ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
মাগুরায় জেঁকে বসেছে শীত। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় জবুথবু হয়ে গেছে জনজীবন। সকালটা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় দুপুরেও সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় বাইরে বের হতে না পারায় দিনমজুরি পেশার মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।
গতকাল সোমবার মাগুরা শহরে সূর্যের দেখা মিলেছে বেলা তিনটার দিকে। ঘন কুয়াশায় স্পষ্ট ছিল না রোদের তেজ। সঙ্গে ছিল কনকনে শীত। এমন প্রতিকূল পরিবেশে রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন সদরের পাল্লা গ্রামের রিকশাচালক মহিবুর মিয়া। তিনি বলেন, ‘সকাল আটটায় বের হইছি বাড়ি থেকে। এখন বাজে দুপুর ১২টা। ভাড়া মারছি মাত্র ৭০ টাকা। পরিবেশ ভালো না বলে ভাড়া তেমন পাই নাই। অন্য দিন এমন সময় ২০০ টাকার বেশি আয় করি। মানুষ বাড়ি থেকে বের না হলি তো বাড়ি বাজার নিয়ে যাতি হবি নানে!’
শহরের ঢাকা রোডের ভ্যানচালক নুরুল হোসেন কুয়াশায় পড়েছেন বিপদে। প্রতিদিন পাইকারি বাজার থেকে সবজির বস্তা টানার কাজ করলেও গতকালের দৃশ্যটাই ভিন্ন ছিল। তিনি বলেন, ‘পাইকারি বাজারে মানুষ নেই। খুব কম লোক এসেছে, সবজির সরবরাহও কুয়াশায় অন্য দিনের তুলনায় কম। ভাড়া এখন পর্যন্ত তেমন মেলেনি। ৮৫ টাকা দিয়ে আমার চাল কেনাও আজ হবে না।’
বেলা একটার সময়ে কুয়াশা কিছুটা কমতে থাকলেও শীতের তীব্রতায় শহরের পুরান গরম কাপড়ের দোকানে দেখা যায় ভিড়। গরম কাপড় কিনতে আসা দিনমজুর হাসু শেখ বলেন, ‘কাজের জন্য বের হইছি। সেই ফজরের আজানের সময় আইছি। কিন্তু কাজ পাচ্ছি না।
শীত আর কুয়াশায় মানুষ বের হচ্ছে না। তাই কাজ দেবে কে। কিছু টাকা ছিল একটা পুরান গরম কাপড় কিনতেছি। তয় দাম বেশি।’পোস্ট অফিসের সামনে পুরান গরম কাপড় বিক্রেতা বাবুল মোল্লা বলেন, ‘শীত বাড়তেছে। কদিন ধরে তাই গরম কাপড় কিনতি মানুষ এখানে ভিড় করতেছে। শীত যত বাড়বে তত আমাদের বেচা বাড়বে। তবে এই শীত বেশি দিন থাকবে না বলে মনে হয়।’
স্কুলশিক্ষক হাসিনা বেগম বলেন, ‘ভাগ্য ভালো যে বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ। না হলে এই তীব্র শীত ও কুয়াশায় ঠান্ডা বেঁধে যেত। স্কুলের অফিসের কাজ থাকায় যাচ্ছি। তবে রাস্তায় মানুষ কম। যাব সদর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে এক গ্রামে। খুব বিপদে আছি শীত নিয়ে।’
মাগুরা পুরাতন বাজার এলাকার ভ্যানে ফল বিক্রেতা জাহিদুল মুন্সি বলেন, ‘কদিন ধরে সকালে কুয়াশা। আবার শীতও কম না। বিক্রি ভালো না। নতুন বছরে ছেলেরা নতুন ক্লাসে উঠবে। তাদের স্কুলের ড্রেস বানাব সেই টাকা গোছাতে পারছি না। খুব বিপদে আছি ভাই।’
মাগুরা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ন রহমান বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের এই শীতে যেমন ভোগান্তি চলছে তেমন কৃষকদের জন্য খারাপ সময়। কারণ, বীজতলা ঘন কুয়াশায় নষ্ট হলে ধান রোপণের সময় একটা বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে।
মাগুরায় জেঁকে বসেছে শীত। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় জবুথবু হয়ে গেছে জনজীবন। সকালটা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় দুপুরেও সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় বাইরে বের হতে না পারায় দিনমজুরি পেশার মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।
গতকাল সোমবার মাগুরা শহরে সূর্যের দেখা মিলেছে বেলা তিনটার দিকে। ঘন কুয়াশায় স্পষ্ট ছিল না রোদের তেজ। সঙ্গে ছিল কনকনে শীত। এমন প্রতিকূল পরিবেশে রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন সদরের পাল্লা গ্রামের রিকশাচালক মহিবুর মিয়া। তিনি বলেন, ‘সকাল আটটায় বের হইছি বাড়ি থেকে। এখন বাজে দুপুর ১২টা। ভাড়া মারছি মাত্র ৭০ টাকা। পরিবেশ ভালো না বলে ভাড়া তেমন পাই নাই। অন্য দিন এমন সময় ২০০ টাকার বেশি আয় করি। মানুষ বাড়ি থেকে বের না হলি তো বাড়ি বাজার নিয়ে যাতি হবি নানে!’
শহরের ঢাকা রোডের ভ্যানচালক নুরুল হোসেন কুয়াশায় পড়েছেন বিপদে। প্রতিদিন পাইকারি বাজার থেকে সবজির বস্তা টানার কাজ করলেও গতকালের দৃশ্যটাই ভিন্ন ছিল। তিনি বলেন, ‘পাইকারি বাজারে মানুষ নেই। খুব কম লোক এসেছে, সবজির সরবরাহও কুয়াশায় অন্য দিনের তুলনায় কম। ভাড়া এখন পর্যন্ত তেমন মেলেনি। ৮৫ টাকা দিয়ে আমার চাল কেনাও আজ হবে না।’
বেলা একটার সময়ে কুয়াশা কিছুটা কমতে থাকলেও শীতের তীব্রতায় শহরের পুরান গরম কাপড়ের দোকানে দেখা যায় ভিড়। গরম কাপড় কিনতে আসা দিনমজুর হাসু শেখ বলেন, ‘কাজের জন্য বের হইছি। সেই ফজরের আজানের সময় আইছি। কিন্তু কাজ পাচ্ছি না।
শীত আর কুয়াশায় মানুষ বের হচ্ছে না। তাই কাজ দেবে কে। কিছু টাকা ছিল একটা পুরান গরম কাপড় কিনতেছি। তয় দাম বেশি।’পোস্ট অফিসের সামনে পুরান গরম কাপড় বিক্রেতা বাবুল মোল্লা বলেন, ‘শীত বাড়তেছে। কদিন ধরে তাই গরম কাপড় কিনতি মানুষ এখানে ভিড় করতেছে। শীত যত বাড়বে তত আমাদের বেচা বাড়বে। তবে এই শীত বেশি দিন থাকবে না বলে মনে হয়।’
স্কুলশিক্ষক হাসিনা বেগম বলেন, ‘ভাগ্য ভালো যে বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ। না হলে এই তীব্র শীত ও কুয়াশায় ঠান্ডা বেঁধে যেত। স্কুলের অফিসের কাজ থাকায় যাচ্ছি। তবে রাস্তায় মানুষ কম। যাব সদর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে এক গ্রামে। খুব বিপদে আছি শীত নিয়ে।’
মাগুরা পুরাতন বাজার এলাকার ভ্যানে ফল বিক্রেতা জাহিদুল মুন্সি বলেন, ‘কদিন ধরে সকালে কুয়াশা। আবার শীতও কম না। বিক্রি ভালো না। নতুন বছরে ছেলেরা নতুন ক্লাসে উঠবে। তাদের স্কুলের ড্রেস বানাব সেই টাকা গোছাতে পারছি না। খুব বিপদে আছি ভাই।’
মাগুরা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ন রহমান বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের এই শীতে যেমন ভোগান্তি চলছে তেমন কৃষকদের জন্য খারাপ সময়। কারণ, বীজতলা ঘন কুয়াশায় নষ্ট হলে ধান রোপণের সময় একটা বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫