, নেপথ্যে এমন আলাপও করছেন কিছু কিছু কূটনীতিক। তবে এ নিয়ে কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের অধিকাংশই স্থানীয় রাজনীতি ও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্য বৈঠকে কথা বলতে চান না। তবে অন্য প্রভাবশালী ও সক্রিয় দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও চীনের কূটনীতিকদের নেপথ্যে রাজনৈতিক আলাপের কথা শোনা যায়। পাকিস্তানও খোঁজখবর নেয়, তবে সেটা নেপথ্যে।
এখন প্রশ্ন হলো, রাজনীতিকেরা বিষয়টি কীভাবে দেখেন।
এ প্রশ্ন করা হয়েছিল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের কাছে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের, রাজনীতি, নির্বাচন এবং গণতন্ত্র কীভাবে শক্তিশালী হবে, সেই পথ নিজেদের উদ্ভাবন করতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের মতো চিন্তা-চেতনার রাজনৈতিক দলগুলো নেতৃত্বের দেউলিয়াত্বের কারণে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে ধরনা দেয়, নালিশ করে। বিদেশিরা কী বলবে, সেদিকে তাকিয়ে থাকার কারণেই কূটনীতিকদের কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
আর বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ প্রসঙ্গে বলেন, বহুদিন ধরেই নির্বাচন নিয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাপ করার এই চল ও চর্চা আছে। রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটি আছে। প্রবাসেও শাখা আছে। নিজ নিজ গঠনতন্ত্রের অধীনে তাঁরা এটা করে থাকেন। এটাকে খারাপভাবে দেখার কোনো কারণ নেই।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৯ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৯ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৯ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫